স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দুই গ্রুপের মারামারি, আহত ৬
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ১২:২০
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সুন্দরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের বর্ধিত সভায় স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মারামারিতে উভয় পক্ষের অন্তত ৬ ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের আজিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মারামারিতে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী খোকন, সাইফুদ্দীন, নুরুল্লাহ, ফোরকান, শহিদুল্লাহ ও সালাউদ্দীন গুরুতর আহত হয়।
আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নাজিরহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত বর্ধিত সভার শুরুতে একটি স্লোগানকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। উভয় পক্ষ একে অপরকে সভাস্থলের চেয়ার ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে সভা পণ্ড হয়ে যায়।
পরে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন সভার প্রধান অতিথি ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক শাহ আলম সিকদারসহ নেতারা।
এ সভার সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদুল্লাহ।
ঘটনায় আহত যুবলীগ কর্মী খোকন বলেন, আমরা আমাদের নেতা ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ আবু তৈয়বের নামে শান্তিপূর্ণ স্লোগান গিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করা মাত্রই শহীদুল্লাহ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমরা গুরুতর আহত হই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদুল্লাহ বলেন, ‘আমি কাউকে হামলা করিনি। খোকনসহ বহিরাগতরা সভাস্থলে প্রবেশ করলে নেতা-কর্মীরা তাদের প্রতিহত করে।’
জানতে চাইলে বুধবার সকালে ফটিকছড়ি থানার ওসি রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে৷ এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ১২:২০

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সুন্দরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের বর্ধিত সভায় স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মারামারিতে উভয় পক্ষের অন্তত ৬ ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের আজিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মারামারিতে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী খোকন, সাইফুদ্দীন, নুরুল্লাহ, ফোরকান, শহিদুল্লাহ ও সালাউদ্দীন গুরুতর আহত হয়।
আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নাজিরহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত বর্ধিত সভার শুরুতে একটি স্লোগানকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। উভয় পক্ষ একে অপরকে সভাস্থলের চেয়ার ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে সভা পণ্ড হয়ে যায়।
পরে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন সভার প্রধান অতিথি ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক শাহ আলম সিকদারসহ নেতারা।
এ সভার সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদুল্লাহ।
ঘটনায় আহত যুবলীগ কর্মী খোকন বলেন, আমরা আমাদের নেতা ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ আবু তৈয়বের নামে শান্তিপূর্ণ স্লোগান গিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করা মাত্রই শহীদুল্লাহ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমরা গুরুতর আহত হই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদুল্লাহ বলেন, ‘আমি কাউকে হামলা করিনি। খোকনসহ বহিরাগতরা সভাস্থলে প্রবেশ করলে নেতা-কর্মীরা তাদের প্রতিহত করে।’
জানতে চাইলে বুধবার সকালে ফটিকছড়ি থানার ওসি রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে৷ এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি।’