অধিক ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুর নতুন জাত
শেকৃবি প্রতিনিধি | ১৬ মে, ২০১৯ ২২:২৭
ছবি: দেশ রূপান্তর
দেশের মাটিতে বেনি, খোকেই ও খোগানে নামের অধিক ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ উন্নত জাতের জাপানি মিষ্টি আলু চাষে আশানুরূপ সফলতা পেয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) একদল গবেষক।
জাইকার অর্থায়নে জাপানি কোম্পানি মারুহিসার সার্বিক সহযোগিতায় মূল গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন শেকৃবি এগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হক। এতে মাঠ পর্যায়ে তাকে সহযোগিতা করেন এমএস এর তিনজন শিক্ষার্থী।
গবেষক আশাবুল হক বলেন, দেশের প্রচলিত মিষ্টি আলুর জাতগুলোর চেয়ে এই জাতগুলো অধিক ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ। তাছাড়া জাপানি খোকেই জাতটি থেকে প্রতি হেক্টরে ৩০-৩৫ টন ফলন পাওয়া গেছে, যা প্রচলিত জাতের উৎপাদনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।
তিনি আরো বলেন, আমরা মোট ৪ টি জাত নিয়ে কাজ করি। এদের মধ্যে তিনটি জাপানি জাত-বেনি, খোকেই ও খোগানে এবং একটি বারি মিষ্টি আলু-১২। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠের পাশাপাশি গাইবান্ধা, শেরপুর, বগুড়া ও শরীয়তপুরে পরীক্ষামূলকভাবে জাতগুলোর চাষাবাদ করা হয় যেখান থেকেও ভাল ফলন পেয়েছি। তবে এতে তৈরিকৃত উন্নত জৈবসার ও মালচিং প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। যা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের শিখিয়ে দিচ্ছি। এর পরিধি আরও বৃদ্ধি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করার ইচ্ছা আছে।
তাছাড়া ফসলটির ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে জাপানের মারুহিসা কোম্পানি ইচ্ছা পোষণ করেছে বলেও জানান তিনি।
দেশে এখন আর খাবারের ঘাটতি নেই তবে সুষম খাদ্যের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ভিটামিনে আমরা এখনও পিছিয়ে। মিষ্টি আলু সস্তা এবং প্রচলিত ফসল। কাজেই এসব জাত চাষ করা হলে ভিটামিন-এ’র ঘাটতি পূরণে তা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা গবেষকদের। কার্যক্রমটি পরিচালিত হবে ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
শেকৃবি প্রতিনিধি | ১৬ মে, ২০১৯ ২২:২৭

দেশের মাটিতে বেনি, খোকেই ও খোগানে নামের অধিক ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ উন্নত জাতের জাপানি মিষ্টি আলু চাষে আশানুরূপ সফলতা পেয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) একদল গবেষক।
জাইকার অর্থায়নে জাপানি কোম্পানি মারুহিসার সার্বিক সহযোগিতায় মূল গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন শেকৃবি এগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হক। এতে মাঠ পর্যায়ে তাকে সহযোগিতা করেন এমএস এর তিনজন শিক্ষার্থী।
গবেষক আশাবুল হক বলেন, দেশের প্রচলিত মিষ্টি আলুর জাতগুলোর চেয়ে এই জাতগুলো অধিক ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ। তাছাড়া জাপানি খোকেই জাতটি থেকে প্রতি হেক্টরে ৩০-৩৫ টন ফলন পাওয়া গেছে, যা প্রচলিত জাতের উৎপাদনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।
তিনি আরো বলেন, আমরা মোট ৪ টি জাত নিয়ে কাজ করি। এদের মধ্যে তিনটি জাপানি জাত-বেনি, খোকেই ও খোগানে এবং একটি বারি মিষ্টি আলু-১২। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠের পাশাপাশি গাইবান্ধা, শেরপুর, বগুড়া ও শরীয়তপুরে পরীক্ষামূলকভাবে জাতগুলোর চাষাবাদ করা হয় যেখান থেকেও ভাল ফলন পেয়েছি। তবে এতে তৈরিকৃত উন্নত জৈবসার ও মালচিং প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। যা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের শিখিয়ে দিচ্ছি। এর পরিধি আরও বৃদ্ধি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করার ইচ্ছা আছে।
তাছাড়া ফসলটির ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে জাপানের মারুহিসা কোম্পানি ইচ্ছা পোষণ করেছে বলেও জানান তিনি।
দেশে এখন আর খাবারের ঘাটতি নেই তবে সুষম খাদ্যের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ভিটামিনে আমরা এখনও পিছিয়ে। মিষ্টি আলু সস্তা এবং প্রচলিত ফসল। কাজেই এসব জাত চাষ করা হলে ভিটামিন-এ’র ঘাটতি পূরণে তা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা গবেষকদের। কার্যক্রমটি পরিচালিত হবে ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত।