শাবিপ্রবি
উপাচার্যের পদত্যাগ: সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ শিক্ষক সমিতির
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:০২
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ বিষয়ে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
রবিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে চার দফা দাবি জানান তারা।
শিক্ষক সমিতির প্যাডে নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষরিত ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যেসব দাবি জানানো হয়-
১. শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর বর্বরোচিত পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে সরকার কর্তৃক নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর জন্য যা যা করা দরকার তা অনতিবিলম্বে করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
৩. উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। এ ক্ষেত্রে অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
৪. শিক্ষার্থীদের প্রতি কোনোরকম সহিংসতায় সম্পৃক্ত না হওয়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান।
গত ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন ১৬ জানুয়ারি পুলিশি অ্যাকশনের পর উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিকেল ২টা ৫০ মিনিট থেকে ২৪ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেন। পরবর্তীতে একজন শিক্ষার্থীর বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তিনি বাড়ি চলে যান। পরে গতকাল শনিবার থেকে স্বেচ্ছা গণঅনশন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। রবিবার সকাল পর্যন্ত আরও ৪ শিক্ষার্থী অনশনে বসেছেন।
রবিবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনের পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন আন্দোলনকারীরা। তারা ওই বাসভবনের সামনে মানব দেয়াল গড়ে তোলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:০২

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ বিষয়ে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
রবিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে চার দফা দাবি জানান তারা।
শিক্ষক সমিতির প্যাডে নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষরিত ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যেসব দাবি জানানো হয়-
১. শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর বর্বরোচিত পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে সরকার কর্তৃক নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর জন্য যা যা করা দরকার তা অনতিবিলম্বে করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
৩. উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। এ ক্ষেত্রে অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
৪. শিক্ষার্থীদের প্রতি কোনোরকম সহিংসতায় সম্পৃক্ত না হওয়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান।
গত ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন ১৬ জানুয়ারি পুলিশি অ্যাকশনের পর উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিকেল ২টা ৫০ মিনিট থেকে ২৪ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেন। পরবর্তীতে একজন শিক্ষার্থীর বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তিনি বাড়ি চলে যান। পরে গতকাল শনিবার থেকে স্বেচ্ছা গণঅনশন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। রবিবার সকাল পর্যন্ত আরও ৪ শিক্ষার্থী অনশনে বসেছেন।
রবিবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনের পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন আন্দোলনকারীরা। তারা ওই বাসভবনের সামনে মানব দেয়াল গড়ে তোলেন।