কলাবাগানে এক বাসায় গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ
ঢামেক প্রতিনিধি | ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১২:২৩
রাজধানীর কলাবাগান নর্থ সার্কোলার রোডের একটি বাসা থেকে জান্নাত (১৭) নামে এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যায় নর্থ সার্কোলার রোডের ৫৮ নম্বর বাসা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
জান্নাত নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের কাশেমের মেয়ে। অবিবাহিত জান্নাত ৫ বছর ধরে নর্থ সার্কোলার রোডের ৫৮ নম্বর বাসাটির ৭/বি নম্বর ফ্ল্যাট বাসায় কাজ করতেন।
কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ বিপ্লব হোসেন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বাসাটির বাথরুমের দরজা ভেঙে ভেতরে কাপড় রাখার এঙ্গেলের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। এরপর রাতেই মৃতদেহটি মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি গতকাল বিকেলে বাসাটির ছাদে ছোট রুমে গৃহকর্মী জান্নাতকে বাসাটির দারোয়ান জুনায়েদের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান আরেক দারোয়ান খোরশেদ। এরপর ঘটনাটি দারোয়ান খোরশেদের মাধ্যমে বাড়ির মালিক জানাজানি হলে মালিক জুনায়েদকেও ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এটি জান্নাতের কানেও পৌঁছায়। এতে মানসম্মান ও চক্ষুলজ্জার ভয়ে জান্নাত বাসার বাথরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পরই বিষয়টি বিস্তারিত বলা যাবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
ঢামেক প্রতিনিধি | ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১২:২৩

রাজধানীর কলাবাগান নর্থ সার্কোলার রোডের একটি বাসা থেকে জান্নাত (১৭) নামে এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যায় নর্থ সার্কোলার রোডের ৫৮ নম্বর বাসা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
জান্নাত নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের কাশেমের মেয়ে। অবিবাহিত জান্নাত ৫ বছর ধরে নর্থ সার্কোলার রোডের ৫৮ নম্বর বাসাটির ৭/বি নম্বর ফ্ল্যাট বাসায় কাজ করতেন।
কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ বিপ্লব হোসেন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বাসাটির বাথরুমের দরজা ভেঙে ভেতরে কাপড় রাখার এঙ্গেলের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। এরপর রাতেই মৃতদেহটি মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি গতকাল বিকেলে বাসাটির ছাদে ছোট রুমে গৃহকর্মী জান্নাতকে বাসাটির দারোয়ান জুনায়েদের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান আরেক দারোয়ান খোরশেদ। এরপর ঘটনাটি দারোয়ান খোরশেদের মাধ্যমে বাড়ির মালিক জানাজানি হলে মালিক জুনায়েদকেও ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এটি জান্নাতের কানেও পৌঁছায়। এতে মানসম্মান ও চক্ষুলজ্জার ভয়ে জান্নাত বাসার বাথরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পরই বিষয়টি বিস্তারিত বলা যাবে।