সন্ত্রাস-অপরাজনীতি করে জনকল্যাণ হয় না: আ. লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ১১ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:১৮
অজুহাত, নালিশ, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টির অপরাজনীতি করে জনকল্যাণ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, হত্যা, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে যে দলের জন্ম তারা মানুষকে কী দিতে পারে তা বাংলাদেশ দেখেছে। তারা পারে কেবল ধোঁকা দিতে। তারা মানুষকে বিদ্যুতের খাম্বা দিতে পারে, বিদ্যুৎ দেয় না। আর টাকা যায় তাদের বিদেশের অ্যাকাউন্টে। তারা এতিমের নামে সাইনবোর্ড লাগাতে পারে, এতিমের ঘরবাড়ি করে না আর এতিমের টাকা যায় প্রসাধনীতে।
সোমবার বিকেলে ৪র্থ দিনের নির্বাচনী প্রচার ও গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি নগরীর মোহরা, চান্দগাঁও এবং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। এর আগে সকালে তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এক দফার প্রস্তাবকারী চট্টল শার্দুল জননেতা এম আজিজের কবর জেয়ারত করেন এবং মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় যোগ দেন।
জনকল্যাণে কাজ করতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে উল্লেখ করে রেজাউল বলেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। গণমানুষের কল্যাণই আওয়ামী লীগের রাজনীতি। তাই আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আপনাদের দোয়া নিতে। বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাকে আপনাদের সেবার দায়িত্ব দিতে চান। তাই নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। আমি আপনাদের সন্তান, বীর চট্টলার সন্তান। বীর চট্টলার ধুলোমাটির ঋণ আমি চট্টগ্রামের মানুষের সেবা করে এবং চট্টগ্রামকে অধিকতর সমৃদ্ধ করার মধ্য দিয়ে শোধ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, চান্দগাঁও থানা এলাকা ছিল বিস্তীর্ণ প্রান্তর। পরিকল্পিত উন্নয়নের অভাবে এলাকার অনেকটা ঘিঞ্জি পরিবেশ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে যে নাগরিক সুবিধা চান্দগাঁও, মোহরা, ষোলশহরের মানুষ পাচ্ছে তা অন¨ কোনো সরকার দিতে পারেনি। আমি মেয়র নির্বাচিত হয়ে সব শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে সমন্বিত পরিকল্পনায় চান্দগাঁও ও মোহরাসহ পুরো চট্টগ্রাম নগরীকে নান্দনিকরূপে সাজাতে চাই। চট্টগ্রামের ধর্ম, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধির জন্য আমার পূর্বপুরুষরা কাজ করে গেছেন।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বলেন, চট্টগ্রামের সভ্যতার বিকাশের প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে আমাদের বহরদার পরিবার অবদান রেখে আসছে। ওই পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি চাই একটা নৈতিক চট্টগ্রাম উপহার দিতে। যেখানে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, দুর্নীতি, রাহাজানি থাকবে না। নির্মল পরিবেশে শিশুরা বেড়ে উঠতে পারবে, নারীরা স্বীয় মর্যাদা নিয়ে কাজ করবেন। যানজট, জলযটের মতো বিভ্রাট থাকবে না। সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ বিরাজ করবে।
গণসংযোগকালে রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক সিডিএ’র চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, মহিলা সম্পাদিকা ও কাউন্সিলর প্রার্থী জোবাইরা নার্গিস খান, ৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক জসীম উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ হাসান খান মাসুক, কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিন মামুন প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ১১ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:১৮

অজুহাত, নালিশ, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টির অপরাজনীতি করে জনকল্যাণ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, হত্যা, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে যে দলের জন্ম তারা মানুষকে কী দিতে পারে তা বাংলাদেশ দেখেছে। তারা পারে কেবল ধোঁকা দিতে। তারা মানুষকে বিদ্যুতের খাম্বা দিতে পারে, বিদ্যুৎ দেয় না। আর টাকা যায় তাদের বিদেশের অ্যাকাউন্টে। তারা এতিমের নামে সাইনবোর্ড লাগাতে পারে, এতিমের ঘরবাড়ি করে না আর এতিমের টাকা যায় প্রসাধনীতে।
সোমবার বিকেলে ৪র্থ দিনের নির্বাচনী প্রচার ও গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি নগরীর মোহরা, চান্দগাঁও এবং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। এর আগে সকালে তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এক দফার প্রস্তাবকারী চট্টল শার্দুল জননেতা এম আজিজের কবর জেয়ারত করেন এবং মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় যোগ দেন।
জনকল্যাণে কাজ করতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে উল্লেখ করে রেজাউল বলেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। গণমানুষের কল্যাণই আওয়ামী লীগের রাজনীতি। তাই আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আপনাদের দোয়া নিতে। বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাকে আপনাদের সেবার দায়িত্ব দিতে চান। তাই নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। আমি আপনাদের সন্তান, বীর চট্টলার সন্তান। বীর চট্টলার ধুলোমাটির ঋণ আমি চট্টগ্রামের মানুষের সেবা করে এবং চট্টগ্রামকে অধিকতর সমৃদ্ধ করার মধ্য দিয়ে শোধ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, চান্দগাঁও থানা এলাকা ছিল বিস্তীর্ণ প্রান্তর। পরিকল্পিত উন্নয়নের অভাবে এলাকার অনেকটা ঘিঞ্জি পরিবেশ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে যে নাগরিক সুবিধা চান্দগাঁও, মোহরা, ষোলশহরের মানুষ পাচ্ছে তা অন¨ কোনো সরকার দিতে পারেনি। আমি মেয়র নির্বাচিত হয়ে সব শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে সমন্বিত পরিকল্পনায় চান্দগাঁও ও মোহরাসহ পুরো চট্টগ্রাম নগরীকে নান্দনিকরূপে সাজাতে চাই। চট্টগ্রামের ধর্ম, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধির জন্য আমার পূর্বপুরুষরা কাজ করে গেছেন।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বলেন, চট্টগ্রামের সভ্যতার বিকাশের প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে আমাদের বহরদার পরিবার অবদান রেখে আসছে। ওই পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি চাই একটা নৈতিক চট্টগ্রাম উপহার দিতে। যেখানে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, দুর্নীতি, রাহাজানি থাকবে না। নির্মল পরিবেশে শিশুরা বেড়ে উঠতে পারবে, নারীরা স্বীয় মর্যাদা নিয়ে কাজ করবেন। যানজট, জলযটের মতো বিভ্রাট থাকবে না। সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ বিরাজ করবে।
গণসংযোগকালে রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক সিডিএ’র চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, মহিলা সম্পাদিকা ও কাউন্সিলর প্রার্থী জোবাইরা নার্গিস খান, ৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক জসীম উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ হাসান খান মাসুক, কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিন মামুন প্রমুখ।