তরতর করে বাড়ছে গুঁড়ো দুধের দাম
তাওসিফ মাইমুন | ২১ মে, ২০২২ ০৮:৩২
গেল ঈদুল ফিতরের আগে থেকেই বাজারে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করে নিত্যপণ্যের দাম। ঈদের পর দাম বাড়া পণ্যের তালিকায় নতুন করে যোগ হয়েছে চাল, ডাল, গুঁড়োদুধ, সাবান, শ্যাম্পু ও টুথপেস্টের মতো পণ্যও। বিশেষ করে গুঁড়োদুধের দাম বাড়ছে তরতর করে।
শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্যাকেটজাত গুঁড়োদুধ আগের সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৫০-৬০ টাকা করে বাড়তি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বর্তমানে গুঁড়োদুধ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৭৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৭০০ টাকা।
এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে ডিমের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১০ টাকা।
গতকাল সরেজমিন রাজধানীর কারওয়ান বাজার এবং মোহাম্মদপুরের টাউনহল মার্কেটসহ এর আশপাশ এলাকার দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। নতুন দামে দোকানগুলোত মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১১৫, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫, খোলা চিনি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। খোলা ময়দার দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
তবে সবচেয়ে দাম বেড়েছে গুঁড়োদুধের। কোম্পানিভেদে কেজিতে ৫০-৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি গুঁড়োদুধ সরবরাহকারী কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, কোম্পানি থেকে তাদের বলা হয়েছে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আমদানি পর্যায়ে ক্রয়মূল্য বেশি পড়ছে। এ কারণেই দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে সর্বশেষ তাদের কোম্পানি গুঁড়োদুধের খুচরা বিক্রয়মূল্য (এমআরপি) ৭৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে। অবশ্য ওইসব প্যাকেট এখনো বাজারে সরবরাহ করা হয়নি। এর অর্থ হচ্ছে, সামনে গুঁড়োদুধের দাম আরও বাড়বে।
ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির তথ্য নতুন নয়। তবে ঈদের পর থেকে মাত্রাতিরিক্ত বাড়তে শুরু করেছে সয়াবিন তেলের দাম। যা আস্তে আস্তে জনগণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। গতকাল কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সয়াবিনের ১ লিটারের বোতল না থাকায় বিক্রেতারা ৫ লিটারের বোতল খুলে আধা লিটার, এক লিটার করে বিক্রি করছেন। এতে করে সরকারে বেঁধে দেওয়া ১৯৮ টাকা লিটারের সয়াবিন তেল ক্রেতারা কিনছেন প্রতি লিটার ২১০-২১৫ টাকায়। তবে নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম তেলও কিনছেন।
মোহাম্মদপুর টাউনহল মার্কেটের মুদি দোকানি রিয়াজ উদ্দিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে বাজারে কোনো না কোনো জিনিসের দাম বাড়ছে। এ নিয়ে পাইকারদের কাছে জিজ্ঞেস করলে বলেন উৎপাদন ও আমদানি খরচ বাড়ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনো জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ার খবর ক্রেতাদের জানালেই তারা মুখ ভারী করেন, শুধু খুচরা বিক্রেতাদের দোষারোপ করেন। ক্রেতাদের সঙ্গে দাম নিয়ে নিয়মিতই তর্ক হয়।’
বাজারে সব ধরনের সাবানের দাম নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে প্রতিটি সাবানের দাম বেড়েছে ২-৪ টাকা। ব্র্যান্ডের ছোট-বড় আকারভেদে সব শ্যাম্পুর মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে দাঁত মাজার টুথপেস্টেরও।
চলতি সপ্তাহে ঢাকার খুচরা বাজারগুলোতে চালের দাম বেড়েছে। যার প্রভাব ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে শুরু করে সবপর্যায়ে পড়তে শুরু করেছে। খুচরা দোকানে মোটা চাল ৪৫ থেকে ৪৮, মাঝারি চাল ৫০ থেকে ৫৫ ও সরু চাল ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। কোনো কোনো দোকানে সরু নাজিরশাইল চাল প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের চালের আড়তের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, মোটা ও মাঝারি চালের দাম কেজিতে ২ টাকা এবং সরু চালের দাম ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। মিল থেকে চাহিদা অনুযায়ী চাল সরবরাহ করা হচ্ছে না।
