নির্বাচন কমিশন গঠন আইনে অনেক অপূর্ণতা রয়েছে: সাবেক সিইসি হুদা
অনলাইন ডেস্ক | ২২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৪৫
নির্বাচন কমিশন গঠন আইনে অনেক অপূর্ণতা রয়েছে বলে মনে করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা। তিনি বলেছেন, এই আইনটির অনেক সংশোধন করতে হবে।
শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির এক ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে এটিএম হুদা বলেন, ‘এখানে আস্থার অভাব ছিল। আরও তদারকির দরকার ছিল। এত তাড়াহুড়ার প্রয়োজন ছিল না। এই আইনের খসড়া পড়ে মনে হয়েছে, এটি সার্চ কমিটি গঠনের খসড়া।’
নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রস্তাবিত আইনের সমালোচনাও করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের মতো জায়গায় আমাদের অন্তত সৎ ও পরিচ্ছন্ন মানুষ প্রয়োজন। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে এবং তিনি অব্যাহতি পান, তাহলে তাকে নিয়োগ দিতে বাধা নেই। এটি আমার কাছে ভালো লাগেনি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শামসুল হুদা বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে জনগণেরও মতামত নেওয়া প্রয়োজন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এমন একটি আইন হলে এটির যোগ্যতা প্রমাণ করা উচিত।
এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, ৫০ বছরে অনেক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। তাই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়ে গেছে কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দল চায় না একটি ভালো নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী।
উল্লেখ্য, আগামীকাল রবিবার নির্বাচন কমিশন বিল জাতীয় সংসদে ওঠার কথা রয়েছে। ১৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২২–এর খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৪৫

নির্বাচন কমিশন গঠন আইনে অনেক অপূর্ণতা রয়েছে বলে মনে করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা। তিনি বলেছেন, এই আইনটির অনেক সংশোধন করতে হবে।
শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির এক ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে এটিএম হুদা বলেন, ‘এখানে আস্থার অভাব ছিল। আরও তদারকির দরকার ছিল। এত তাড়াহুড়ার প্রয়োজন ছিল না। এই আইনের খসড়া পড়ে মনে হয়েছে, এটি সার্চ কমিটি গঠনের খসড়া।’
নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রস্তাবিত আইনের সমালোচনাও করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের মতো জায়গায় আমাদের অন্তত সৎ ও পরিচ্ছন্ন মানুষ প্রয়োজন। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে এবং তিনি অব্যাহতি পান, তাহলে তাকে নিয়োগ দিতে বাধা নেই। এটি আমার কাছে ভালো লাগেনি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শামসুল হুদা বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে জনগণেরও মতামত নেওয়া প্রয়োজন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এমন একটি আইন হলে এটির যোগ্যতা প্রমাণ করা উচিত।
এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, ৫০ বছরে অনেক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। তাই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়ে গেছে কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দল চায় না একটি ভালো নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী।
উল্লেখ্য, আগামীকাল রবিবার নির্বাচন কমিশন বিল জাতীয় সংসদে ওঠার কথা রয়েছে। ১৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২২–এর খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।