মা-বাবার বিচ্ছেদের আগেই তাদের ছেড়ে চলে গেল ফুটফুটে সন্তান
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:৩০
মা আর বাবার মধ্যে চলছিল দ্বন্দ্ব। ছাড়াছাড়ির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল তাদের সংসার। চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসার আগেই তাদের ছেড়ে চলে গেল একমাত্র সন্তান। ঢাকার কেরানীগঞ্জে আব্রার নামে নয় মাসের ওই শিশুর মৃত্যু হয়।
তবে তার মৃত্যুকে হত্যা বলে দাবি করছেন দাদা।
সোমবার (২২ নভেম্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর আলী আজগর হাসপাতালে শিশুটি মৃত্যুবরণ করে। ঘটনাটি ঘটেছে কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুরের কলাকান্দি এলাকায় আব্রারের নানা বাড়িতে। আব্রারের দাদা দাবি করছেন এটি পরিকল্পিত হত্যা।
আব্রারের মামা রবিন ঘটনা সম্পর্কে জানান, আব্রারের বাবার নাম মো. পারভেজ ও মায়ের নাম সুপ্তি বেগম। আব্রারের দাদা বাড়ি ঢাকার দক্ষিণ দনিয়ার কুদার বাজার এলাকায়। বাবা বিদেশ থাকায় তিন মাস ধরে মা সুপ্তি বেগমের সঙ্গে আব্রার নানাবাড়ি কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুরে বসবাস করছিল। গত ২১ নভেম্বর রবিবার বিকাল ৫টার দিকে, আব্রারকে নিয়ে ছোট খালা বাড়ির দোতলার ছাদে যান। এসময় আব্রারের মা ঘরে ছিলেন। খালা ছাদে উঠে আব্রারকে ছাদের আড়াই ফিট উঁচু বাউন্ডারি করা ওয়ালে বসালে ওয়ালটি ধসে আব্রার ছাদের একপাশে ইটের নিচে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে নিচে এসে খবর দিলে আমরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে, পুরান ঢাকার আলী আজগর হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালে এক দিন থাকার পর, সেমাবার দুপুর ১২টার দিকে আব্রার মারা যায়। দেয়ালটি অনেক পুরাতন ছিলো, টেম্পার ছিলো না, তাই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
তবে আব্রারের দাদা আয়নাল আহমেদ জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। আমার ছেলে পারভেজের সঙ্গে সুপ্তির বিয়ে হয় বছর দুয়েক আগে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ওদের বনিবনা হচ্ছিল না। আমার ছেলে আট মাস আগে কাতার চলে যায়। পরে মেয়ে ওর বাবার বাড়ি চলে যায়। ছেলের সঙ্গে ঝগড়ার কারণে সে আমাদের বাসায় থাকতে চাইত না। সম্পর্ক ছাড়াছাড়ির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। পরে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য এবং সে যেন আমাদের বাসায় আসে এ জন্য দু-তিন পর এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে বসার কথা ছিল। এর আগেই ওরা এমনটা করল। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।
আব্রারের মামা রবিনও জানান পারিবারিক বিরোধের কথা।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই সজিব জানান, মৃত্যুর খবর পেয়ে আজগর আলী হাসপাতালে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:৩০

মা আর বাবার মধ্যে চলছিল দ্বন্দ্ব। ছাড়াছাড়ির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল তাদের সংসার। চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসার আগেই তাদের ছেড়ে চলে গেল একমাত্র সন্তান। ঢাকার কেরানীগঞ্জে আব্রার নামে নয় মাসের ওই শিশুর মৃত্যু হয়।
তবে তার মৃত্যুকে হত্যা বলে দাবি করছেন দাদা।
সোমবার (২২ নভেম্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর আলী আজগর হাসপাতালে শিশুটি মৃত্যুবরণ করে। ঘটনাটি ঘটেছে কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুরের কলাকান্দি এলাকায় আব্রারের নানা বাড়িতে। আব্রারের দাদা দাবি করছেন এটি পরিকল্পিত হত্যা।
আব্রারের মামা রবিন ঘটনা সম্পর্কে জানান, আব্রারের বাবার নাম মো. পারভেজ ও মায়ের নাম সুপ্তি বেগম। আব্রারের দাদা বাড়ি ঢাকার দক্ষিণ দনিয়ার কুদার বাজার এলাকায়। বাবা বিদেশ থাকায় তিন মাস ধরে মা সুপ্তি বেগমের সঙ্গে আব্রার নানাবাড়ি কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুরে বসবাস করছিল। গত ২১ নভেম্বর রবিবার বিকাল ৫টার দিকে, আব্রারকে নিয়ে ছোট খালা বাড়ির দোতলার ছাদে যান। এসময় আব্রারের মা ঘরে ছিলেন। খালা ছাদে উঠে আব্রারকে ছাদের আড়াই ফিট উঁচু বাউন্ডারি করা ওয়ালে বসালে ওয়ালটি ধসে আব্রার ছাদের একপাশে ইটের নিচে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে নিচে এসে খবর দিলে আমরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে, পুরান ঢাকার আলী আজগর হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালে এক দিন থাকার পর, সেমাবার দুপুর ১২টার দিকে আব্রার মারা যায়। দেয়ালটি অনেক পুরাতন ছিলো, টেম্পার ছিলো না, তাই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
তবে আব্রারের দাদা আয়নাল আহমেদ জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। আমার ছেলে পারভেজের সঙ্গে সুপ্তির বিয়ে হয় বছর দুয়েক আগে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ওদের বনিবনা হচ্ছিল না। আমার ছেলে আট মাস আগে কাতার চলে যায়। পরে মেয়ে ওর বাবার বাড়ি চলে যায়। ছেলের সঙ্গে ঝগড়ার কারণে সে আমাদের বাসায় থাকতে চাইত না। সম্পর্ক ছাড়াছাড়ির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। পরে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য এবং সে যেন আমাদের বাসায় আসে এ জন্য দু-তিন পর এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে বসার কথা ছিল। এর আগেই ওরা এমনটা করল। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।
আব্রারের মামা রবিনও জানান পারিবারিক বিরোধের কথা।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই সজিব জানান, মৃত্যুর খবর পেয়ে আজগর আলী হাসপাতালে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।