শিশুকে একের পর এক লাথি: গৃহকর্মী জেলে
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ নভেম্বর, ২০১৯ ২২:৫২
রাজধানীর শাহজাহানপুরে দুই বছরের শিশুকে নির্যাতনের ঘটনায় শাহিদা ওরফে তাজরানা (৪৫) নামে এক গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ওবায়দুর রহমান জানান, শাহজাহানপুরের বাসিন্দা আল আমিন সরকার ও লুৎফুন্নাহার দম্পতির দুই বছর বয়সী একমাত্র সন্তান আবদুল্লাহ আবতাই আয়াত। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরজীবী হওয়ায় তারা আয়াতকে গৃহকর্মী শাহিদার কাছে রেখে যেতেন।
তিনি জানান, বাসায় সিসিটিভি আইপি ক্যামেরার ফুটেজে আল-আমিন দেখতে পান গৃহকর্মী শাহিদা বাথরুম থেকে ঘরের ভেতর ছুড়ে ফেলে দিয়ে একের পর এক লাথি মারছে। শিশুটি চিৎকার করে কান্না করতে থাকলেও একইভাবে শিশুটিকে আবার মারধর করছে। এই ভয়াবহ নির্যাতনের দৃশ্য দেখে দ্রুত বাসায় ছুটে যান আল-আমিন। তিনি শিশুটিকে উদ্ধার করে পরে গত শুক্রবার শাহজাহানপুর থানায় শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহাজানপুর থানার এসআই আবুল আনছার জানান, থানায় মামলা হওয়ার পর শাহিদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নিদেশ দেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ নভেম্বর, ২০১৯ ২২:৫২

রাজধানীর শাহজাহানপুরে দুই বছরের শিশুকে নির্যাতনের ঘটনায় শাহিদা ওরফে তাজরানা (৪৫) নামে এক গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ওবায়দুর রহমান জানান, শাহজাহানপুরের বাসিন্দা আল আমিন সরকার ও লুৎফুন্নাহার দম্পতির দুই বছর বয়সী একমাত্র সন্তান আবদুল্লাহ আবতাই আয়াত। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরজীবী হওয়ায় তারা আয়াতকে গৃহকর্মী শাহিদার কাছে রেখে যেতেন।
তিনি জানান, বাসায় সিসিটিভি আইপি ক্যামেরার ফুটেজে আল-আমিন দেখতে পান গৃহকর্মী শাহিদা বাথরুম থেকে ঘরের ভেতর ছুড়ে ফেলে দিয়ে একের পর এক লাথি মারছে। শিশুটি চিৎকার করে কান্না করতে থাকলেও একইভাবে শিশুটিকে আবার মারধর করছে। এই ভয়াবহ নির্যাতনের দৃশ্য দেখে দ্রুত বাসায় ছুটে যান আল-আমিন। তিনি শিশুটিকে উদ্ধার করে পরে গত শুক্রবার শাহজাহানপুর থানায় শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহাজানপুর থানার এসআই আবুল আনছার জানান, থানায় মামলা হওয়ার পর শাহিদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নিদেশ দেন।