মালিবাগে বাসচাপায় দুই নারী শ্রমিকের মৃত্যু: ব্যাপক বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৯:২১
মালিবাগে দুই নারী শ্রমিক নিহতের পর ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। ছবি: রুবেল রশিদ
রাজধানীর মালিবাগে মঙ্গলবার বাসচাপায় দুই নারী পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকে দিনভর বিক্ষোভ করে শ্রমিকেরা। বাসচাপায় নিহতরা হলেন মালিবাগ চৌধুরী পাড়ার এএসএম গার্মেন্টসের শ্রমিক নাহিদ পারভিন পলি (২০) ও মিম আক্তার (১৪)।
পলির গ্রামের বাড়ি নীলরফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার ভাসানি রোডে। তার বাবার নাম এজাজ আহমেদ। মায়ের নাম সাহেদা বেগম। মিমের গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সোনা মিয়া।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অর্ধশতাধিক বাস ও প্রাইভেট গাড়ি ভাঙচুর এবং কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত আহত হয়েছে।
রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলছিল।
দুপুরে মালিবাগের আবুল হোটেলের সামনে বাসচাপায় গুরুতর আহত অবস্থায় নিহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রামপুরা জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট শুভ কুমার দেশ রূপান্তরকে জানান, দুপুর একটার দিকে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস মিম ও পলিকে চাপা দেয়। ঘাতক বাসটিক জব্দ ও চালককে আটক করে। সহকর্মীর মৃত্যুর খবর শুনে আশপাশের গার্মেন্ট থেকে বেরিয়ে আসেন শ্রমিকরা। তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুরে আবুল হোটেলের সামনে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে মালিবাগ ও চৌধুরীপাড়া আশপাশের এলাকায় অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা।
শ্রমিকদের অবরোধ ও বিক্ষোভের কারণে রামপুরা ব্রিজ থেকে মৌচাক পর্যন্ত অভিমুখী সড়কে কোনো যানবাহন চলেনি। ভাঙচুর হওয়া কিছু বাস পুলিশের সহায়তায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য থানা-পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন ও শিল্প পুলিশের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারনে রামপুরা, খিলগাঁও, সবুজবাগ, মালিবাগ, রামপুরা ও হাতিরঝিল এলাকায় ব্যাপক যানজট দেখা দেয়।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফজলুল করিম দেশ রূপান্তরকে বলেন, বাস ও চালক আটক করা হয়েছে। তবে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করছে। তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে মতিঝিল বিভাগের এডিসি শামসুন্নাহারসহ অন্তত ১০ জন পুলিশ ও আরও ১০/১২জন সাধারণ পাবলিক আহত হন। রাত ৮টা পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৯:২১

রাজধানীর মালিবাগে মঙ্গলবার বাসচাপায় দুই নারী পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকে দিনভর বিক্ষোভ করে শ্রমিকেরা। বাসচাপায় নিহতরা হলেন মালিবাগ চৌধুরী পাড়ার এএসএম গার্মেন্টসের শ্রমিক নাহিদ পারভিন পলি (২০) ও মিম আক্তার (১৪)।
পলির গ্রামের বাড়ি নীলরফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার ভাসানি রোডে। তার বাবার নাম এজাজ আহমেদ। মায়ের নাম সাহেদা বেগম। মিমের গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সোনা মিয়া।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অর্ধশতাধিক বাস ও প্রাইভেট গাড়ি ভাঙচুর এবং কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত আহত হয়েছে।
রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলছিল।
দুপুরে মালিবাগের আবুল হোটেলের সামনে বাসচাপায় গুরুতর আহত অবস্থায় নিহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রামপুরা জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট শুভ কুমার দেশ রূপান্তরকে জানান, দুপুর একটার দিকে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস মিম ও পলিকে চাপা দেয়। ঘাতক বাসটিক জব্দ ও চালককে আটক করে। সহকর্মীর মৃত্যুর খবর শুনে আশপাশের গার্মেন্ট থেকে বেরিয়ে আসেন শ্রমিকরা। তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুরে আবুল হোটেলের সামনে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে মালিবাগ ও চৌধুরীপাড়া আশপাশের এলাকায় অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা।
শ্রমিকদের অবরোধ ও বিক্ষোভের কারণে রামপুরা ব্রিজ থেকে মৌচাক পর্যন্ত অভিমুখী সড়কে কোনো যানবাহন চলেনি। ভাঙচুর হওয়া কিছু বাস পুলিশের সহায়তায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য থানা-পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন ও শিল্প পুলিশের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারনে রামপুরা, খিলগাঁও, সবুজবাগ, মালিবাগ, রামপুরা ও হাতিরঝিল এলাকায় ব্যাপক যানজট দেখা দেয়।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফজলুল করিম দেশ রূপান্তরকে বলেন, বাস ও চালক আটক করা হয়েছে। তবে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করছে। তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে মতিঝিল বিভাগের এডিসি শামসুন্নাহারসহ অন্তত ১০ জন পুলিশ ও আরও ১০/১২জন সাধারণ পাবলিক আহত হন। রাত ৮টা পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।