ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের আশ্বাসে ভিকারুননিসায় আন্দোলন স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:৫৪
ফাইল ছবি
শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলন স্থগিত করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা বেগমের আশ্বাসে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।
এর আগে সকাল থেকে শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীদের মাঝে এসে উপস্থিত হন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা বেগম। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “তোমাদের আন্দোলনে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমারও চাই ন্যায়বিচার হোক। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রশাসন তাদের কাজ করছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমাদেরকে আন্দোলন করতে হবে।”
“তোমরা আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখো। যদি দেখি ন্যায়বিচার হচ্ছে না, তখন প্রয়োজনে আমরাও তোমাদের সঙ্গে আন্দোলনে নামবো” যোগ করেন তিনি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের আরো বলেন, “তোমরা ক্লাসে ফিরে এসো। আমরাও চাই- নির্দোষ কারো ওপর যেন অন্যায় না হয়।”
এরপর শিক্ষার্থীদের পানি খাইয়ে অনশন ভাঙান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এরপর শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে কলেজে প্রবেশ করে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরে নিজ বাসা থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর (১৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি, অরিত্রীর বিরুদ্ধে ফাইনাল পরীক্ষায় নকলের অভিযোগ তুলে তার বাবাকে ডেকে পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে অরিত্রীর বাবাকে জানানো হয়, তার মেয়েকে টিসি দেওয়া হবে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ অরিত্রীর সামনে তার বাবাকে অপমান করেন। এ ঘটনায় সে আত্মহত্যা করেছে।
পরদিন রাজধানী পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তিন নম্বর আসামি হাসনা হেনা। বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা করে পুলিশ।
এ ঘটনায় অধ্যক্ষ ফেরদৌস নাজনীন, প্রভাতি শাখার প্রধান জিনাত আখতার এবং হাসনা হেনাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:৫৪

শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলন স্থগিত করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা বেগমের আশ্বাসে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।
এর আগে সকাল থেকে শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীদের মাঝে এসে উপস্থিত হন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা বেগম। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “তোমাদের আন্দোলনে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমারও চাই ন্যায়বিচার হোক। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রশাসন তাদের কাজ করছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমাদেরকে আন্দোলন করতে হবে।”
“তোমরা আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখো। যদি দেখি ন্যায়বিচার হচ্ছে না, তখন প্রয়োজনে আমরাও তোমাদের সঙ্গে আন্দোলনে নামবো” যোগ করেন তিনি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের আরো বলেন, “তোমরা ক্লাসে ফিরে এসো। আমরাও চাই- নির্দোষ কারো ওপর যেন অন্যায় না হয়।”
এরপর শিক্ষার্থীদের পানি খাইয়ে অনশন ভাঙান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এরপর শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে কলেজে প্রবেশ করে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরে নিজ বাসা থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর (১৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি, অরিত্রীর বিরুদ্ধে ফাইনাল পরীক্ষায় নকলের অভিযোগ তুলে তার বাবাকে ডেকে পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে অরিত্রীর বাবাকে জানানো হয়, তার মেয়েকে টিসি দেওয়া হবে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ অরিত্রীর সামনে তার বাবাকে অপমান করেন। এ ঘটনায় সে আত্মহত্যা করেছে।
পরদিন রাজধানী পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তিন নম্বর আসামি হাসনা হেনা। বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা করে পুলিশ।
এ ঘটনায় অধ্যক্ষ ফেরদৌস নাজনীন, প্রভাতি শাখার প্রধান জিনাত আখতার এবং হাসনা হেনাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।