খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবিতে ইবিতে মানববন্ধন
ইবি প্রতিনিধি | ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১৫:১৭
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে এ মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধন থেকে বক্তারা অতি দ্রুত দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো একটিও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায় নাই, প্রশাসনের বিরুদ্ধেও যায় নাই। বিশ্ববিদ্যালয় যদি শিক্ষার্থীদের জায়গা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের কথা বলে কেন বহিষ্কার হবে? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন বহিষ্কারের কারখানা হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে স্বৈরশাসন জেঁকে বসেছে তারই প্রমাণ খুবি শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ।’
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী ও ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ একাত্মতা পোষণ করে।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শামিমুল ইসলাম সুমনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি.কে সাদিক ও ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আব্দুর রউফ।
এছাড়াও সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন রায়হান বাদশা রিপন, মোস্তাক আহমেদ ও হেনায়েত কবির।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিষ্কার খেলা বন্ধ কর’, ‘আবিষ্কার নয়, বহিষ্কারে আছি’, স্বৈরাচারী প্রশাসন ধিক্কার, ধিক্কার’, ‘কথায় কথায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী বহিষ্কার বন্ধ কর’, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কি শুধু বহিষ্কারের জন্য?’,সহ বিভিন্ন ফেস্টুন দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সন্ধ্যার পর থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান (১৮ ব্যাচ) এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইমামুল ইসলাম (১৭ ব্যাচ) ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
ইবি প্রতিনিধি | ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১৫:১৭

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে এ মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধন থেকে বক্তারা অতি দ্রুত দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো একটিও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায় নাই, প্রশাসনের বিরুদ্ধেও যায় নাই। বিশ্ববিদ্যালয় যদি শিক্ষার্থীদের জায়গা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের কথা বলে কেন বহিষ্কার হবে? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন বহিষ্কারের কারখানা হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে স্বৈরশাসন জেঁকে বসেছে তারই প্রমাণ খুবি শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ।’
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী ও ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ একাত্মতা পোষণ করে।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শামিমুল ইসলাম সুমনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি.কে সাদিক ও ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আব্দুর রউফ।
এছাড়াও সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন রায়হান বাদশা রিপন, মোস্তাক আহমেদ ও হেনায়েত কবির।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিষ্কার খেলা বন্ধ কর’, ‘আবিষ্কার নয়, বহিষ্কারে আছি’, স্বৈরাচারী প্রশাসন ধিক্কার, ধিক্কার’, ‘কথায় কথায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী বহিষ্কার বন্ধ কর’, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কি শুধু বহিষ্কারের জন্য?’,সহ বিভিন্ন ফেস্টুন দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সন্ধ্যার পর থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান (১৮ ব্যাচ) এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইমামুল ইসলাম (১৭ ব্যাচ) ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন।