সন্তানরা আরেকবার রাস্তায় নামলে কারো পিঠে চামড়া থাকবে না: ডিএমপি কমিশনার
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:১৬
ফাইল ছবি
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষকে সাবধান করে দিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের সন্তানরা আরেকবার রাস্তায় নামলে পুলিশ, গাড়ি মালিক-শ্রমিক কারো পিঠে চামড়া থাকবে না। তাই সাবধান হোন। আইন মেনে চলুন।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ডিএমপির ‘ট্রাফিক সচেতনতামূলক পক্ষ ২০১৯’ এর উদ্বোধন হয়। সেখানে এ কথা বলেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় সড়ক পরিবহন আইন, সচেতনতা ও ট্রাফিক পক্ষের নানা বিষয় তুলে ধরেন মোহা. শফিকুল ইসলাম।
এর আগে বিপুল পরিমাণ হাইড্রোলিক হর্ন ধ্বংস করে ট্রাফিক পক্ষ উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইনটি করা হয়েছে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য। জরিমানা আদায় করা সরকার বা পুলিশের উদ্দেশ্য নয়। সড়কে যদি শৃঙ্খলা থাকে তাহলে মামলা করার কোনো প্রয়োজন নাই। সড়কে যদি সবাই ট্রাফিক আইন মেনে চলেন তাহলে ট্রাফিক পুলিশের মামলা করার কোনো প্রয়োজন নাই। রাস্তায় যে গাড়িটি অচল হয়েছে সেটি রেকারিং হবে অথবা যে গাড়িটি রাস্তায় ড্রাইভার ছাড়া দীর্ঘ সময় অবস্থান করে যানজটের কারণ হচ্ছে সেই গাড়িটি রেকারিং করা হবে। এর বাইরে কোনো রেকারিং করা হবে না’।
তিনি আরও বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এই আইনের কার্যকর আমাদের জন্য শেষ সুযোগ। কারণ সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যর্থতার জন্য যদি আমাদের সন্তান, কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা আবার রাস্তায় নামে তাহলে কারও পিঠের চামড়া থাকবে না। তাই আসুন সবাই আইন মেনে চলি। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনি।’
ডিএমপির এ ট্রাফিক পক্ষ ২১ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:১৬

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষকে সাবধান করে দিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের সন্তানরা আরেকবার রাস্তায় নামলে পুলিশ, গাড়ি মালিক-শ্রমিক কারো পিঠে চামড়া থাকবে না। তাই সাবধান হোন। আইন মেনে চলুন।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ডিএমপির ‘ট্রাফিক সচেতনতামূলক পক্ষ ২০১৯’ এর উদ্বোধন হয়। সেখানে এ কথা বলেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় সড়ক পরিবহন আইন, সচেতনতা ও ট্রাফিক পক্ষের নানা বিষয় তুলে ধরেন মোহা. শফিকুল ইসলাম।
এর আগে বিপুল পরিমাণ হাইড্রোলিক হর্ন ধ্বংস করে ট্রাফিক পক্ষ উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইনটি করা হয়েছে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য। জরিমানা আদায় করা সরকার বা পুলিশের উদ্দেশ্য নয়। সড়কে যদি শৃঙ্খলা থাকে তাহলে মামলা করার কোনো প্রয়োজন নাই। সড়কে যদি সবাই ট্রাফিক আইন মেনে চলেন তাহলে ট্রাফিক পুলিশের মামলা করার কোনো প্রয়োজন নাই। রাস্তায় যে গাড়িটি অচল হয়েছে সেটি রেকারিং হবে অথবা যে গাড়িটি রাস্তায় ড্রাইভার ছাড়া দীর্ঘ সময় অবস্থান করে যানজটের কারণ হচ্ছে সেই গাড়িটি রেকারিং করা হবে। এর বাইরে কোনো রেকারিং করা হবে না’।
তিনি আরও বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এই আইনের কার্যকর আমাদের জন্য শেষ সুযোগ। কারণ সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যর্থতার জন্য যদি আমাদের সন্তান, কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা আবার রাস্তায় নামে তাহলে কারও পিঠের চামড়া থাকবে না। তাই আসুন সবাই আইন মেনে চলি। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনি।’
ডিএমপির এ ট্রাফিক পক্ষ ২১ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।