পুলিশের হামলার পর ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে, উপাচার্য দুষছেন শিক্ষার্থীদের
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি | ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:৩৮
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ছাত্রলীগ। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রয়েছেন আতঙ্কে। উপাচার্য দুষছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।
হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার ওপর হামলা করবে; আমি কল্পনাও করতে পারছি না। এটা খুবই লজ্জাজনক।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ও আতঙ্কে রয়েছেন। তারা বিভিন্নজন বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
ছাত্রলীগের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এর আগে আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড হামলা চালায়। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
তখন পুলিশ জানায়, অবরুদ্ধ উপাচার্যকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে পাল্টা ধাওয়া করে। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
পুলিশের ওই হামলায় আন্দোলনরত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া একজন শিক্ষকও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পুলিশের হামলায় ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থীরা আবারও জড়ো হলে পরে ছাত্রলীগ তাদের ধাওয়া করেছে।
এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
অসদাচরণের অভিযোগ এনে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন তারা।
এরই মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরতদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি | ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:৩৮

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ছাত্রলীগ। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রয়েছেন আতঙ্কে। উপাচার্য দুষছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।
হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার ওপর হামলা করবে; আমি কল্পনাও করতে পারছি না। এটা খুবই লজ্জাজনক।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ও আতঙ্কে রয়েছেন। তারা বিভিন্নজন বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
ছাত্রলীগের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এর আগে আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড হামলা চালায়। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
তখন পুলিশ জানায়, অবরুদ্ধ উপাচার্যকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে পাল্টা ধাওয়া করে। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
পুলিশের ওই হামলায় আন্দোলনরত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া একজন শিক্ষকও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পুলিশের হামলায় ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থীরা আবারও জড়ো হলে পরে ছাত্রলীগ তাদের ধাওয়া করেছে।
এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
অসদাচরণের অভিযোগ এনে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন তারা।
এরই মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরতদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।