প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা তুরিন আফরোজের মা ও ভাইয়ের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ জুন, ২০১৯ ২২:৩৯
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ সম্পত্তি আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার মা সামসুন নাহার তসলিম ও আপন ছোট ভাই শাহনেওয়াজ শিশির।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে আইন, সংবিধান ও মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন ল রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন মা ও ছোট ভাই।
উত্তরায় ৩ নম্বর সেক্টরে ১১ নম্বর সড়কের বাড়ির মালিকানা নিজেদের দাবি করে এর স্বপক্ষে নথি উপস্থাপন করে ওই বাড়ি ফিরে পেতে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তুরিন আফরোজের মা ও ছোট ভাই।
শাহনেওয়াজ শিশির বলেন, ‘ক্ষমতার দাপটে তুরিন আফরোজ আমাকে ও আমার বিধবা মাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং হয়রানি করছেন। এর কারণ আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি কুক্ষিগত করা। চক্ষুলজ্জার কারণে এত দিন বিষয়টি গোপন রেখেছিলাম এই কারণে যে, আমরা ক্ষমতাসীন কাউকে অবমাননা করতে চাইনি।’
শাহনেওয়াজ শিশির আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিদেশে অবস্থান করেও বাংলাদেশে প্রদেয় সব কর বা রাজস্ব আমি বাংলাদেশ সরকারের খাজনা দিতে কখনো কালক্ষেপণ করিনি। রাজউক কর্তৃক নামজারিকৃত আমার বাসা থেকে আমাকে ও আমার মাকে তাড়িয়ে দেওয়া সত্ত্বেও অদ্যাবধি সিটি করপোরেশন এবং ভূমি উন্নয়ন হালনাগাদ কর নিয়মিত পরিশোধ করছি।’
তিনি বলেন, ‘তুরিন আফরোজ ক্ষমতার দাপটে প্রশাসনকে সংবিধান বহির্ভূত কাজে বাধ্য করিয়ে আমাকে ও আমার মাকে ক্ষতি করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।’
শাহনেওয়াজ শিশির অভিযোগ করেন তুরিন আফরোজ শুধু ঢাকা নয়, নীলফামারীর জলঢাকায় তাদের চাচা, চাচাতো ভাই ও বোনদের জমি সংক্রান্ত মামলায় জিম্মি করে রেখেছেন। ক্ষমতার ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদেরও হেনস্তা করছেন।
শাহনেওয়াজ শিশির জানান, গত ১৪ জুন কানাডা থেকে ফিরে উত্তরায় তার বাসায় মাসহ প্রবেশ করতে চাইলে তুরিন আফরোজ প্রবেশ করতে এবং অবস্থান করতে নিষেধ করার পাশাপাশি তাদের হেনস্তা করেন। এরপর নিরাপত্তার কথা ভেবে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
তিনি বলেন, ‘তুরিন আফরোজ আমাদের গৃহ প্রবেশকে একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে মিডিয়ায় প্রচার করার পাশাপাশি সত্য ঘটনাকে আড়াল করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দেশবাসীর কাছে নিরাপত্তা চান।’
তুরিন আফরোজের মা সামসুন নাহার তসলিম বলেন, ‘আমার কিডনির ৬০ শতাংশ অকেজো। চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। স্বামী মারা যাওয়ার পর বাড়ির ভাড়ায় সংসার ও চিকিৎসা খরচ চলত। এমন অবস্থায় বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসার টাকাও নিয়ে গেছে তুরিন।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ জুন, ২০১৯ ২২:৩৯

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ সম্পত্তি আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার মা সামসুন নাহার তসলিম ও আপন ছোট ভাই শাহনেওয়াজ শিশির।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে আইন, সংবিধান ও মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন ল রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন মা ও ছোট ভাই।
উত্তরায় ৩ নম্বর সেক্টরে ১১ নম্বর সড়কের বাড়ির মালিকানা নিজেদের দাবি করে এর স্বপক্ষে নথি উপস্থাপন করে ওই বাড়ি ফিরে পেতে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তুরিন আফরোজের মা ও ছোট ভাই।
শাহনেওয়াজ শিশির বলেন, ‘ক্ষমতার দাপটে তুরিন আফরোজ আমাকে ও আমার বিধবা মাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং হয়রানি করছেন। এর কারণ আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি কুক্ষিগত করা। চক্ষুলজ্জার কারণে এত দিন বিষয়টি গোপন রেখেছিলাম এই কারণে যে, আমরা ক্ষমতাসীন কাউকে অবমাননা করতে চাইনি।’
শাহনেওয়াজ শিশির আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিদেশে অবস্থান করেও বাংলাদেশে প্রদেয় সব কর বা রাজস্ব আমি বাংলাদেশ সরকারের খাজনা দিতে কখনো কালক্ষেপণ করিনি। রাজউক কর্তৃক নামজারিকৃত আমার বাসা থেকে আমাকে ও আমার মাকে তাড়িয়ে দেওয়া সত্ত্বেও অদ্যাবধি সিটি করপোরেশন এবং ভূমি উন্নয়ন হালনাগাদ কর নিয়মিত পরিশোধ করছি।’
তিনি বলেন, ‘তুরিন আফরোজ ক্ষমতার দাপটে প্রশাসনকে সংবিধান বহির্ভূত কাজে বাধ্য করিয়ে আমাকে ও আমার মাকে ক্ষতি করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।’
শাহনেওয়াজ শিশির অভিযোগ করেন তুরিন আফরোজ শুধু ঢাকা নয়, নীলফামারীর জলঢাকায় তাদের চাচা, চাচাতো ভাই ও বোনদের জমি সংক্রান্ত মামলায় জিম্মি করে রেখেছেন। ক্ষমতার ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদেরও হেনস্তা করছেন।
শাহনেওয়াজ শিশির জানান, গত ১৪ জুন কানাডা থেকে ফিরে উত্তরায় তার বাসায় মাসহ প্রবেশ করতে চাইলে তুরিন আফরোজ প্রবেশ করতে এবং অবস্থান করতে নিষেধ করার পাশাপাশি তাদের হেনস্তা করেন। এরপর নিরাপত্তার কথা ভেবে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
তিনি বলেন, ‘তুরিন আফরোজ আমাদের গৃহ প্রবেশকে একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে মিডিয়ায় প্রচার করার পাশাপাশি সত্য ঘটনাকে আড়াল করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দেশবাসীর কাছে নিরাপত্তা চান।’
তুরিন আফরোজের মা সামসুন নাহার তসলিম বলেন, ‘আমার কিডনির ৬০ শতাংশ অকেজো। চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। স্বামী মারা যাওয়ার পর বাড়ির ভাড়ায় সংসার ও চিকিৎসা খরচ চলত। এমন অবস্থায় বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসার টাকাও নিয়ে গেছে তুরিন।’