বশেমুরবিপ্রবিতে ২ শিক্ষকের ‘হাতাহাতি’, অজ্ঞান হয়ে একজন হাসপাতালে
শাফিউল কায়েস, বশেমুরবিপ্রবি | ২৬ জুন, ২০২২ ২২:২৬
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী খানকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার রিপন খলিফার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ড. মোহাম্মদ আলী খান গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
রবিবার (২৬ জুন) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সভাপতির অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ড. মোহাম্মদ আলী খান।
তিনি বলেন, ’রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিভাগের সভাপতি আমাকে ফোন দেন যে আপনি একটু অফিসে আসেন। গিয়ে দেখি বিভাগের সভাপতি আছেন, কিছু সময় পর সহকর্মী সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার রিপন খলিফাসহ অন্যান্য সহকর্মীরা আসেন। রুমে আসার পর সহকর্মী রিপন খলিফা সভাপতিকে বলেন, আমার প্রমোশন নিয়ে কারা ভিসিকে অভিযোগ দিয়েছেন। সভাপতি বলেন, আমি অভিযোগ দিইনি। রিপন খলিফা বলেন, ভিসি মিথ্যা বলছে; না হয় আপনি মিথ্যা বলছেন। এদিকে সভাপতি বলেন, আপনার (আলী) পিএইচডি সার্টিফিকেটসহ সবকিছু সঠিক, আপনি সহযোগী অধ্যাপক প্রমোশনের যোগ্য। সভাপতি জানালেন আমার বিরুদ্ধে ভিসি স্যারের কাছে কে যেন অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তিনি অফিস রুম থেকে চলে যান। এরপর আমি এখন হাসপাতালে ভর্তি। জ্ঞান ফেরার পর জানতে পারি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলাম’।
তিনি আরো বলেন, ‘হুমকি-ধমকি, হাতাহাতি ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে, বিভাগের সভাপতি আমাদের ছাড়াতে আসেন। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করব। এ বিষয়টি প্রশাসনকে জানাব, প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেয়ার নেবে’।
সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার রিপন খলিফা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এটা একটা নির্লজ্জ, মিথ্যাচার এ রকম কিছু এখানে ঘটেনি। আমি ওনাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছি, হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে এসেছি। আমি ডাক্তার ম্যানেজ করে দিয়ে এসেছি, আমি সব করেছি। উনি তো অসুস্থ আগে থেকেই। তিনি শারীরিক-মানসিকভাবে অসুস্থ’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের রুমে যেটা হয়েছে, আমাদের ফার্মেসির বোর্ড হওয়ার কথা ছিল আগামী মঙ্গলবার, সেটা স্থগিত হয়েছে। কীসের কারণে স্থগিত হয়েছে আমাদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে অভিযোগ করেছেন আমার নামে। সহযোগী অধ্যাপকের বোর্ড। ওটা অভিযোগ করেছিলেন, অভিযোগের যখন কথাবার্তা আসছে তখন উনি উত্তেজিত হয়ে কথা বলেছেন এবং আমিও উত্তেজিত হয়ে কথা বলি। পরে আমি রুম থেকে বের হয়ে চলে আসি এরপর উনি সেন্সলেস হয়ে পড়ে যান’।
এ বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন দেখিয়ে ফোনে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
শাফিউল কায়েস, বশেমুরবিপ্রবি | ২৬ জুন, ২০২২ ২২:২৬

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী খানকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার রিপন খলিফার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ড. মোহাম্মদ আলী খান গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
রবিবার (২৬ জুন) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সভাপতির অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ড. মোহাম্মদ আলী খান।
তিনি বলেন, ’রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিভাগের সভাপতি আমাকে ফোন দেন যে আপনি একটু অফিসে আসেন। গিয়ে দেখি বিভাগের সভাপতি আছেন, কিছু সময় পর সহকর্মী সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার রিপন খলিফাসহ অন্যান্য সহকর্মীরা আসেন। রুমে আসার পর সহকর্মী রিপন খলিফা সভাপতিকে বলেন, আমার প্রমোশন নিয়ে কারা ভিসিকে অভিযোগ দিয়েছেন। সভাপতি বলেন, আমি অভিযোগ দিইনি। রিপন খলিফা বলেন, ভিসি মিথ্যা বলছে; না হয় আপনি মিথ্যা বলছেন। এদিকে সভাপতি বলেন, আপনার (আলী) পিএইচডি সার্টিফিকেটসহ সবকিছু সঠিক, আপনি সহযোগী অধ্যাপক প্রমোশনের যোগ্য। সভাপতি জানালেন আমার বিরুদ্ধে ভিসি স্যারের কাছে কে যেন অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তিনি অফিস রুম থেকে চলে যান। এরপর আমি এখন হাসপাতালে ভর্তি। জ্ঞান ফেরার পর জানতে পারি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলাম’।
তিনি আরো বলেন, ‘হুমকি-ধমকি, হাতাহাতি ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে, বিভাগের সভাপতি আমাদের ছাড়াতে আসেন। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করব। এ বিষয়টি প্রশাসনকে জানাব, প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেয়ার নেবে’।
সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার রিপন খলিফা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এটা একটা নির্লজ্জ, মিথ্যাচার এ রকম কিছু এখানে ঘটেনি। আমি ওনাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছি, হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে এসেছি। আমি ডাক্তার ম্যানেজ করে দিয়ে এসেছি, আমি সব করেছি। উনি তো অসুস্থ আগে থেকেই। তিনি শারীরিক-মানসিকভাবে অসুস্থ’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের রুমে যেটা হয়েছে, আমাদের ফার্মেসির বোর্ড হওয়ার কথা ছিল আগামী মঙ্গলবার, সেটা স্থগিত হয়েছে। কীসের কারণে স্থগিত হয়েছে আমাদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে অভিযোগ করেছেন আমার নামে। সহযোগী অধ্যাপকের বোর্ড। ওটা অভিযোগ করেছিলেন, অভিযোগের যখন কথাবার্তা আসছে তখন উনি উত্তেজিত হয়ে কথা বলেছেন এবং আমিও উত্তেজিত হয়ে কথা বলি। পরে আমি রুম থেকে বের হয়ে চলে আসি এরপর উনি সেন্সলেস হয়ে পড়ে যান’।
এ বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন দেখিয়ে ফোনে মন্তব্য করতে রাজি হননি।