টাউনহল কাঁচাবাজারে আসা ক্রেতা ওয়ারিদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা ঈদের আগ থেকে সয়াবিন তেলের বাজারে এক লঙ্কাকা- করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রেখেছে। যার ফলে ঈদের পরে প্রতি কেজিতে ৪০ টাকা করে বেশি নিচ্ছে। এখন দেখা যাচ্ছে তেল ব্যবসায়ীদের পথেই হাঁটতে শুরু করেছে অন্যরা। তবে বাজারে সব থেকে বেশি বাড়তি রয়েছে গুঁড়োদুধের দাম। আর প্রায় প্রতিটি পণ্যের তো কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা বেশি হয়েই রয়েছে।’
এক বছর বয়সী বাচ্চার জন্য গুঁড়োদুধ কিনতে একই বাজারে এসেছিলেন হৃদয়। বাজার পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অফিস থাকায় সবসময় বাজারে আসতে পারি না। কিন্তু আজকে বাজারে গুঁড়োদুধ কিনতে এসে দেখছি দিনেদুপুরে চলছে ডাকাতি। প্রতিটি কোম্পানি তাদের প্যাকেট অনুযায়ী গুঁড়োদুধের দাম প্রায় ৪০-৫০ টাকা বাড়িয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বাজারের তেলকা-ের ঘটনা এখন সবার কাছে স্পষ্ট। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চাল, ডাল, সাবান, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার নতুন যন্ত্রণা।’
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে না বাড়লেও পটোল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার দাম কিছুটা বেড়েছে। পটোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ঝিঙে ও চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
বাজার পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘দেশের মানুষের স্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তেল বাজারে নৈরাজ্যের শুরু থেকে আমাদের সদস্যরা মাঠে সক্রিয় ছিল। বাজারের অস্থিরতা সৃষ্টিকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের লাগাম টেনে ধরার জন্য ভোক্তার অভিযান সবসময় মাঠে চলবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বাজারে নতুন করে যেসব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকে সেসব পণ্যের মূল্য বাড়ার কারণ জানার চেষ্টায় আমাদের অভিযান শুরু হবে।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
তাওসিফ মাইমুন | ২১ মে, ২০২২ ০৮:৩২

গেল ঈদুল ফিতরের আগে থেকেই বাজারে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করে নিত্যপণ্যের দাম। ঈদের পর দাম বাড়া পণ্যের তালিকায় নতুন করে যোগ হয়েছে চাল, ডাল, গুঁড়োদুধ, সাবান, শ্যাম্পু ও টুথপেস্টের মতো পণ্যও। বিশেষ করে গুঁড়োদুধের দাম বাড়ছে তরতর করে।
শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্যাকেটজাত গুঁড়োদুধ আগের সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৫০-৬০ টাকা করে বাড়তি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বর্তমানে গুঁড়োদুধ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৭৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৭০০ টাকা।
এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে ডিমের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১০ টাকা।
গতকাল সরেজমিন রাজধানীর কারওয়ান বাজার এবং মোহাম্মদপুরের টাউনহল মার্কেটসহ এর আশপাশ এলাকার দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। নতুন দামে দোকানগুলোত মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১১৫, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫, খোলা চিনি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। খোলা ময়দার দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
তবে সবচেয়ে দাম বেড়েছে গুঁড়োদুধের। কোম্পানিভেদে কেজিতে ৫০-৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি গুঁড়োদুধ সরবরাহকারী কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, কোম্পানি থেকে তাদের বলা হয়েছে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আমদানি পর্যায়ে ক্রয়মূল্য বেশি পড়ছে। এ কারণেই দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে সর্বশেষ তাদের কোম্পানি গুঁড়োদুধের খুচরা বিক্রয়মূল্য (এমআরপি) ৭৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে। অবশ্য ওইসব প্যাকেট এখনো বাজারে সরবরাহ করা হয়নি। এর অর্থ হচ্ছে, সামনে গুঁড়োদুধের দাম আরও বাড়বে। ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির তথ্য নতুন নয়। তবে ঈদের পর থেকে মাত্রাতিরিক্ত বাড়তে শুরু করেছে সয়াবিন তেলের দাম। যা আস্তে আস্তে জনগণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। গতকাল কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সয়াবিনের ১ লিটারের বোতল না থাকায় বিক্রেতারা ৫ লিটারের বোতল খুলে আধা লিটার, এক লিটার করে বিক্রি করছেন। এতে করে সরকারে বেঁধে দেওয়া ১৯৮ টাকা লিটারের সয়াবিন তেল ক্রেতারা কিনছেন প্রতি লিটার ২১০-২১৫ টাকায়। তবে নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম তেলও কিনছেন।
