‘৭৩’র অ্যাক্ট অনুযায়ী’ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দাবি রাবি ছাত্রলীগের
রাবি প্রতিনিধি | ১২ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:৪২
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চাকরির দাবিতে সোমবার রাতে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের বাসভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়েছিল চাকরি প্রত্যাশী সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সারারাত অবস্থান করেন তারা। তবে মঙ্গলবার সকালে তারা ৭৩’র অ্যাক্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দাবি তোলেন। এ দাবিতে প্রশাসন ভবনে তালা দেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে সরে এসে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও অধ্যাপক চৌধুরি মুহম্মদ জাকারিয়া, রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমানের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তারা।
আলোচনা শেষে বেরিয়ে এসে আন্দোলনকারীরা জানান, প্রশাসনের সঙ্গে তাদের আলোচনা ‘ফলপ্রসু’ হয়নি। বুধবার দুপুর ১২টায় উপাচার্য তাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককের মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।
মঙ্গলবার তারা জানান, তারা ক্যাম্পাসে চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছেন না। বরং ৭৩’র অ্যাক্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় যেন পরিচালিত হয় সেই দাবিতে তাদের আন্দোলন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহাফুজ আলামীন বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৩’র অ্যাক্ট বলবৎ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগের বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাহলে এটা প্রশাসন মানবে কেন। এ বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণ স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। এটাকে তার নিয়মে চলতে দিতে হবে।
তবে রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের একটি দল আমাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক করেছেন। তারা মূলত আমাদের বলেছেন, তারা এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা শেষে চাকরির জন্য আবেদনও করেছেন। কিন্তু কেন তাহলে তাদের চাকরি হচ্ছে না।’
সোমবার দুপুরে অফিস চলাকালীন সময়ে রেজিস্ট্রার দপ্তরের অ্যাডহকে এক প্রতিবন্ধীর চাকরি নিশ্চিত হলে সন্ধ্যার দিকে অন্য চাকরি প্রত্যাশীরা উপাচার্য ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন।
কিছুক্ষণ অবস্থানের পরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে ছয়জনের একটি দল উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। উপাচার্য তাদের চাকরি নিশ্চিতের বিষয়ে আশ্বস্ত না করলে পরবর্তীতে তারা উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। রাতভর তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনেই অবস্থান করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
রাবি প্রতিনিধি | ১২ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:৪২

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চাকরির দাবিতে সোমবার রাতে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের বাসভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়েছিল চাকরি প্রত্যাশী সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সারারাত অবস্থান করেন তারা। তবে মঙ্গলবার সকালে তারা ৭৩’র অ্যাক্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দাবি তোলেন। এ দাবিতে প্রশাসন ভবনে তালা দেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে সরে এসে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও অধ্যাপক চৌধুরি মুহম্মদ জাকারিয়া, রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমানের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তারা।
আলোচনা শেষে বেরিয়ে এসে আন্দোলনকারীরা জানান, প্রশাসনের সঙ্গে তাদের আলোচনা ‘ফলপ্রসু’ হয়নি। বুধবার দুপুর ১২টায় উপাচার্য তাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককের মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।
মঙ্গলবার তারা জানান, তারা ক্যাম্পাসে চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছেন না। বরং ৭৩’র অ্যাক্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় যেন পরিচালিত হয় সেই দাবিতে তাদের আন্দোলন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহাফুজ আলামীন বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৩’র অ্যাক্ট বলবৎ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগের বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাহলে এটা প্রশাসন মানবে কেন। এ বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণ স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। এটাকে তার নিয়মে চলতে দিতে হবে।
তবে রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের একটি দল আমাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক করেছেন। তারা মূলত আমাদের বলেছেন, তারা এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা শেষে চাকরির জন্য আবেদনও করেছেন। কিন্তু কেন তাহলে তাদের চাকরি হচ্ছে না।’
সোমবার দুপুরে অফিস চলাকালীন সময়ে রেজিস্ট্রার দপ্তরের অ্যাডহকে এক প্রতিবন্ধীর চাকরি নিশ্চিত হলে সন্ধ্যার দিকে অন্য চাকরি প্রত্যাশীরা উপাচার্য ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন।
কিছুক্ষণ অবস্থানের পরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে ছয়জনের একটি দল উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। উপাচার্য তাদের চাকরি নিশ্চিতের বিষয়ে আশ্বস্ত না করলে পরবর্তীতে তারা উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। রাতভর তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনেই অবস্থান করেন।