হালদা নদীতে ‘নমুনা ডিম’ ছেড়েছে মা মাছ
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | ১৫ মে, ২০২২ ১২:৩৭
ফাইল ছবি
দেশে কার্প জাতীয় মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র জোয়ার ভাটার নদী বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে।
শনিবার রাত এগারোটার দিকে নদীতে জোয়ার চলাকালে এই ডিম ছাড়ে।
এখন পূর্ণিমার তিথি চলছে। বজ্রসহ বৃষ্টিপাত না হলেও পরিবেশ মোটামুটি শীতল রয়েছে।
শীতল পরিবেশ ডিম ছাড়ার উপযুক্ত সময় বলে জানিয়েছেন ডিম অপহরণকারীরা। গত শুক্রবার সাংকেতিকভাবে নদীতে মা মাছ ডিম ছেড়েছে বিভিন্ন স্থানে।
তা ছাড়া গতকাল শনিবার দুপুরে নদীতে ভাটার সময় ডিমের কিছু কিছু আলামত দেখা দেয়।
রাতে ডিমের নমুনার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। গত শুক্রবার নদীতে ডিমের কিছু আলামত দেখে ডিম অপহরণকারীরা নৌকা ও ডিম আহরণের সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নেমে পড়ে। অনেকে নদী পাহারায় থাকেন।
গত শনিবার সারা দিন ডিম অপহরণকারীরা নদী পাহারায় ছিল। দিনের বেলায় ভাটার সময় নদীর বিভিন্ন স্থানে ডিমের কিছু কিছু আলামত দেখা দেয়।
ডিম আহরণকারীদের প্রত্যাশা ছিল এই পূর্ণিমার জোতে নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়বে। তাই তারা প্রস্তুত ছিল।
রাতে জোয়ার শুরু হলে নদীতে ডিমের নমুনার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। নদীতে ডিমের নমুনার পরিমাণ গত শুক্রবার থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান মাছুয়াঘোনার ডিম আহরণকারী মোহাম্মদ শফিউল আলম।
একইভাবে গড়দুয়ারা ও মদুনাঘাট বড়ুয়া পাড়া এলাকার ডিম আহরণকারী কামাল সওদাগর ও আশু বড়ুয়া নদীতে মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে বলে গণমাধ্যমকে রাতে জানিয়েছেন।
রাতে জোয়ারের সময় গড়দুয়ারা, কাগতিয়ার টেক, পাতাইজ্জ্যার টেক, মাছুয়াঘোনা, নাপিকের ঘাট, আজিমের ঘাট আমতুয়া, খাড়ির মুখ, রামদাসমুন্সির হাট, মদুনাঘাট, ছায়ারচড় প্রভৃতি স্থানে নমুনা ডিম সংগ্রহ করছেন ডিম অপহরণকারীরা।
রাতে জোয়ার কিংবা ভাটার সময় মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। কিন্তু রাতে আর ডিম ছাড়েনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | ১৫ মে, ২০২২ ১২:৩৭

দেশে কার্প জাতীয় মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র জোয়ার ভাটার নদী বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে।
শনিবার রাত এগারোটার দিকে নদীতে জোয়ার চলাকালে এই ডিম ছাড়ে।
এখন পূর্ণিমার তিথি চলছে। বজ্রসহ বৃষ্টিপাত না হলেও পরিবেশ মোটামুটি শীতল রয়েছে।
শীতল পরিবেশ ডিম ছাড়ার উপযুক্ত সময় বলে জানিয়েছেন ডিম অপহরণকারীরা। গত শুক্রবার সাংকেতিকভাবে নদীতে মা মাছ ডিম ছেড়েছে বিভিন্ন স্থানে।
তা ছাড়া গতকাল শনিবার দুপুরে নদীতে ভাটার সময় ডিমের কিছু কিছু আলামত দেখা দেয়।
রাতে ডিমের নমুনার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। গত শুক্রবার নদীতে ডিমের কিছু আলামত দেখে ডিম অপহরণকারীরা নৌকা ও ডিম আহরণের সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নেমে পড়ে। অনেকে নদী পাহারায় থাকেন।
গত শনিবার সারা দিন ডিম অপহরণকারীরা নদী পাহারায় ছিল। দিনের বেলায় ভাটার সময় নদীর বিভিন্ন স্থানে ডিমের কিছু কিছু আলামত দেখা দেয়।
ডিম আহরণকারীদের প্রত্যাশা ছিল এই পূর্ণিমার জোতে নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়বে। তাই তারা প্রস্তুত ছিল।
রাতে জোয়ার শুরু হলে নদীতে ডিমের নমুনার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। নদীতে ডিমের নমুনার পরিমাণ গত শুক্রবার থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান মাছুয়াঘোনার ডিম আহরণকারী মোহাম্মদ শফিউল আলম।
একইভাবে গড়দুয়ারা ও মদুনাঘাট বড়ুয়া পাড়া এলাকার ডিম আহরণকারী কামাল সওদাগর ও আশু বড়ুয়া নদীতে মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে বলে গণমাধ্যমকে রাতে জানিয়েছেন।
রাতে জোয়ারের সময় গড়দুয়ারা, কাগতিয়ার টেক, পাতাইজ্জ্যার টেক, মাছুয়াঘোনা, নাপিকের ঘাট, আজিমের ঘাট আমতুয়া, খাড়ির মুখ, রামদাসমুন্সির হাট, মদুনাঘাট, ছায়ারচড় প্রভৃতি স্থানে নমুনা ডিম সংগ্রহ করছেন ডিম অপহরণকারীরা।
রাতে জোয়ার কিংবা ভাটার সময় মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। কিন্তু রাতে আর ডিম ছাড়েনি।