শাবির ঘটনা তদন্তে কমিটি
শাবি প্রতিনিধি | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:১২
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর সার্বিক তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদারকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেনকে করা হয়েছে সদস্য সচিব।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক তুলসী কুমার দাস কমিটির সদস্য হিসেবে থাকছেন।
উল্লেখ্য, অসদাচরণের অভিযোগ এনে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন শাবি শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন তারা।
এরই মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরতদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং শেষে রেজিস্ট্রার ভবন থেকে বের হলে উপাচার্যের পিছু নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় উপাচার্য ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে আশ্রয় নিলে শিক্ষার্থীরা সেখানে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
বিকেল ৫টার দিকে উপাচার্যকে উদ্ধারে শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জের পাশাপাশি তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশের ক্রাইসিস রেসপন্স টিমের (সিআরটি) সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এছাড়া পুলিশের হামলায় ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থীরা আবারও জড়ো হলে পরে ছাত্রলীগ তাদের ধাওয়া করে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
শাবি প্রতিনিধি | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:১২

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর সার্বিক তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদারকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেনকে করা হয়েছে সদস্য সচিব।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক তুলসী কুমার দাস কমিটির সদস্য হিসেবে থাকছেন।
উল্লেখ্য, অসদাচরণের অভিযোগ এনে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন শাবি শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন তারা।
এরই মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরতদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং শেষে রেজিস্ট্রার ভবন থেকে বের হলে উপাচার্যের পিছু নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় উপাচার্য ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে আশ্রয় নিলে শিক্ষার্থীরা সেখানে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
বিকেল ৫টার দিকে উপাচার্যকে উদ্ধারে শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জের পাশাপাশি তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশের ক্রাইসিস রেসপন্স টিমের (সিআরটি) সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এছাড়া পুলিশের হামলায় ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থীরা আবারও জড়ো হলে পরে ছাত্রলীগ তাদের ধাওয়া করে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।