বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ উপাচার্য কি পদত্যাগের হুমকি দিয়েছিলেন?
অনলাইন ডেস্ক | ২২ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:৪৪
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অপসরণ করা হলে ৩৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদত্যাগ করবেন বলে একটি খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া খবরে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে ওই খবরটি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান।
শনিবার তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল মিটিং হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে ৩৪ জন উপাচার্য একযোগে পদত্যাগের হুমকি বা এ বিষয়ে কোনো আলাপ-আলোচনা হয়নি।
ফেসবুকে ছড়ানো খবরটি সম্পূর্ণ গুজব, মিথ্যা ও বানোয়াট বলে জানান তিনি।
ওই মিটিংয়ে অংশ নেয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মুনাজ আহমেদ জানান, তিনি ওই বৈঠকে ছিলেন। ফেসবুকে ছড়ানো ওইরকম কোনো সিদ্ধান্তের কথা তিনি জানেন না।
বৈঠকে অংশ নেয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান ওই মিটিংয়ের শেষ সময়ে যুক্ত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। তিনি ফেসবুকে ছড়ানো খবরের বিষয়ে কিছু জানেন না। এ ছাড়া সবার বক্তব্য তিনি শুনতেও পারেননি বলে জানান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ওই মিটিংয়ে যুক্ত ছিলেন না। তবে, ও রকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তাকে অবগত করা হতো বলে জানান তিনি।
ওই মিটিংয়ে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তবে অসুস্থতার জন্য যুক্ত হতে পারেননি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সত্যপ্রসাদ মজুমদার।
ফেসবুকে ছড়ানো তথ্য/খবরটি যিনি প্রথমে দিয়েছিলেন তার সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের পক্ষ হতে যোগাযোগ করা হলে, তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে, তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২২ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:৪৪

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অপসরণ করা হলে ৩৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদত্যাগ করবেন বলে একটি খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া খবরে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে ওই খবরটি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান।
শনিবার তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল মিটিং হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে ৩৪ জন উপাচার্য একযোগে পদত্যাগের হুমকি বা এ বিষয়ে কোনো আলাপ-আলোচনা হয়নি।
ফেসবুকে ছড়ানো খবরটি সম্পূর্ণ গুজব, মিথ্যা ও বানোয়াট বলে জানান তিনি।
ওই মিটিংয়ে অংশ নেয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মুনাজ আহমেদ জানান, তিনি ওই বৈঠকে ছিলেন। ফেসবুকে ছড়ানো ওইরকম কোনো সিদ্ধান্তের কথা তিনি জানেন না।
বৈঠকে অংশ নেয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান ওই মিটিংয়ের শেষ সময়ে যুক্ত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। তিনি ফেসবুকে ছড়ানো খবরের বিষয়ে কিছু জানেন না। এ ছাড়া সবার বক্তব্য তিনি শুনতেও পারেননি বলে জানান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ওই মিটিংয়ে যুক্ত ছিলেন না। তবে, ও রকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তাকে অবগত করা হতো বলে জানান তিনি।
ওই মিটিংয়ে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তবে অসুস্থতার জন্য যুক্ত হতে পারেননি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সত্যপ্রসাদ মজুমদার।
ফেসবুকে ছড়ানো তথ্য/খবরটি যিনি প্রথমে দিয়েছিলেন তার সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের পক্ষ হতে যোগাযোগ করা হলে, তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে, তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।