‘ডিম ভাজতে গিয়ে কুসুম গলে গেলেও শিমুর সঙ্গে ঝগড়া করতেন স্বামী’
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:২৬
চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যার পর তার স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল এখন রিমান্ডে। বুধবার রিমান্ডের প্রথম দিন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ সময় তিনি চরম হতাশ ছিলেন বলে জানা যায়।
শিমুর স্বজনরা জানান, নোবেল ভালোবেসে ১৮ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন শিমুকে। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে (১৬) ও লেভেলে পড়েন। আর ছোট ছেলের বয়স চার বছর। নোবেল রাজধানীর গ্রীন রোডে নিজের একটি ফ্ল্যাটও লিখে দিয়েছিলেন স্ত্রীকে।
শিমুর বোন ফাতেমা নিশা বুধবার দেশ রূপান্তরকে বলেন, নোবেল ভাই ও শিমু আপুর মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। ধরেন আপু ডিম ভাজতে গিয়ে কুসুম গলে গেছে, এ নিয়ে ঝগড়া শুরু হতো। পরে সেটি বড় আকার ধারণ করত। আপু খুব চাঁপা স্বভাবের ছিল। সংসারের সমস্যার কথা আমাদের তেমন বোলত না। নোবেল ভাই বেকার থাকলেও গ্রিন রোডের ওই ভবনের তিনটি ফ্ল্যাট তার ছিল। একটি আপুকে লিখে দিয়েছে। তারা দুজনে মিলেই সংসার চালাতো। কখনো আর্থিক সমস্যায় পরেছে এমন শুনি নাই। নোবেল ভাইও কখনো আমাদের কাছে টাকা পয়সা দাবি করে নাই।
তিনি আরো বলেন, নোবেল ভাই অনেক আগে থেকেই নেশা করতেন। গ্রিন রোডের বাসার আন্ডার গ্রাউন্ডে তার আলাদা রুম ছিল। সেখানেই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন, নেশা করতেন। এ বিষয়টি সবার জানা ছিল।
সোমবার দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর সেতুর কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশে ঝোপের ভেতর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর লাশ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। পরে পুলিশ জানতে পারে লাশটি চিত্রনায়িকা শিমুর। ঘটনার দিনই পুলিশ শিমুর স্বামী নোবেলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার কথা শিকার করেন নোবেল। লাশ গুমে সহায়তার জন্য বাল্যবন্ধু এসএমওয়াই আবদুল্লাহ ফরহাদের সহায্য নেন। শিমুকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে লাশ উদ্ধারের দিনই নোবেল ও ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। এর পর গত মঙ্গলবার তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এদিকে শিমুর মরোদেহের ময়নাতদন্ত শেষে গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:২৬

চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যার পর তার স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল এখন রিমান্ডে। বুধবার রিমান্ডের প্রথম দিন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ সময় তিনি চরম হতাশ ছিলেন বলে জানা যায়।
শিমুর স্বজনরা জানান, নোবেল ভালোবেসে ১৮ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন শিমুকে। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে (১৬) ও লেভেলে পড়েন। আর ছোট ছেলের বয়স চার বছর। নোবেল রাজধানীর গ্রীন রোডে নিজের একটি ফ্ল্যাটও লিখে দিয়েছিলেন স্ত্রীকে।
শিমুর বোন ফাতেমা নিশা বুধবার দেশ রূপান্তরকে বলেন, নোবেল ভাই ও শিমু আপুর মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। ধরেন আপু ডিম ভাজতে গিয়ে কুসুম গলে গেছে, এ নিয়ে ঝগড়া শুরু হতো। পরে সেটি বড় আকার ধারণ করত। আপু খুব চাঁপা স্বভাবের ছিল। সংসারের সমস্যার কথা আমাদের তেমন বোলত না। নোবেল ভাই বেকার থাকলেও গ্রিন রোডের ওই ভবনের তিনটি ফ্ল্যাট তার ছিল। একটি আপুকে লিখে দিয়েছে। তারা দুজনে মিলেই সংসার চালাতো। কখনো আর্থিক সমস্যায় পরেছে এমন শুনি নাই। নোবেল ভাইও কখনো আমাদের কাছে টাকা পয়সা দাবি করে নাই।
তিনি আরো বলেন, নোবেল ভাই অনেক আগে থেকেই নেশা করতেন। গ্রিন রোডের বাসার আন্ডার গ্রাউন্ডে তার আলাদা রুম ছিল। সেখানেই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন, নেশা করতেন। এ বিষয়টি সবার জানা ছিল।
সোমবার দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর সেতুর কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশে ঝোপের ভেতর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর লাশ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। পরে পুলিশ জানতে পারে লাশটি চিত্রনায়িকা শিমুর। ঘটনার দিনই পুলিশ শিমুর স্বামী নোবেলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার কথা শিকার করেন নোবেল। লাশ গুমে সহায়তার জন্য বাল্যবন্ধু এসএমওয়াই আবদুল্লাহ ফরহাদের সহায্য নেন। শিমুকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে লাশ উদ্ধারের দিনই নোবেল ও ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। এর পর গত মঙ্গলবার তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এদিকে শিমুর মরোদেহের ময়নাতদন্ত শেষে গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।