সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:০৭
রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। তাদের দাবি, ওই ব্যক্তি জামায়াতে ইসলামীর একজন ‘বড় নেতা’।
গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম বুধবার রাতে নাজমুল সুমন নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর গুলশান থানায় হস্তান্তর করে।
গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, “গ্রেপ্তার নাজমুল সুমন জামায়াতের একজন বড় নেতা। তার বিরুদ্ধে নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি গুলশান এলাকার জামায়াতের রুকন।”
তিনি বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে নাজমুল সুমনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা না প্রকাশ না করার শর্তে দেশ রূপান্তরকে জানান, গ্রেপ্তার নাজমুল সুমন মূলধারার একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। পাশাপাশি বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, “শিক্ষক এবং সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে নাজমুল সুমন মূলত জামায়াত শিবিরের সাংগঠনিক কাজ করছিলেন। মাঝেমধ্যেই গুলশান থানার শাহাজাদপুরে তার নিজ বাসায় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের গোপন বৈঠক হতো।”
ওই পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, ‘সুমনের এক ভাই গুলশান থানা যুবলীগের নেতা। তার পরিবার দাবি করেছে, তার আরেক ভাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বড় অফিসার। গুলশান থানার পাঁচটি মামলায় সুমন এজাহারনামীয় আসামি।”
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:০৭

রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। তাদের দাবি, ওই ব্যক্তি জামায়াতে ইসলামীর একজন ‘বড় নেতা’।
গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম বুধবার রাতে নাজমুল সুমন নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর গুলশান থানায় হস্তান্তর করে।
গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, “গ্রেপ্তার নাজমুল সুমন জামায়াতের একজন বড় নেতা। তার বিরুদ্ধে নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি গুলশান এলাকার জামায়াতের রুকন।”
তিনি বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে নাজমুল সুমনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা না প্রকাশ না করার শর্তে দেশ রূপান্তরকে জানান, গ্রেপ্তার নাজমুল সুমন মূলধারার একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। পাশাপাশি বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, “শিক্ষক এবং সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে নাজমুল সুমন মূলত জামায়াত শিবিরের সাংগঠনিক কাজ করছিলেন। মাঝেমধ্যেই গুলশান থানার শাহাজাদপুরে তার নিজ বাসায় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের গোপন বৈঠক হতো।”
ওই পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, ‘সুমনের এক ভাই গুলশান থানা যুবলীগের নেতা। তার পরিবার দাবি করেছে, তার আরেক ভাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বড় অফিসার। গুলশান থানার পাঁচটি মামলায় সুমন এজাহারনামীয় আসামি।”