মোহাম্মদপুর টাউনহল মার্কেটের মুদি দোকানি রিয়াজ উদ্দিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে বাজারে কোনো না কোনো জিনিসের দাম বাড়ছে। এ নিয়ে পাইকারদের কাছে জিজ্ঞেস করলে বলেন উৎপাদন ও আমদানি খরচ বাড়ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনো জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ার খবর ক্রেতাদের জানালেই তারা মুখ ভারী করেন, শুধু খুচরা বিক্রেতাদের দোষারোপ করেন। ক্রেতাদের সঙ্গে দাম নিয়ে নিয়মিতই তর্ক হয়।’
বাজারে সব ধরনের সাবানের দাম নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে প্রতিটি সাবানের দাম বেড়েছে ২-৪ টাকা। ব্র্যান্ডের ছোট-বড় আকারভেদে সব শ্যাম্পুর মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে দাঁত মাজার টুথপেস্টেরও।
চলতি সপ্তাহে ঢাকার খুচরা বাজারগুলোতে চালের দাম বেড়েছে। যার প্রভাব ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে শুরু করে সবপর্যায়ে পড়তে শুরু করেছে। খুচরা দোকানে মোটা চাল ৪৫ থেকে ৪৮, মাঝারি চাল ৫০ থেকে ৫৫ ও সরু চাল ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। কোনো কোনো দোকানে সরু নাজিরশাইল চাল প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের চালের আড়তের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, মোটা ও মাঝারি চালের দাম কেজিতে ২ টাকা এবং সরু চালের দাম ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। মিল থেকে চাহিদা অনুযায়ী চাল সরবরাহ করা হচ্ছে না।
টাউনহল কাঁচাবাজারে আসা ক্রেতা ওয়ারিদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা ঈদের আগ থেকে সয়াবিন তেলের বাজারে এক লঙ্কাকা- করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রেখেছে। যার ফলে ঈদের পরে প্রতি কেজিতে ৪০ টাকা করে বেশি নিচ্ছে। এখন দেখা যাচ্ছে তেল ব্যবসায়ীদের পথেই হাঁটতে শুরু করেছে অন্যরা। তবে বাজারে সব থেকে বেশি বাড়তি রয়েছে গুঁড়োদুধের দাম। আর প্রায় প্রতিটি পণ্যের তো কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা বেশি হয়েই রয়েছে।’
এক বছর বয়সী বাচ্চার জন্য গুঁড়োদুধ কিনতে একই বাজারে এসেছিলেন হৃদয়। বাজার পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অফিস থাকায় সবসময় বাজারে আসতে পারি না। কিন্তু আজকে বাজারে গুঁড়োদুধ কিনতে এসে দেখছি দিনেদুপুরে চলছে ডাকাতি। প্রতিটি কোম্পানি তাদের প্যাকেট অনুযায়ী গুঁড়োদুধের দাম প্রায় ৪০-৫০ টাকা বাড়িয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বাজারের তেলকা-ের ঘটনা এখন সবার কাছে স্পষ্ট। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চাল, ডাল, সাবান, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার নতুন যন্ত্রণা।’
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে না বাড়লেও পটোল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার দাম কিছুটা বেড়েছে। পটোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ঝিঙে ও চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
বাজার পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘দেশের মানুষের স্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তেল বাজারে নৈরাজ্যের শুরু থেকে আমাদের সদস্যরা মাঠে সক্রিয় ছিল। বাজারের অস্থিরতা সৃষ্টিকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের লাগাম টেনে ধরার জন্য ভোক্তার অভিযান সবসময় মাঠে চলবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বাজারে নতুন করে যেসব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকে সেসব পণ্যের মূল্য বাড়ার কারণ জানার চেষ্টায় আমাদের অভিযান শুরু হবে।’