দেশে উৎপাদিত ফার্মের মুরগির মাংস খেলে ঝুঁকি নেই: কৃষিমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:২৫
দেশে উৎপাদিত ফার্মের মুরগির মাংস খেলে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
বুধবার আর্থিক প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশে উৎপাদিত ফার্মের মুরগির মাংস খেলে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই। কারণ ফার্মের মুরগিকে স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাদ্য দিয়ে বড় করা হচ্ছে, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। আমরা মুরগির মাংস পরীক্ষা করে দেখেছি আমাদের দেশে উৎপাদিত ফার্মের মুরগির মাংসে ক্ষতিকর কিছু নেই।
অনুষ্ঠানে মৎস্য চাষী ও প্রাণিসম্পদ খামারিদের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংক, বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে প্রণোদনার অর্থ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এ ছাড়া ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বক্তব্য রাখেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ফার্মের মুরগিকে যে টিকা দেওয়া হচ্ছে তাও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। দেশে এখন পাঁচ থেকে ছয় কোটি টন ভুট্টা উৎপাদন হচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ ভুট্টা দিয়ে মুরগির খাদ্য তৈরি হচ্ছে। অথচ মাত্র ১০ বছর আগেও দেশে মাত্র এক কোটি টন ভুট্টা উৎপাদন হত।
মুরগির খাবার তৈরিতে ট্যানারি বর্জ্য ব্যবহারের অভিযোগকে গুজব আখ্যায়িত করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে ছয় কোটি টন ভুট্টা দিয়ে যেখানে খাদ্য তৈরি হচ্ছে, সেখানে মানুষ কেন সাভারের ওই ট্যানারি বর্জ্য খুঁজতে যাবে? আর কতটুকুই বা ওই বর্জ্য হয়?
তিনি নিজে খামারের মুরগি খান জানিয়ে গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে খাওয়ারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।
দেশ এখন দানাদার খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ দাবি করে তিনি বলেন, ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। দেশের মানুষের পুষ্টির যোগান দিতে বছরে এখন ৭০ থেকে ৮০ লাখ টন মাংস, ১৭০০ কোটি ডিম উৎপাদন হচ্ছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, করোনা আমাদের কিছু ক্ষতি করেছে। কিন্তু তা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। আমরা চীন, ভারতের তুলনায় অনেক ভালো করেছি। গ্রামীণ উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করে যেন বেশি আয় করতে পারে তার জন্য আমরা সড়ক, কালভার্ট, সেতুসহ গ্রামীণ মানুষের জন্য যোগাযোগ অবকাঠামো তৈরিকে প্রধান অগ্রাধিকার দিচ্ছি।
সভাপতির বক্তব্যে শ ম রেজাউল করিম জানান, মহামারীর মধ্যে সরকার ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে চার লাখ ৭৪০২ জনকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৭৮ হাজার মৎস্য চাষীকে প্রণোদনা হিসেবে ৫৬৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও দুই লাখ খামারিকে প্রণোদনা দেওয়ার কথা রয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:২৫

দেশে উৎপাদিত ফার্মের মুরগির মাংস খেলে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
বুধবার আর্থিক প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশে উৎপাদিত ফার্মের মুরগির মাংস খেলে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই। কারণ ফার্মের মুরগিকে স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাদ্য দিয়ে বড় করা হচ্ছে, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। আমরা মুরগির মাংস পরীক্ষা করে দেখেছি আমাদের দেশে উৎপাদিত ফার্মের মুরগির মাংসে ক্ষতিকর কিছু নেই।
অনুষ্ঠানে মৎস্য চাষী ও প্রাণিসম্পদ খামারিদের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংক, বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে প্রণোদনার অর্থ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এ ছাড়া ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বক্তব্য রাখেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ফার্মের মুরগিকে যে টিকা দেওয়া হচ্ছে তাও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। দেশে এখন পাঁচ থেকে ছয় কোটি টন ভুট্টা উৎপাদন হচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ ভুট্টা দিয়ে মুরগির খাদ্য তৈরি হচ্ছে। অথচ মাত্র ১০ বছর আগেও দেশে মাত্র এক কোটি টন ভুট্টা উৎপাদন হত।
মুরগির খাবার তৈরিতে ট্যানারি বর্জ্য ব্যবহারের অভিযোগকে গুজব আখ্যায়িত করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে ছয় কোটি টন ভুট্টা দিয়ে যেখানে খাদ্য তৈরি হচ্ছে, সেখানে মানুষ কেন সাভারের ওই ট্যানারি বর্জ্য খুঁজতে যাবে? আর কতটুকুই বা ওই বর্জ্য হয়?
তিনি নিজে খামারের মুরগি খান জানিয়ে গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে খাওয়ারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।
দেশ এখন দানাদার খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ দাবি করে তিনি বলেন, ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। দেশের মানুষের পুষ্টির যোগান দিতে বছরে এখন ৭০ থেকে ৮০ লাখ টন মাংস, ১৭০০ কোটি ডিম উৎপাদন হচ্ছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, করোনা আমাদের কিছু ক্ষতি করেছে। কিন্তু তা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। আমরা চীন, ভারতের তুলনায় অনেক ভালো করেছি। গ্রামীণ উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করে যেন বেশি আয় করতে পারে তার জন্য আমরা সড়ক, কালভার্ট, সেতুসহ গ্রামীণ মানুষের জন্য যোগাযোগ অবকাঠামো তৈরিকে প্রধান অগ্রাধিকার দিচ্ছি।
সভাপতির বক্তব্যে শ ম রেজাউল করিম জানান, মহামারীর মধ্যে সরকার ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে চার লাখ ৭৪০২ জনকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৭৮ হাজার মৎস্য চাষীকে প্রণোদনা হিসেবে ৫৬৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও দুই লাখ খামারিকে প্রণোদনা দেওয়ার কথা রয়েছে।