সহকর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে ব্যাংকারদের কালো ব্যাজ ধারণ ও মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:২৯
অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা শেখ মওদুদ আহমেদকে হত্যার প্রতিবাদে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ ও অফিসার সমিতি আহ্বানে মানববন্ধন ও কালো ব্যাজ ধারণ করছে ব্যাংকটির কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার বেলা চারটার সময় অগ্রণী ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ ও ব্যাংকের অফিসার সমিতি।
মানববন্ধনে সংগঠন দুটির নেতারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ড। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। হত্যায় জড়িত মূল আসামিকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় কঠিন কর্মসূচি দেয়া হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, শেখ মওদুদ আহমেদের মাত্র ৪০ দিন বয়সের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। উক্ত সন্তানকে ভরণপোষণ জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অগ্রণী ব্যাংক অফিসার সমিতির সভাপতি নাজমুল হক রবিন, সহ সভাপতি নাজমা বেগম, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, অগ্রণী ব্যাংক স্বাধীনতা ব্যাংক পরিষদের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ কয়েকশ অফিসার ও কর্মচারী।
এদিকে, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ শামস্ উল ইসলাম এক শোক বার্তায় বলেন, ব্যাংকার মওদুদ আহমেদ ছিলেন সৎ আদর্শবান। তিনি সকল কাজ নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি ৪০ দিন বয়সের একটি কন্যা সন্তান, স্ত্রী,পিতা-মাতাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।
জানা যায়, সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা নির্মমভাবে হত্যা করে অগ্রণী এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে। এ ঘটনায় রবিবার সিলেট কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
নিহত ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ (৩৫) ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার টেংগুরিপাড়া গ্রামের মো. আবদুল ওয়াহেদের ছেলে। তার কর্মস্থল ছিল সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার অগ্রণী ব্যাংক, হরিপুর গ্যাস ফিল্ড শাখা।
সিলেট নগরীর রাজারগলিতে তিনি ভাড়া বাসায় থাকতেন। জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে গত শনিবার রাত পৌণে ৮টার দিকে নগরীর বন্দরবাজার কালেক্টরেট মসজিদের সামনে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ। এসময় ভাড়া নিয়ে চালক নোমান হাছনুরের সাথে কথা কাটাকাটি হয় তার। একপর্যায়ে নোমানের সাথে আরো কয়েকজন অটোরিকশা চালক মিলে মওদুদকে আহমদকে বেধড়ক মারপিট করে হত্যা করে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:২৯

অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা শেখ মওদুদ আহমেদকে হত্যার প্রতিবাদে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ ও অফিসার সমিতি আহ্বানে মানববন্ধন ও কালো ব্যাজ ধারণ করছে ব্যাংকটির কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার বেলা চারটার সময় অগ্রণী ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ ও ব্যাংকের অফিসার সমিতি।
মানববন্ধনে সংগঠন দুটির নেতারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ড। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। হত্যায় জড়িত মূল আসামিকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় কঠিন কর্মসূচি দেয়া হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, শেখ মওদুদ আহমেদের মাত্র ৪০ দিন বয়সের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। উক্ত সন্তানকে ভরণপোষণ জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অগ্রণী ব্যাংক অফিসার সমিতির সভাপতি নাজমুল হক রবিন, সহ সভাপতি নাজমা বেগম, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, অগ্রণী ব্যাংক স্বাধীনতা ব্যাংক পরিষদের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ কয়েকশ অফিসার ও কর্মচারী।
এদিকে, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ শামস্ উল ইসলাম এক শোক বার্তায় বলেন, ব্যাংকার মওদুদ আহমেদ ছিলেন সৎ আদর্শবান। তিনি সকল কাজ নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি ৪০ দিন বয়সের একটি কন্যা সন্তান, স্ত্রী,পিতা-মাতাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।
জানা যায়, সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা নির্মমভাবে হত্যা করে অগ্রণী এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে। এ ঘটনায় রবিবার সিলেট কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
নিহত ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ (৩৫) ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার টেংগুরিপাড়া গ্রামের মো. আবদুল ওয়াহেদের ছেলে। তার কর্মস্থল ছিল সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার অগ্রণী ব্যাংক, হরিপুর গ্যাস ফিল্ড শাখা।
সিলেট নগরীর রাজারগলিতে তিনি ভাড়া বাসায় থাকতেন। জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে গত শনিবার রাত পৌণে ৮টার দিকে নগরীর বন্দরবাজার কালেক্টরেট মসজিদের সামনে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ। এসময় ভাড়া নিয়ে চালক নোমান হাছনুরের সাথে কথা কাটাকাটি হয় তার। একপর্যায়ে নোমানের সাথে আরো কয়েকজন অটোরিকশা চালক মিলে মওদুদকে আহমদকে বেধড়ক মারপিট করে হত্যা করে।