জাবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, সাক্ষাৎকার দিতে এসে আটক
জাবি প্রতিনিধি | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৫:৫৭
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে চান্স পাওয়া এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তাকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আটক শিক্ষার্থীর নাম মোস্তফা কামাল (১৯)। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার তাড়ুটিয়া গ্রামে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদে জালিয়াতির মাধ্যমে চান্স পাওয়া মোস্তফা কামালের ভর্তি পরীক্ষার মেরিট পজিশন ছিল ৩০তম।
জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তফা কামাল জানান, মেহেদী নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে তার দুই বন্ধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিটে ৭৯ ও ২৪৯তম হয়। তাদের মাধ্যমেই মেহেদীর সাথে মোস্তফার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে মেহেদী ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে মোস্তফাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাইয়ে দেওয়ার চুক্তি করে। মেরিট পজিশন আসার পর পুরো টাকা তাকে পরিশোধ করেছে বলেও জানিয়েছেন মোস্তফা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ থেকে তাকে আটক করি। সে তার অপরাধ স্বীকার করেছে। আমরা ডিন মহোদয়কে অবগত করে তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে এসেছি। তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে। পরবর্তীতে পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে। পাশাপাশি জালিয়াত চক্রের বাকি সদস্যদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
জাবি প্রতিনিধি | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৫:৫৭

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে চান্স পাওয়া এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তাকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আটক শিক্ষার্থীর নাম মোস্তফা কামাল (১৯)। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার তাড়ুটিয়া গ্রামে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদে জালিয়াতির মাধ্যমে চান্স পাওয়া মোস্তফা কামালের ভর্তি পরীক্ষার মেরিট পজিশন ছিল ৩০তম।
জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তফা কামাল জানান, মেহেদী নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে তার দুই বন্ধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিটে ৭৯ ও ২৪৯তম হয়। তাদের মাধ্যমেই মেহেদীর সাথে মোস্তফার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে মেহেদী ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে মোস্তফাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাইয়ে দেওয়ার চুক্তি করে। মেরিট পজিশন আসার পর পুরো টাকা তাকে পরিশোধ করেছে বলেও জানিয়েছেন মোস্তফা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ থেকে তাকে আটক করি। সে তার অপরাধ স্বীকার করেছে। আমরা ডিন মহোদয়কে অবগত করে তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে এসেছি। তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে। পরবর্তীতে পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে। পাশাপাশি জালিয়াত চক্রের বাকি সদস্যদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।