তিন শিক্ষকের বহিষ্কার ও অপসারণ প্রত্যাহার দাবিতে খুবিতে শিক্ষকদের কর্মসূচি
খুবি প্রতিনিধি | ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:৪০
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) তিন শিক্ষককে বরখাস্ত ও অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শিক্ষকরা। বক্তারা উপাচার্যকে বহিষ্কৃত তিন শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে শিক্ষক নেটওয়ার্কের ব্যানারে খুবির আট শিক্ষক সমাবেশ করেন। এ সময় বক্তাদের মধ্যে ড. আব্দুলাহ হারুন চৌধুরী বলেন, ‘বিনা ভোটে নির্বাচিত শিক্ষক সমিতি আজ উপাচার্যকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিতে ব্যস্ত। সাধারণ শিক্ষকদের ব্যাপারে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই’।
তিনি উপাচার্যকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি যদি বলে থাকেন সব সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেট নিয়ে থাকে তাহলে আমরা আপনাকে আহ্বান করব একজন সাধারণ শিক্ষক হিসেবে আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান, শিক্ষকদের মানহানির প্রতিবাদ করুন। আমরা আপনাকে শ্রদ্ধা জানাব’।
অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার দত্ত বলেন, ‘আমরা জানতাম কাক কাকের মাংস খায় না। কিন্তু বর্তমানে এ চর্চাটা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত হচ্ছে’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি এ প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে প্রশাসনকে জানাতে চাই যদি অবিলম্বে এ বহিষ্কারাদেশ ও অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আমাদের আন্দোলন চলবে এবং পরবর্তীতে আরো কর্মসূচি আসবে’।
অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘আমি নিজে এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই সাবেক শিক্ষার্থী আর এখন শিক্ষক। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমার দরদ একটু বেশি। কিন্তু আমার এখন মাঝে মাঝে নিজের কর্মস্থানের জন্য ঘৃণা হয়। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম শিক্ষক সমিতি থেকে কোনো লিখিত বক্তব্য আসবে, যেমনটা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে দিয়েছিল। কিন্তু সেটা এখনো পেলাম না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যদিও প্রশাসক কিন্তু তিনি তো একজন শিক্ষক। তিনি কীভাবে কয়েকজন শিক্ষকের মানহানি সহ্য করছেন’!
এ সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে নোট অব ডিসেন্ট দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন সিন্ডিকেট সদস্য। তারা হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা এবং কুয়েটের সাবেক উপাচার্য ও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের ড. আব্দুলাহ হারুন চৌধুরী এবং একই ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার দত্ত, স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক আফরোজা পারভীন, ইংরেজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মো. নূরুজ্জামান, অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ, একই ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক তাসনিম মুরাদ মামুন, বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক ইমরান কামাল এবং মৌমিতা রায়।
এ ছাড়া শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আইনজীবী কুদরতি খুদা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্যানেল আইনজীবী মহসীন উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
খুবি প্রতিনিধি | ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:৪০

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) তিন শিক্ষককে বরখাস্ত ও অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শিক্ষকরা। বক্তারা উপাচার্যকে বহিষ্কৃত তিন শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে শিক্ষক নেটওয়ার্কের ব্যানারে খুবির আট শিক্ষক সমাবেশ করেন। এ সময় বক্তাদের মধ্যে ড. আব্দুলাহ হারুন চৌধুরী বলেন, ‘বিনা ভোটে নির্বাচিত শিক্ষক সমিতি আজ উপাচার্যকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিতে ব্যস্ত। সাধারণ শিক্ষকদের ব্যাপারে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই’।
তিনি উপাচার্যকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি যদি বলে থাকেন সব সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেট নিয়ে থাকে তাহলে আমরা আপনাকে আহ্বান করব একজন সাধারণ শিক্ষক হিসেবে আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান, শিক্ষকদের মানহানির প্রতিবাদ করুন। আমরা আপনাকে শ্রদ্ধা জানাব’।
অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার দত্ত বলেন, ‘আমরা জানতাম কাক কাকের মাংস খায় না। কিন্তু বর্তমানে এ চর্চাটা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত হচ্ছে’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি এ প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে প্রশাসনকে জানাতে চাই যদি অবিলম্বে এ বহিষ্কারাদেশ ও অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আমাদের আন্দোলন চলবে এবং পরবর্তীতে আরো কর্মসূচি আসবে’।
অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘আমি নিজে এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই সাবেক শিক্ষার্থী আর এখন শিক্ষক। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমার দরদ একটু বেশি। কিন্তু আমার এখন মাঝে মাঝে নিজের কর্মস্থানের জন্য ঘৃণা হয়। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম শিক্ষক সমিতি থেকে কোনো লিখিত বক্তব্য আসবে, যেমনটা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে দিয়েছিল। কিন্তু সেটা এখনো পেলাম না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যদিও প্রশাসক কিন্তু তিনি তো একজন শিক্ষক। তিনি কীভাবে কয়েকজন শিক্ষকের মানহানি সহ্য করছেন’!
এ সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে নোট অব ডিসেন্ট দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন সিন্ডিকেট সদস্য। তারা হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা এবং কুয়েটের সাবেক উপাচার্য ও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের ড. আব্দুলাহ হারুন চৌধুরী এবং একই ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার দত্ত, স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক আফরোজা পারভীন, ইংরেজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মো. নূরুজ্জামান, অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ, একই ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক তাসনিম মুরাদ মামুন, বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক ইমরান কামাল এবং মৌমিতা রায়।
এ ছাড়া শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আইনজীবী কুদরতি খুদা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্যানেল আইনজীবী মহসীন উপস্থিত ছিলেন।