‘রাবির ছাত্র উপদেষ্টাকে ভুল স্বীকার করে পদত্যাগ করতে হবে’
রাবি প্রতিনিধি | ১৪ মে, ২০২২ ২১:০৭
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রীদের নিয়ে ‘অবান্তর ও অশোভন’ মন্তব্য করায় বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নূরের পদত্যাগ দাবি করেছে শাখা ছাত্র ফেডারেশন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সান্ধ্য আইন’ বাতিলের দাবিও করেছে সংগঠনটি।
শনিবার সকালে রাবি ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য সন্তপ্ত সন্ধি স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির নেতারা বলেন, আমরা সংবাদমাধ্যমে দেখলাম নারী শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের সময়সীমা কমিয়ে আনার বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘নারী শিক্ষার্থীরা এলোমেলো জীবনযাপন করে’। তার এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি নারী শিক্ষার্থীদের হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। যা একজন শিক্ষক করতে পারেন না।
‘আমরা দাবি করছি, তিনি তার বক্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করে বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন। তিনি কীসের ভিত্তিতে এমন মন্তব্য করেছেন তার জবাবদিহি তাকে করতে হবে। আমরা এও মনে করি এমন মন্তব্য করার পর তিনি নৈতিকভাবেই ছাত্র উপদেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থাকতে পারেন না।’
বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা আরও বলেন, সান্ধ্য আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক এবং শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি সর্বোপরি উন্মুক্ত জ্ঞান চর্চার পথ বন্ধ করে দেয়। ফলে শিক্ষার্থীদের মুক্ত বিকাশ ও মনন গঠনে অচিরেই সান্ধ্য আইন বাতিল করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবিতে নারী-পুরুষ সব শিক্ষার্থীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
রাবি প্রতিনিধি | ১৪ মে, ২০২২ ২১:০৭

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রীদের নিয়ে ‘অবান্তর ও অশোভন’ মন্তব্য করায় বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নূরের পদত্যাগ দাবি করেছে শাখা ছাত্র ফেডারেশন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সান্ধ্য আইন’ বাতিলের দাবিও করেছে সংগঠনটি।
শনিবার সকালে রাবি ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য সন্তপ্ত সন্ধি স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির নেতারা বলেন, আমরা সংবাদমাধ্যমে দেখলাম নারী শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের সময়সীমা কমিয়ে আনার বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘নারী শিক্ষার্থীরা এলোমেলো জীবনযাপন করে’। তার এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি নারী শিক্ষার্থীদের হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। যা একজন শিক্ষক করতে পারেন না।
‘আমরা দাবি করছি, তিনি তার বক্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করে বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন। তিনি কীসের ভিত্তিতে এমন মন্তব্য করেছেন তার জবাবদিহি তাকে করতে হবে। আমরা এও মনে করি এমন মন্তব্য করার পর তিনি নৈতিকভাবেই ছাত্র উপদেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থাকতে পারেন না।’
বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা আরও বলেন, সান্ধ্য আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক এবং শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি সর্বোপরি উন্মুক্ত জ্ঞান চর্চার পথ বন্ধ করে দেয়। ফলে শিক্ষার্থীদের মুক্ত বিকাশ ও মনন গঠনে অচিরেই সান্ধ্য আইন বাতিল করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবিতে নারী-পুরুষ সব শিক্ষার্থীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা।