পুলিশি হামলা ও প্রশাসনের নিন্দা জানিয়ে শাবিপ্রবি শিক্ষকদের বিবৃতি
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:১১
আন্দোলনের ১২ দিন পরে এসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা এবং প্রশাসনের তৎপরতার নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ।
শনিবার রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা জানান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীদের জীবন বিপন্ন হতে চলেছে। এমতাবস্থায় শিক্ষক হিসেবে আমরা শুরু থেকেই চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে লক্ষ করছি যে, দায়িত্বশীল ব্যক্তিগণ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের আক্রমণের ব্যাপারে কোনো অফিশিয়াল ব্যাখ্যা প্রকাশ্যে না-দিয়ে কালক্ষেপণের মাধ্যমে অনশনরত শিক্ষার্থীদের জীবন চরম সংকটের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এ ছাড়া আমরা চরম হতাশার সঙ্গে লক্ষ করেছি যে, এ-সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও বাস্তবে উল্লিখিত তদন্ত কমিটি কোনোরকম অগ্রগতি করেছে বলে দৃশ্যমান হচ্ছে না।
শিক্ষকরা বলেন, আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে-যাওয়া যে কোনো ঘটনার দায়ভার কোনোভাবেই প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এড়াতে পারেন না। এমতাবস্থায়, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে যাবতীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক ব্যক্তিদের প্রত্যেকের অফিশিয়াল ব্যাখ্যা জনসমক্ষে উপস্থাপন করার দাবি জানাই। একইসঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের পদত্যাগেরও জোর দাবি করছি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মস্তাবুর রহমান, আহ্বায়ক, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ।
উল্লেখ্য ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে পুলিশ হামলা চালায়। এরপর আন্দোলন মোড় নেয় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে। এ দাবিতে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন চালিয়ে আসছিলেন।
আন্দোলনের পক্ষে এর আগ পর্যন্ত কোনো শিক্ষক বিবৃতি দেননি। তারা শিক্ষার্থীদের সমালোচনা করে আসছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:১১

আন্দোলনের ১২ দিন পরে এসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা এবং প্রশাসনের তৎপরতার নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ।
শনিবার রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা জানান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীদের জীবন বিপন্ন হতে চলেছে। এমতাবস্থায় শিক্ষক হিসেবে আমরা শুরু থেকেই চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে লক্ষ করছি যে, দায়িত্বশীল ব্যক্তিগণ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের আক্রমণের ব্যাপারে কোনো অফিশিয়াল ব্যাখ্যা প্রকাশ্যে না-দিয়ে কালক্ষেপণের মাধ্যমে অনশনরত শিক্ষার্থীদের জীবন চরম সংকটের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এ ছাড়া আমরা চরম হতাশার সঙ্গে লক্ষ করেছি যে, এ-সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও বাস্তবে উল্লিখিত তদন্ত কমিটি কোনোরকম অগ্রগতি করেছে বলে দৃশ্যমান হচ্ছে না।
শিক্ষকরা বলেন, আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে-যাওয়া যে কোনো ঘটনার দায়ভার কোনোভাবেই প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এড়াতে পারেন না। এমতাবস্থায়, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে যাবতীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক ব্যক্তিদের প্রত্যেকের অফিশিয়াল ব্যাখ্যা জনসমক্ষে উপস্থাপন করার দাবি জানাই। একইসঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের পদত্যাগেরও জোর দাবি করছি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মস্তাবুর রহমান, আহ্বায়ক, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ।
উল্লেখ্য ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে পুলিশ হামলা চালায়। এরপর আন্দোলন মোড় নেয় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে। এ দাবিতে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন চালিয়ে আসছিলেন।
আন্দোলনের পক্ষে এর আগ পর্যন্ত কোনো শিক্ষক বিবৃতি দেননি। তারা শিক্ষার্থীদের সমালোচনা করে আসছিলেন।