বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে খুবির দুই শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা | ১৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১২:০৮
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুইজন শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ ও তদন্তে অসহযোগিতার দায়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী তাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন।
বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
গত রবিবার শাস্তি পাওয়া ওই দুই শিক্ষার্থীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তর থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাওয়ার পরও একাডেমিক কাউন্সিলে শাস্তির বিষয়ে আপিল না করে তারা কেন আমরণ অনশন শুরু করলো এ প্রশ্নে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ওই শিক্ষার্থীরা জানান, ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটায় খুবির ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমামুল ইসলাম ও বাংলা ডিসিপ্লিনের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মোবারক হোসেন নোমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘আমরণ কর্মসূচি’ ব্যানারসহ অবস্থান নেয়। ওই দুই শিক্ষার্থী পাঁচ দফা আন্দোলনে যুক্ত থাকায় তাদের অন্যায়ভাবে করা বহিষ্কার আদেশ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
অন্যথায় তারা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন। তাদের অবস্থানের বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক মো. শরীফ হাসান লিমন সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালকদের সঙ্গে নিয়ে রাত আটটায় অবস্থানরত ওই দুই শিক্ষার্থীর কাছে যান।
এ সময় তিনি তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রীতিনীতি বিধিবিধান প্রতিপালনের স্বার্থে অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে নিয়মানুযায়ী আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। কিন্তু তারা এখন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
ছাত্রবিষয়ক পরিচালক মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা প্রাথমিক। এটা এখনো চূড়ান্ত নয়। তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ গ্রহণ করলে কর্তৃপক্ষ তা বিবেচনায় নিতে পারেন।
শীতের এই রাতে তাদের এই অবস্থান ত্যাগ করে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা | ১৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১২:০৮

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুইজন শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ ও তদন্তে অসহযোগিতার দায়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী তাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন।
বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
গত রবিবার শাস্তি পাওয়া ওই দুই শিক্ষার্থীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তর থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাওয়ার পরও একাডেমিক কাউন্সিলে শাস্তির বিষয়ে আপিল না করে তারা কেন আমরণ অনশন শুরু করলো এ প্রশ্নে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ওই শিক্ষার্থীরা জানান, ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটায় খুবির ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমামুল ইসলাম ও বাংলা ডিসিপ্লিনের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মোবারক হোসেন নোমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘আমরণ কর্মসূচি’ ব্যানারসহ অবস্থান নেয়। ওই দুই শিক্ষার্থী পাঁচ দফা আন্দোলনে যুক্ত থাকায় তাদের অন্যায়ভাবে করা বহিষ্কার আদেশ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
অন্যথায় তারা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন। তাদের অবস্থানের বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক মো. শরীফ হাসান লিমন সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালকদের সঙ্গে নিয়ে রাত আটটায় অবস্থানরত ওই দুই শিক্ষার্থীর কাছে যান।
এ সময় তিনি তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রীতিনীতি বিধিবিধান প্রতিপালনের স্বার্থে অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে নিয়মানুযায়ী আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। কিন্তু তারা এখন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
ছাত্রবিষয়ক পরিচালক মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা প্রাথমিক। এটা এখনো চূড়ান্ত নয়। তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ গ্রহণ করলে কর্তৃপক্ষ তা বিবেচনায় নিতে পারেন।
শীতের এই রাতে তাদের এই অবস্থান ত্যাগ করে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।