ইবির সেই পরীক্ষা বাতিল ও দুই শিক্ষকের শাস্তি
ইবি প্রতিনিধি | ১৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০১:৩০
দেশ রূপান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সেই পরীক্ষাটি বাতিল করেছে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কমিটির সভাপতিকে অব্যাহতি দেয়ার পাশাপাশি আগামী এক বছরের জন্য তাকে পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কোর্স শিক্ষককে দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোছা. ছালমা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ নভেম্বর দেশ রূপান্তরে ‘ ইবির ইংরেজি বিভাগে একই প্রশ্নপত্রে দুই শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৯ নভেম্বর (২০১৬-১৭) শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের ‘এলিজাবেথান অ্যান্ড জ্যাকোবিয়ান ড্রামা’ (৩০৫) নং কোর্সের পরীক্ষা- ২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় এ বছরের প্রশ্নপত্রের ৮টি প্রশ্নের মধ্যে গত বছরের ৬টি প্রশ্নের হুবহু মিল রয়েছে। শুধুমাত্র গত বছরের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে দুইটি নতুন প্রশ্ন সংযোজন করেই এ বছরের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া এ বছরের প্রশ্নপত্রের ব্যাখ্যা অংশের ৬টি প্রশ্নের মধ্যে গত বছরের ৫টি প্রশ্নের মিল রয়েছে। শুধু একটি প্রশ্ন পরিবর্তন করা হয়েছে। এভাবে একই প্রশ্ন দিয়ে দুই শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা গ্রহণের পর সচেতন শিক্ষক মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে শনিবার ইংরেজি বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অধিকাংশ শিক্ষকের মতামতের ভিত্তিতে বিতর্কিত পরীক্ষাটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কমিটির সভাপতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজগর হোসেনকে ওই কমিটি থেকে অব্যাহতি দিয়ে আগামী এক বছরের জন্য পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ৩০৫ নং কোর্সের শিক্ষক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন জাহিদকে দুই বছরের জন্য ওই কোর্সটির ক্লাস নেওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোছা. ছালমা সুলতানা বলেন, বিভাগীয় কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরীক্ষা কমিটিও নতুনভাবে গঠন করা হয়েছে।
শেয়ার করুন
ইবি প্রতিনিধি | ১৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০১:৩০

দেশ রূপান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সেই পরীক্ষাটি বাতিল করেছে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কমিটির সভাপতিকে অব্যাহতি দেয়ার পাশাপাশি আগামী এক বছরের জন্য তাকে পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কোর্স শিক্ষককে দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোছা. ছালমা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ নভেম্বর দেশ রূপান্তরে ‘ ইবির ইংরেজি বিভাগে একই প্রশ্নপত্রে দুই শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৯ নভেম্বর (২০১৬-১৭) শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের ‘এলিজাবেথান অ্যান্ড জ্যাকোবিয়ান ড্রামা’ (৩০৫) নং কোর্সের পরীক্ষা- ২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় এ বছরের প্রশ্নপত্রের ৮টি প্রশ্নের মধ্যে গত বছরের ৬টি প্রশ্নের হুবহু মিল রয়েছে। শুধুমাত্র গত বছরের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে দুইটি নতুন প্রশ্ন সংযোজন করেই এ বছরের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া এ বছরের প্রশ্নপত্রের ব্যাখ্যা অংশের ৬টি প্রশ্নের মধ্যে গত বছরের ৫টি প্রশ্নের মিল রয়েছে। শুধু একটি প্রশ্ন পরিবর্তন করা হয়েছে। এভাবে একই প্রশ্ন দিয়ে দুই শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা গ্রহণের পর সচেতন শিক্ষক মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে শনিবার ইংরেজি বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অধিকাংশ শিক্ষকের মতামতের ভিত্তিতে বিতর্কিত পরীক্ষাটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কমিটির সভাপতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজগর হোসেনকে ওই কমিটি থেকে অব্যাহতি দিয়ে আগামী এক বছরের জন্য পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ৩০৫ নং কোর্সের শিক্ষক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন জাহিদকে দুই বছরের জন্য ওই কোর্সটির ক্লাস নেওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোছা. ছালমা সুলতানা বলেন, বিভাগীয় কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরীক্ষা কমিটিও নতুনভাবে গঠন করা হয়েছে।