উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল শাবি
শাবি প্রতিনিধি | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:০৫
পুলিশি হামলার ঘটনায় উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে সোমবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন তারা।
প্রতিবেদন লেখার সময় সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে মিছিল নিয়ে তারা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। এতে যোগ দেন ছাত্রী হলসহ বিভিন্ন হলের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী।
তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্মম হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তাকে জবাবদিহি করতে হবে। তার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চলবে।
এছাড়া দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় প্রক্টরিয়াল কমিটি এবং ছাত্র উপদেষ্টাকেও পদত্যাগ করতে হবে বলে দাবি তুলেছেন আন্দোলনরতরা।
উল্লেখ্য, অসদাচরণের অভিযোগ এনে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শাবি শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন তারা।
এরই মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরতদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং শেষে রেজিস্ট্রার ভবন থেকে বের হলে উপাচার্যের পিছু নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় উপাচার্য ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে আশ্রয় নিলে শিক্ষার্থীরা সেখানে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
বিকেল ৫টার দিকে উপাচার্যকে উদ্ধারে শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জের পাশাপাশি তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশের ক্রাইসিস রেসপন্স টিমের সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এছাড়া পুলিশের হামলায় ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থীরা আবারও জড়ো হলে পরে ছাত্রলীগ তাদের ধাওয়া করে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
শাবি প্রতিনিধি | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:০৫

পুলিশি হামলার ঘটনায় উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে সোমবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন তারা।
প্রতিবেদন লেখার সময় সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে মিছিল নিয়ে তারা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। এতে যোগ দেন ছাত্রী হলসহ বিভিন্ন হলের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী।
তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্মম হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তাকে জবাবদিহি করতে হবে। তার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চলবে।
এছাড়া দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় প্রক্টরিয়াল কমিটি এবং ছাত্র উপদেষ্টাকেও পদত্যাগ করতে হবে বলে দাবি তুলেছেন আন্দোলনরতরা।
উল্লেখ্য, অসদাচরণের অভিযোগ এনে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শাবি শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন তারা।
এরই মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরতদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং শেষে রেজিস্ট্রার ভবন থেকে বের হলে উপাচার্যের পিছু নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় উপাচার্য ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে আশ্রয় নিলে শিক্ষার্থীরা সেখানে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
বিকেল ৫টার দিকে উপাচার্যকে উদ্ধারে শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জের পাশাপাশি তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশের ক্রাইসিস রেসপন্স টিমের সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এছাড়া পুলিশের হামলায় ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থীরা আবারও জড়ো হলে পরে ছাত্রলীগ তাদের ধাওয়া করে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।