‘ইসলামি শরিয়তে সীমিত পরিসরে কোনো সত্যকে গোপন করার অবকাশ রয়েছে’
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৮:৩৫
‘ইসলামি শরিয়েতে সীমিত পরিসরে কোনো সত্যকে গোপন করার অবকাশ রয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক।
তিনি বলেছেন, ‘ইসলামি শরিয়তের মধ্যে এ ব্যাপারে সম্পূর্ন এখতিয়ার প্রদান করা হয়েছে স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য, স্ত্রীকে খুশি করবার জন্য প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে কোনো সত্যকে গোপন করারও অবকাশ রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে এসে মামুনুল হক এসব বলেন।
মামুনুল হক বলেন, আমি একাধিক বিয়ে করেছি।
তিনি দাবি করেন, ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী ও বাংলাদেশের আইনে একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।
৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করার ঘটনায় আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। ওই দিন তিনি জানান, সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দুই বছর আগে তিনি বিয়ে করেছেন।
যদিও কয়েকটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপের সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয়টি মামুনুল হকের প্রথম স্ত্রী জানতেন না। তা ছাড়া রিসোর্টে স্ত্রীর নাম সঠিক বলেননি মামুনুল।
মামুনুল হক হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং খেলাফত মজলিসের মহাসচিব। রয়্যাল রিসোর্টে তিনি ঘেরাও থাকা অবস্থায় স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর করেন।
পরে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা।
বৃহস্পতিবার লাইভে এসে মামুনুল বলেন, যারা তার ব্যক্তিগত আলাপ, কথা জনসম্মুখে এনেছেন; তিনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করবেন।
মামুনুল বলেন, ওই দিন অসাবধানতা ও নিজস্ব নিরাপত্তা না নিয়ে রয়্যাল রিসোর্টে ঘুরতে যাওয়া তার উচিত হয়নি। ব্যক্তিগত অসাবধানতা ও পদক্ষেপ না নেওয়ায় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
মামুনুল হক ওই দিনের ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করেন। এ ছাড়া স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীদেরও দায়ী করেন।
লাইভে মামুনুল হক নিজের ও ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর কথা উল্লেখ করে বলেন, সরকার মানুষের চরিত্রহননের কাপুরুষোচিত পন্থা অবলম্বন করেছে। এতে কেউই সম্মান নিয়ে চলতে পারবে না। এর প্রতিবাদ করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৮:৩৫

‘ইসলামি শরিয়েতে সীমিত পরিসরে কোনো সত্যকে গোপন করার অবকাশ রয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক।
তিনি বলেছেন, ‘ইসলামি শরিয়তের মধ্যে এ ব্যাপারে সম্পূর্ন এখতিয়ার প্রদান করা হয়েছে স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য, স্ত্রীকে খুশি করবার জন্য প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে কোনো সত্যকে গোপন করারও অবকাশ রয়েছে।’ বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে এসে মামুনুল হক এসব বলেন।
মামুনুল হক বলেন, আমি একাধিক বিয়ে করেছি।
তিনি দাবি করেন, ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী ও বাংলাদেশের আইনে একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।
৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করার ঘটনায় আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। ওই দিন তিনি জানান, সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দুই বছর আগে তিনি বিয়ে করেছেন।
যদিও কয়েকটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপের সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয়টি মামুনুল হকের প্রথম স্ত্রী জানতেন না। তা ছাড়া রিসোর্টে স্ত্রীর নাম সঠিক বলেননি মামুনুল।
মামুনুল হক হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং খেলাফত মজলিসের মহাসচিব। রয়্যাল রিসোর্টে তিনি ঘেরাও থাকা অবস্থায় স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর করেন।
পরে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা।
বৃহস্পতিবার লাইভে এসে মামুনুল বলেন, যারা তার ব্যক্তিগত আলাপ, কথা জনসম্মুখে এনেছেন; তিনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করবেন।
মামুনুল বলেন, ওই দিন অসাবধানতা ও নিজস্ব নিরাপত্তা না নিয়ে রয়্যাল রিসোর্টে ঘুরতে যাওয়া তার উচিত হয়নি। ব্যক্তিগত অসাবধানতা ও পদক্ষেপ না নেওয়ায় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
মামুনুল হক ওই দিনের ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করেন। এ ছাড়া স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীদেরও দায়ী করেন।
লাইভে মামুনুল হক নিজের ও ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর কথা উল্লেখ করে বলেন, সরকার মানুষের চরিত্রহননের কাপুরুষোচিত পন্থা অবলম্বন করেছে। এতে কেউই সম্মান নিয়ে চলতে পারবে না। এর প্রতিবাদ করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।