সিএমএসএফ ফান্ডের অডিট কমিটির অসন্তোষ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ মে, ২০২২ ২০:৫০
ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) এ অর্থ ও শেয়ার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমা না হওয়ায় ফান্ডের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ম্যানেজমেন্ট কমিটি (এএএমসি) অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই অসন্তোষের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর দীর্ঘ দিনের অ-বণ্টিত লভ্যাংশের বিপুল পরিমাণ অর্থ ও শেয়ার এ ফান্ডে আসার কথা থাকলেও অদ্যাবধি ৪৬০ কোটি টাকা এবং বর্তমান মার্কেট ভ্যালুতে ৩৩৮ কোটি টাকার সমপরিমাণ শেয়ার এই ফান্ডে জমা হয়েছে যা খুবই নগণ্য।
নিরপেক্ষ অডিট কমিটির এক সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও কমিটির প্রধান মো. আবদুর রউফ বলেন, আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ইস্যুয়ার কোম্পানি সমূহ সিএসএফের ফান্ডে অর্থ ও শেয়ার ট্রান্সফার না করলে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে নিয়ম অনুযায়ী যে অর্থ ও শেয়ার এই ফান্ডে আসার কথা তা কীভাবে আনা যায় সে বিষয়ে মনিটরিংসহ সার্বিক তত্ত্বাবধান করা হবে।
অডিট কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- একেএম দেলোয়ার হোসেন এফসিএমএ, আইসিএমএবি সদস্য এবং সিএমএসএফ বোর্ড সদস্য, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমএ মহি, পিএসসি, ইঞ্জি (এলপিআর), মিসেস শাহেদা খানম, সিনিয়র ফিন্যান্স কন্ট্রোলার, বাংলাদেশ নৌবাহিনী (অবসরপ্রাপ্ত), গ্রেড-৩, বিসিএস অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ক্যাডার এবং মুহাম্মদ তাজদিকুল ইসলাম, এফসিএমএ, পরিচালক, সিসিবিএল।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর দীর্ঘ দিনের অ-বণ্টিত লভ্যাংশের বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েছে। এই অর্থ একসঙ্গে করে বাজারের উন্নয়নে কাজে লাগাতে বিএসইসি ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ নামে বিশেষ এই তহবিল গঠন করেছে।
সেই সঙ্গে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১ গেজেট আকারে প্রকাশ করে। ফান্ডটির রুলস অনুসারে তা পরিচালনার জন্য ১০ সদস্যের একটি শক্তিশালী কমিটি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক্তন সফল চেয়ারম্যান জনাব মো. নজিবুর রহমান বর্তমানে এই ফান্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
সিএমএসএফ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষা এবং একটি দক্ষ পুঁজিবাজার গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। সিএমএসএফ তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ইস্যুকারীর কাছ থেকে অ-দাবিকৃত এবং অ-বণ্টিত নগদ বা স্টক ডিভিডেন্ড, অফেরত পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের অর্থ এবং অ-বরাদ্দকৃত রাইট শেয়ার স্থানান্তর করার মাধ্যমে প্রাপ্ত বিনিয়োগকারীদের পক্ষে নগদ এবং স্টকের অভিভাবক হিসাবে কাজ করছে।
পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশে দেশের সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবির মাধ্যমে স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের সেকেন্ডারি মার্কেটে তারল্য প্রবাহ নিশ্চিত করতেই এই অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে।
বাজার স্থিতিশীলতায় সিএমএসএফ ‘আইসিবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ড’ নামে একটি ক্লোজড-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড গঠন করেছে। এই ফান্ডের আকার একশো কোটি টাকা, যার ইউনিট প্রতি অভিহিত মূল্য দশ টাকা। সিএমএসএফ স্পনসর হিসেবে পঞ্চাশ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।
এ ছাড়া বিনিয়োগকারীদের দাবি নিষ্পত্তি এই ফান্ডের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। সিএমএসএফ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে অদ্যাবধি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে মোট বাইশ লাখ ছিয়ানব্বই হাজার আটশো ৮০ টাকার অমীমাংসিত দাবি নিষ্পত্তির আবেদন গ্রহণ করেছে। এবং ইতিমধ্যে একুশ লাখ তেত্রিশ হাজার দুইশো ২৬ টাকার দাবি নিষ্পত্তি করেছে যা মোট দাবির ৯৩ শতাংশ।
সিএমএসএফ চেয়ারম্যান জনাব মো. নজিবুর রহমান বলেন, আমরা পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় কাজ করছি এবং সঙ্গে ক্যাডার এবং বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থ নিশ্চিত করার নিমিত্তে যথাযথ যাচাই সাপেক্ষে অবিলম্বে দাবি নিষ্পত্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা দৃঢ় বিশ্বাস রাখি, সিএমএসএফ’র কার্যক্রমের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ মে, ২০২২ ২০:৫০

ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) এ অর্থ ও শেয়ার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমা না হওয়ায় ফান্ডের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ম্যানেজমেন্ট কমিটি (এএএমসি) অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই অসন্তোষের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর দীর্ঘ দিনের অ-বণ্টিত লভ্যাংশের বিপুল পরিমাণ অর্থ ও শেয়ার এ ফান্ডে আসার কথা থাকলেও অদ্যাবধি ৪৬০ কোটি টাকা এবং বর্তমান মার্কেট ভ্যালুতে ৩৩৮ কোটি টাকার সমপরিমাণ শেয়ার এই ফান্ডে জমা হয়েছে যা খুবই নগণ্য।
নিরপেক্ষ অডিট কমিটির এক সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও কমিটির প্রধান মো. আবদুর রউফ বলেন, আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ইস্যুয়ার কোম্পানি সমূহ সিএসএফের ফান্ডে অর্থ ও শেয়ার ট্রান্সফার না করলে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে নিয়ম অনুযায়ী যে অর্থ ও শেয়ার এই ফান্ডে আসার কথা তা কীভাবে আনা যায় সে বিষয়ে মনিটরিংসহ সার্বিক তত্ত্বাবধান করা হবে।
অডিট কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- একেএম দেলোয়ার হোসেন এফসিএমএ, আইসিএমএবি সদস্য এবং সিএমএসএফ বোর্ড সদস্য, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমএ মহি, পিএসসি, ইঞ্জি (এলপিআর), মিসেস শাহেদা খানম, সিনিয়র ফিন্যান্স কন্ট্রোলার, বাংলাদেশ নৌবাহিনী (অবসরপ্রাপ্ত), গ্রেড-৩, বিসিএস অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ক্যাডার এবং মুহাম্মদ তাজদিকুল ইসলাম, এফসিএমএ, পরিচালক, সিসিবিএল।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর দীর্ঘ দিনের অ-বণ্টিত লভ্যাংশের বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েছে। এই অর্থ একসঙ্গে করে বাজারের উন্নয়নে কাজে লাগাতে বিএসইসি ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ নামে বিশেষ এই তহবিল গঠন করেছে।
সেই সঙ্গে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১ গেজেট আকারে প্রকাশ করে। ফান্ডটির রুলস অনুসারে তা পরিচালনার জন্য ১০ সদস্যের একটি শক্তিশালী কমিটি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক্তন সফল চেয়ারম্যান জনাব মো. নজিবুর রহমান বর্তমানে এই ফান্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
সিএমএসএফ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষা এবং একটি দক্ষ পুঁজিবাজার গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। সিএমএসএফ তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ইস্যুকারীর কাছ থেকে অ-দাবিকৃত এবং অ-বণ্টিত নগদ বা স্টক ডিভিডেন্ড, অফেরত পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের অর্থ এবং অ-বরাদ্দকৃত রাইট শেয়ার স্থানান্তর করার মাধ্যমে প্রাপ্ত বিনিয়োগকারীদের পক্ষে নগদ এবং স্টকের অভিভাবক হিসাবে কাজ করছে।
পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশে দেশের সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবির মাধ্যমে স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের সেকেন্ডারি মার্কেটে তারল্য প্রবাহ নিশ্চিত করতেই এই অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে।
বাজার স্থিতিশীলতায় সিএমএসএফ ‘আইসিবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ড’ নামে একটি ক্লোজড-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড গঠন করেছে। এই ফান্ডের আকার একশো কোটি টাকা, যার ইউনিট প্রতি অভিহিত মূল্য দশ টাকা। সিএমএসএফ স্পনসর হিসেবে পঞ্চাশ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।
এ ছাড়া বিনিয়োগকারীদের দাবি নিষ্পত্তি এই ফান্ডের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। সিএমএসএফ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে অদ্যাবধি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে মোট বাইশ লাখ ছিয়ানব্বই হাজার আটশো ৮০ টাকার অমীমাংসিত দাবি নিষ্পত্তির আবেদন গ্রহণ করেছে। এবং ইতিমধ্যে একুশ লাখ তেত্রিশ হাজার দুইশো ২৬ টাকার দাবি নিষ্পত্তি করেছে যা মোট দাবির ৯৩ শতাংশ।
সিএমএসএফ চেয়ারম্যান জনাব মো. নজিবুর রহমান বলেন, আমরা পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় কাজ করছি এবং সঙ্গে ক্যাডার এবং বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থ নিশ্চিত করার নিমিত্তে যথাযথ যাচাই সাপেক্ষে অবিলম্বে দাবি নিষ্পত্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা দৃঢ় বিশ্বাস রাখি, সিএমএসএফ’র কার্যক্রমের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।