সন্ধ্যার পর সাংবাদিকদের ফোন দিতে মানা বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টরের!
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:৫৩
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কোনো শিক্ষার্থীর যাই হোক প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানকে সন্ধ্যা ৭টার পর ফোন দিতে সাংবাদিকদের নিষেধ করা হয়েছে।
এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনার বিষয়ে জানতে দেশ রূপান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি শাফিউল কায়েস সোমবার রাত ১১টার দিকে প্রক্টরের মুঠোফোনে কল করলে তিনি এ নিষেধাজ্ঞা দেন।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শেখ শাকিল নামের এক শিক্ষার্থীকে টিউশনি প্রদানের আশ্বাস দিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার মল্লিকের মাঠ নামক এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়।
এই বিষয়টিতে ‘সামান্য ঘটনা’ বলে এড়িয়ে যান প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান।
তিনি ফোনে এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করে এসেছি। তুমি কি রাত ১১টায় আমাকে কল দিতে পারো? তুমি আর কখনো সন্ধ্যার পর কল দেবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী মারা গেলেও কি আপনাকে ফোন করা যাবে না রাত ১১টায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে সন্ধ্যার পর এই সংবাদকর্মীকে ফোন দিতে নিষেধ করেন তিনি।
এদিকে অপহরণের শিকার শিক্ষার্থী শাকিল বলেন, তাকে মারধরসহ বিভিন্ন রকমের মানসিক প্রেশার দিয়ে বাড়ি যোগাযোগ করতে বাধ্য করা হয়। এমনকি অপহরণকারীরা তার মা-বাবাকে বলেন, তোর একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে হলে ৩০,০০০ টাকা দিতে হবে। অন্যথায় তোকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন।
পরবর্তীতে তার পারিবারিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তার খালাতো ভাই বিকাশের মাধ্যমে দুই ধাপে টাকা পাঠালে তাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে এক অটোযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে পৌঁছালে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাইনুউদ্দিন পরান বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং ডেকে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক কে এম ইয়ামিনুল হাসান আলিফ বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে। একজন সংবাদকর্মী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে মাঝরাতেও ফোন দিতে পারে। তিনি ব্যস্ত থাকলে ফোন ধরবেন না কিংবা ফোন ধরে বলতে পারেন ব্যস্ত আছি পরে কথা বলবো। কিন্তু ফোন ধরে আমাকে (প্রক্টরকে) সন্ধ্যার পর ফোন দেয়া যাবে না আমার মনে হয় যে প্রক্টরের দায়িত্বশীল আচরণ না। প্রক্টরের অনেক দায়িত্ব, তিনি যদি সন্ধ্যার পর ফোন ধরতে না পারে, তবে আমার মনে হয় উনার প্রক্টরের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া উচিত।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:৫৩

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কোনো শিক্ষার্থীর যাই হোক প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানকে সন্ধ্যা ৭টার পর ফোন দিতে সাংবাদিকদের নিষেধ করা হয়েছে।
এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনার বিষয়ে জানতে দেশ রূপান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি শাফিউল কায়েস সোমবার রাত ১১টার দিকে প্রক্টরের মুঠোফোনে কল করলে তিনি এ নিষেধাজ্ঞা দেন।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শেখ শাকিল নামের এক শিক্ষার্থীকে টিউশনি প্রদানের আশ্বাস দিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার মল্লিকের মাঠ নামক এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়।
এই বিষয়টিতে ‘সামান্য ঘটনা’ বলে এড়িয়ে যান প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান।
তিনি ফোনে এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করে এসেছি। তুমি কি রাত ১১টায় আমাকে কল দিতে পারো? তুমি আর কখনো সন্ধ্যার পর কল দেবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী মারা গেলেও কি আপনাকে ফোন করা যাবে না রাত ১১টায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে সন্ধ্যার পর এই সংবাদকর্মীকে ফোন দিতে নিষেধ করেন তিনি।
এদিকে অপহরণের শিকার শিক্ষার্থী শাকিল বলেন, তাকে মারধরসহ বিভিন্ন রকমের মানসিক প্রেশার দিয়ে বাড়ি যোগাযোগ করতে বাধ্য করা হয়। এমনকি অপহরণকারীরা তার মা-বাবাকে বলেন, তোর একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে হলে ৩০,০০০ টাকা দিতে হবে। অন্যথায় তোকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন।
পরবর্তীতে তার পারিবারিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তার খালাতো ভাই বিকাশের মাধ্যমে দুই ধাপে টাকা পাঠালে তাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে এক অটোযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে পৌঁছালে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাইনুউদ্দিন পরান বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং ডেকে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক কে এম ইয়ামিনুল হাসান আলিফ বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে। একজন সংবাদকর্মী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে মাঝরাতেও ফোন দিতে পারে। তিনি ব্যস্ত থাকলে ফোন ধরবেন না কিংবা ফোন ধরে বলতে পারেন ব্যস্ত আছি পরে কথা বলবো। কিন্তু ফোন ধরে আমাকে (প্রক্টরকে) সন্ধ্যার পর ফোন দেয়া যাবে না আমার মনে হয় যে প্রক্টরের দায়িত্বশীল আচরণ না। প্রক্টরের অনেক দায়িত্ব, তিনি যদি সন্ধ্যার পর ফোন ধরতে না পারে, তবে আমার মনে হয় উনার প্রক্টরের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া উচিত।