রাজধানীতে স্টিল মিলে দগ্ধ ৮ শ্রমিক
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২৩:১৯
রাজধানীর শ্যামপুরের কদমতলী স্টিল মিলে লোহা গলানোর সময় ৮ কর্মচারী দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। দগ্ধদের মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরে ৫০ শতাংশের বেশি জ্বলে গেছে।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, মান্নান (৪০), আল-আমিন (৩০), আফসার (৩৫), লাবু (২৫), জাহাঙ্গীর (৩০), আজিজ (৩২), শাহ আলম (২৮) ও লতিফ (৩৫)।
স্টিল মিলের কর্মচারী আবু বক্কর সুমন জানান, তারা শ্যামপুর বালুর মাঠ ১২ নম্বর রোডের ওয়াসা গেট এলাকার কদমতলী স্টিল মিলে কাজ করেন। বয়লার মেশিনে ১২ টন পরিমাণ লোহা গলাচ্ছিলেন। কাজের শেষ পর্যায়ে ব্রয়লারের সকেট (যন্ত্র) পড়ে গেলে গলিত লোহা ছিটকে পড়তে থাকে। এতে বয়লারের আশপাশে থাকা ওই ৮ কর্মচারী দগ্ধ হয়।
বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, দগ্ধ ৫ থেকে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের শরীরে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর দুজনের শরীরের পোড়া অংশ ৫০ শতাংশের কম। তবে শঙ্কামুক্ত নয়।
কদমতলী থানার ওসি আ. জলিল দেশ রূপান্তরকে বলেন, স্টিল মিলে ৮ জনের দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারখানায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২৩:১৯

রাজধানীর শ্যামপুরের কদমতলী স্টিল মিলে লোহা গলানোর সময় ৮ কর্মচারী দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। দগ্ধদের মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরে ৫০ শতাংশের বেশি জ্বলে গেছে।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, মান্নান (৪০), আল-আমিন (৩০), আফসার (৩৫), লাবু (২৫), জাহাঙ্গীর (৩০), আজিজ (৩২), শাহ আলম (২৮) ও লতিফ (৩৫)।
স্টিল মিলের কর্মচারী আবু বক্কর সুমন জানান, তারা শ্যামপুর বালুর মাঠ ১২ নম্বর রোডের ওয়াসা গেট এলাকার কদমতলী স্টিল মিলে কাজ করেন। বয়লার মেশিনে ১২ টন পরিমাণ লোহা গলাচ্ছিলেন। কাজের শেষ পর্যায়ে ব্রয়লারের সকেট (যন্ত্র) পড়ে গেলে গলিত লোহা ছিটকে পড়তে থাকে। এতে বয়লারের আশপাশে থাকা ওই ৮ কর্মচারী দগ্ধ হয়।
বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, দগ্ধ ৫ থেকে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের শরীরে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর দুজনের শরীরের পোড়া অংশ ৫০ শতাংশের কম। তবে শঙ্কামুক্ত নয়।
কদমতলী থানার ওসি আ. জলিল দেশ রূপান্তরকে বলেন, স্টিল মিলে ৮ জনের দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারখানায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।