জাবিতে ছাত্রকে লাঞ্ছিতের অভিযোগে দুই ছাত্রী বহিষ্কার
জাবি প্রতিনিধি | ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০৮:৪৭
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক ছাত্রকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে দুই ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে রাত এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের সুমাইয়া বিনতে ইকরাম ও তার সহপাঠী আনিকা তাবাচ্ছুম মিম। এদের মধ্যে সুমাইয়াকে এক বছর ও আনিকা তাবাচ্ছুমকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘৪৪তম ব্যাচের এক ছাত্রকে থাপ্পড় দেওয়া ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় সুমাইয়াকে এক বছর এবং গালিগালাজ করা ও অসদাচরণের জন্য আনিকাকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির প্রতিবেদন ও শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ বিবেচনায় নিয়েছে সিন্ডিকেট।’
শাস্তি চলাকালীন বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বিরত থাকবেন বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, গত সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় রাস্তায় হাটার সময় ‘সাইড’ দেওয়াকে কেন্দ্র করে সুমাইয়া ও তার বান্ধবী আনিকার সঙ্গে ৪৪তম ব্যাচের ভুক্তভোগী ছাত্রের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
এ সময় সুমাইয়া ভুক্তভোগী ছাত্রকে মারতে উদ্যত হয়। ঘটনাস্থলে অন্যরা এসে দুই পক্ষকে আলাদা করে। কিছুক্ষণ পর ঘটনার মীমাংসা করার সময় ভুক্তভোগী ছাত্রকে থাপ্পড় মারেন এবং উচ্চবাচ্য করেন সুমাইয়া।
সুমাইয়া বিনতে ইকরাম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘রাস্তায় সাইড চাইলে তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণাত্মক অঙ্গভঙ্গি করে ও আমাকে নেশাগ্রস্ত বলে সম্বোধন করে। তখন আমি এর প্রতিবাদ জানাই।’
ভুক্তভোগী ছাত্র বলেন, ‘এটি সত্যিই লজ্জার ও দুঃখজনক ঘটনা। আমরা বান্ধবীসহ প্রিন্টের কাজে যাচ্ছিলাম। তখন মেয়েটি উচ্চ স্বরে সাইড চাইলে আমি বলি- আপু রাস্তার তো ৭০ ভাগ জায়গাই খালি আছে। এই কথার প্রেক্ষিতে সে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। কিন্তু পরে তার বয়ফ্রেন্ড বিষয়টা সমাধান করতে ডাকলে মেয়েটি হঠাৎ করে আমাকে থাপ্পড় মেরে বসে।’
এ ঘটনার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্র সোমবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ওই রাতে প্রক্টর অফিসে উভয় পক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের লিখিত সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
প্রক্টর অফিসে উপস্থিত প্রশাসনিক ও শিক্ষক সমিতির নেতারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টির সুরাহা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
জাবি প্রতিনিধি | ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০৮:৪৭

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক ছাত্রকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে দুই ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে রাত এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের সুমাইয়া বিনতে ইকরাম ও তার সহপাঠী আনিকা তাবাচ্ছুম মিম। এদের মধ্যে সুমাইয়াকে এক বছর ও আনিকা তাবাচ্ছুমকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘৪৪তম ব্যাচের এক ছাত্রকে থাপ্পড় দেওয়া ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় সুমাইয়াকে এক বছর এবং গালিগালাজ করা ও অসদাচরণের জন্য আনিকাকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির প্রতিবেদন ও শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ বিবেচনায় নিয়েছে সিন্ডিকেট।’
শাস্তি চলাকালীন বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বিরত থাকবেন বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, গত সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় রাস্তায় হাটার সময় ‘সাইড’ দেওয়াকে কেন্দ্র করে সুমাইয়া ও তার বান্ধবী আনিকার সঙ্গে ৪৪তম ব্যাচের ভুক্তভোগী ছাত্রের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
এ সময় সুমাইয়া ভুক্তভোগী ছাত্রকে মারতে উদ্যত হয়। ঘটনাস্থলে অন্যরা এসে দুই পক্ষকে আলাদা করে। কিছুক্ষণ পর ঘটনার মীমাংসা করার সময় ভুক্তভোগী ছাত্রকে থাপ্পড় মারেন এবং উচ্চবাচ্য করেন সুমাইয়া।
সুমাইয়া বিনতে ইকরাম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘রাস্তায় সাইড চাইলে তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণাত্মক অঙ্গভঙ্গি করে ও আমাকে নেশাগ্রস্ত বলে সম্বোধন করে। তখন আমি এর প্রতিবাদ জানাই।’
ভুক্তভোগী ছাত্র বলেন, ‘এটি সত্যিই লজ্জার ও দুঃখজনক ঘটনা। আমরা বান্ধবীসহ প্রিন্টের কাজে যাচ্ছিলাম। তখন মেয়েটি উচ্চ স্বরে সাইড চাইলে আমি বলি- আপু রাস্তার তো ৭০ ভাগ জায়গাই খালি আছে। এই কথার প্রেক্ষিতে সে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। কিন্তু পরে তার বয়ফ্রেন্ড বিষয়টা সমাধান করতে ডাকলে মেয়েটি হঠাৎ করে আমাকে থাপ্পড় মেরে বসে।’
এ ঘটনার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্র সোমবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ওই রাতে প্রক্টর অফিসে উভয় পক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের লিখিত সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
প্রক্টর অফিসে উপস্থিত প্রশাসনিক ও শিক্ষক সমিতির নেতারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টির সুরাহা করার প্রতিশ্রুতি দেন।