হালকা বৃষ্টিতে ভাসল চট্টগ্রাম নগরী, বাসাবাড়িতে নালার পানি
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ৫ মে, ২০২২ ২০:৪০
ছবি: সংগৃহীত
মাত্র ২৫ দশমিক শূন্য দুই মিলিমিটার বৃষ্টিতে হাঁটুসমান পানিতে আবারও ডুবল চট্টগ্রাম নগরীর নিম্নাঞ্চল।
বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকেই নগরীর অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়। এতে নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে দুর্ভোগ পড়েছে নগরবাসী। এমনকি অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানে পানি ঢুকে পড়ায় বেকায়দায় পড়েন সেখানকার বাসিন্দা ও দোকানিরা।
এদিকে, পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৫ দশমিক শূন্য দুই মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসে দায়িত্বরত পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, বুধবার শেষ রাতের দিকে এবং বৃহস্পতিবার সকালে সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ২৫ দশমিক শূন্য ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আর ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।
বৃহস্পতিবার ভোররাত এবং গত বুধবার মধ্যরাত থেকে দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর বেশ কটি প্রধান সড়ক, গলি ও উপগলিতে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। এ ছাড়া নগরীর দুই নম্বর গেট, ষোলোশহর, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট মোড়, ফরিদার পাড়া, চকবাজার, বাদুরতলা, কাপাসগোলা, মোগলটুলি, আগ্রাবাদ, ট্রাঙ্ক রোড, বাকলিয়া ডিসি রোড, তালতলা, চান্দগাঁও, খতিবের হাট, সিঅ্যান্ডবি কলোনি, চাকতাই, খাতুনগঞ্জ, নাছিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি, আগ্রাবাদ, ঈদগাঁও, কাতালগঞ্জ, শুল্কবহর, হালিশহর, বিবিরহাট এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
এতে স্থানীয় ও পথচারীরা দুর্ভোগে পড়েন। সড়কের পাশাপাশি অলিগলি, নিচু এলাকার বাসাবাড়ি ও দোকানে পানি ঢুকে চরম বেকায়দায় পড়েন স্থানীয়রা। এমনকি, ঈদের পর প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় অনেকের কর্মস্থলে যেতেও চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়।
রায়হান নামে নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার বাসিন্দা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আগে আমাদের এলাকায় কখনো পানি ওঠেনি। গত কয়েক বছর থেকে এলাকায় পানি উঠছে। এখন কর্ণফুলী নদীতে জোয়ার এলেই এলাকার রাস্তাঘাট, অলিগলিতে পানি উঠে যায়। এমনকি অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়ে। নালার ময়লা পানি অনেক বাসায় ঢুকে পড়ে। বৃষ্টি হলে আমরা খুব দুর্ভোগে পড়ে যাই।’
মাহবুব হোসেন নামে বাদুরতলা এলাকার এক বাসিন্দা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কী আর বলব? এই বাদুরতলা এলাকায় বৃষ্টি হলেই পানি উঠে যায়। রাস্তা উঁচু হওয়ায় গলির পানি চলাচল যথাযথভাবে হচ্ছে না। শুল্কবহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে বেশ কয়েকবার বলেছি। এলাকার নিচু গলিগুলো উঁচু করতে।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ৫ মে, ২০২২ ২০:৪০

মাত্র ২৫ দশমিক শূন্য দুই মিলিমিটার বৃষ্টিতে হাঁটুসমান পানিতে আবারও ডুবল চট্টগ্রাম নগরীর নিম্নাঞ্চল।
বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকেই নগরীর অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়। এতে নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে দুর্ভোগ পড়েছে নগরবাসী। এমনকি অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানে পানি ঢুকে পড়ায় বেকায়দায় পড়েন সেখানকার বাসিন্দা ও দোকানিরা।
এদিকে, পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৫ দশমিক শূন্য দুই মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসে দায়িত্বরত পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, বুধবার শেষ রাতের দিকে এবং বৃহস্পতিবার সকালে সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ২৫ দশমিক শূন্য ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আর ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।
বৃহস্পতিবার ভোররাত এবং গত বুধবার মধ্যরাত থেকে দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর বেশ কটি প্রধান সড়ক, গলি ও উপগলিতে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। এ ছাড়া নগরীর দুই নম্বর গেট, ষোলোশহর, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট মোড়, ফরিদার পাড়া, চকবাজার, বাদুরতলা, কাপাসগোলা, মোগলটুলি, আগ্রাবাদ, ট্রাঙ্ক রোড, বাকলিয়া ডিসি রোড, তালতলা, চান্দগাঁও, খতিবের হাট, সিঅ্যান্ডবি কলোনি, চাকতাই, খাতুনগঞ্জ, নাছিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি, আগ্রাবাদ, ঈদগাঁও, কাতালগঞ্জ, শুল্কবহর, হালিশহর, বিবিরহাট এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
এতে স্থানীয় ও পথচারীরা দুর্ভোগে পড়েন। সড়কের পাশাপাশি অলিগলি, নিচু এলাকার বাসাবাড়ি ও দোকানে পানি ঢুকে চরম বেকায়দায় পড়েন স্থানীয়রা। এমনকি, ঈদের পর প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় অনেকের কর্মস্থলে যেতেও চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়।
রায়হান নামে নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার বাসিন্দা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আগে আমাদের এলাকায় কখনো পানি ওঠেনি। গত কয়েক বছর থেকে এলাকায় পানি উঠছে। এখন কর্ণফুলী নদীতে জোয়ার এলেই এলাকার রাস্তাঘাট, অলিগলিতে পানি উঠে যায়। এমনকি অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়ে। নালার ময়লা পানি অনেক বাসায় ঢুকে পড়ে। বৃষ্টি হলে আমরা খুব দুর্ভোগে পড়ে যাই।’
মাহবুব হোসেন নামে বাদুরতলা এলাকার এক বাসিন্দা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কী আর বলব? এই বাদুরতলা এলাকায় বৃষ্টি হলেই পানি উঠে যায়। রাস্তা উঁচু হওয়ায় গলির পানি চলাচল যথাযথভাবে হচ্ছে না। শুল্কবহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে বেশ কয়েকবার বলেছি। এলাকার নিচু গলিগুলো উঁচু করতে।’