ইবি শিক্ষককে লাঞ্ছিত, কর্মকর্তা বরখাস্ত
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি | ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:০০
জিয়া পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা কমিটি অনুমোদন না দেওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে ইবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বুধবার রাত ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মানজারে আলম মিরুকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে নিজ কক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এবং জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন। এসময় ওই কর্মকর্তা মানজারে আলম মিরুসহ দুই সহযোগী জিয়া পরিষদের কুষ্টিয়া জেলা কমিটির অনুমোদনের জন্য তার কক্ষের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করেন।
দরজা খুলে দিলে অভিযুক্তরা কমিটি অনুমোদনের জন্য অধ্যাপক এমতাজকে চাপ দেন। কিন্তু তিনি ওই মুহূর্তে সেটা করতে অস্বীকৃতি জানান। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কর্মকর্তা মিরু অধ্যাপক এমজাতকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক জড়ো হয়ে মিরুকে আটক করেন। পুলিশকে জানালে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রতন শেখ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত কর্মকর্তা মিরুকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
বুধবার রাতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী আহত শিক্ষককে দেখতে যান। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুব রহমান বলেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।”
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি | ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:০০

জিয়া পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা কমিটি অনুমোদন না দেওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে ইবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বুধবার রাত ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মানজারে আলম মিরুকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে নিজ কক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এবং জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন। এসময় ওই কর্মকর্তা মানজারে আলম মিরুসহ দুই সহযোগী জিয়া পরিষদের কুষ্টিয়া জেলা কমিটির অনুমোদনের জন্য তার কক্ষের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করেন।
দরজা খুলে দিলে অভিযুক্তরা কমিটি অনুমোদনের জন্য অধ্যাপক এমতাজকে চাপ দেন। কিন্তু তিনি ওই মুহূর্তে সেটা করতে অস্বীকৃতি জানান। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কর্মকর্তা মিরু অধ্যাপক এমজাতকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক জড়ো হয়ে মিরুকে আটক করেন। পুলিশকে জানালে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রতন শেখ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত কর্মকর্তা মিরুকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
বুধবার রাতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী আহত শিক্ষককে দেখতে যান। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুব রহমান বলেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।”