হাইকোর্ট মাজারের সিন্দুক ভেঙে চুরি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:৪৮
হাইকোর্ট মসজিদ ও মাজারের ১১টি সিন্দুকের তালা ভেঙে টাকা চুরি হয়েছে। ছবি: দেশ রূপান্তর
হাইকোর্ট মসজিদ ও মাজারের ১১টি সিন্দুকের তালা ভেঙে টাকা চুরি করেছে এক দুর্বৃত্ত। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে একজনকে চুরি করতে দেখা গেলেও তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। শনিবার মধ্যরাতের ওই ঘটনায় কী পরিমাণ অর্থ খোয়া গেছে তা জানাতে পারেনি মসজিদ ও মাজার কর্তৃপক্ষ।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর হোসেন সরদার জানান, রোববার সকালে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মাজার পরিচালনা কমিটি ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিতসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
শাহ খাজা শরফ উদ্দিন চিশতি (র.) মাজার ও মসজিদে গিয়ে দেখা গেছে, মাজারের ভেতরে থাকা বেশির ভাগ সিন্দুকের তালা খোলা। খুচরা মুদ্রা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। মাজারের উত্তরপাশে নারীদের ব্যবহৃত অজুখানা ও টয়লেটের গ্রিল কাটা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও মসজিদ-মাজার পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’ কমিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা নূর হোসেন খান বলেন, ‘দানবাক্সগুলোতে কত টাকা ছিল বা কী পরিমাণ টাকা চুরি হয়েছে এর কোনো হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি।’ সংশ্লিষ্টরা জানান, সাধারণত তিন মাস পর পর এসব সিন্দুকের তালা খোলা হয়। চুরির ঘটনার ২৬ দিন আগে সর্বশেষ সব সিন্দুক খুলে টাকা বের করা হয়েছিল।
রাতে দুজন আনসার সদস্যের দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও এদিন একজন ছিলেন। আনসার সদস্য মোতালেব বলেন, স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে আমার সঙ্গী আব্দুর রাজ্জাক গ্রামের বাড়িতে যান। তাই এদিন আমি একাই দায়িত্ব পালন করি। রাত ১টা থেকে দেড়টার দিকে টহলের সময় দেখি নারীদের ব্যবহৃত টয়লেটের পাশে বড় জানালার গ্রিল কাটা এবং নামাজের স্থানে প্রবেশের কলাপসিবল গেটের তালাও কাটা। পরে আনসার কমান্ডারকে ডেকে তুলি।
ইন্সপেক্টর আরিফুর জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মুখোশ ও কালো রঙের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি বড় কাটার দিয়ে সিন্দুকের তালা কাটছে। সব টাকা লালসালু কাপড়ে মুড়িয়ে তাকে বের হতে দেখা গেছে। ওই চোরের মুখ ঢাকা ও ফুটেজের মান খারাপ থাকায় তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটে বলেও জানান তিনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:৪৮

হাইকোর্ট মসজিদ ও মাজারের ১১টি সিন্দুকের তালা ভেঙে টাকা চুরি করেছে এক দুর্বৃত্ত। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে একজনকে চুরি করতে দেখা গেলেও তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। শনিবার মধ্যরাতের ওই ঘটনায় কী পরিমাণ অর্থ খোয়া গেছে তা জানাতে পারেনি মসজিদ ও মাজার কর্তৃপক্ষ।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর হোসেন সরদার জানান, রোববার সকালে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মাজার পরিচালনা কমিটি ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিতসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
শাহ খাজা শরফ উদ্দিন চিশতি (র.) মাজার ও মসজিদে গিয়ে দেখা গেছে, মাজারের ভেতরে থাকা বেশির ভাগ সিন্দুকের তালা খোলা। খুচরা মুদ্রা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। মাজারের উত্তরপাশে নারীদের ব্যবহৃত অজুখানা ও টয়লেটের গ্রিল কাটা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও মসজিদ-মাজার পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’ কমিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা নূর হোসেন খান বলেন, ‘দানবাক্সগুলোতে কত টাকা ছিল বা কী পরিমাণ টাকা চুরি হয়েছে এর কোনো হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি।’ সংশ্লিষ্টরা জানান, সাধারণত তিন মাস পর পর এসব সিন্দুকের তালা খোলা হয়। চুরির ঘটনার ২৬ দিন আগে সর্বশেষ সব সিন্দুক খুলে টাকা বের করা হয়েছিল।
রাতে দুজন আনসার সদস্যের দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও এদিন একজন ছিলেন। আনসার সদস্য মোতালেব বলেন, স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে আমার সঙ্গী আব্দুর রাজ্জাক গ্রামের বাড়িতে যান। তাই এদিন আমি একাই দায়িত্ব পালন করি। রাত ১টা থেকে দেড়টার দিকে টহলের সময় দেখি নারীদের ব্যবহৃত টয়লেটের পাশে বড় জানালার গ্রিল কাটা এবং নামাজের স্থানে প্রবেশের কলাপসিবল গেটের তালাও কাটা। পরে আনসার কমান্ডারকে ডেকে তুলি।
ইন্সপেক্টর আরিফুর জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মুখোশ ও কালো রঙের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি বড় কাটার দিয়ে সিন্দুকের তালা কাটছে। সব টাকা লালসালু কাপড়ে মুড়িয়ে তাকে বের হতে দেখা গেছে। ওই চোরের মুখ ঢাকা ও ফুটেজের মান খারাপ থাকায় তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটে বলেও জানান তিনি।