কৃষকের বাধার মুখে কর্ণফুলী খনন কার্যক্রম বন্ধ, এলাকায় উত্তেজনা
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | ২৩ মে, ২০২২ ১৪:৪৫
কৃষকের বাধার মুখে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কদমতলী এলাকায় কর্ণফুলী নদী খনন প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
নদী খননকৃত বালি কৃষি জমিতে ফেলার প্রক্রিয়ায় আপত্তি করায় আজ দুপুর ১টার দিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
কৃষকের অভিযোগ, বালি ফেলা হলে তাদের ধানি জমি নষ্ট হয়ে যাবে। আবাদে অনুপযোগী হয়ে যাবে। এ নিয়ে এলাকায় কৃষকের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সম্প্রতি কর্ণফুলী নদী খনন পরিকল্পনায় এখানে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের ২‘শ মিটার নদী খননের প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাঠ কর্মকর্তা প্রকৌশলী শোভন আলী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমোদনে কৃষি জমিতে নদী খননের বালি ফেলার প্রক্রিয়া চলছিল।
উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শামশুল আরেফিন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ১৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ কিলোমিটার কর্ণফুলী নদী খননের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার কদমতলীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জমিতেই কর্ণফুলী নদী খননের পলি ও বালি ফেলার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক মাস্টার মধুসূদন ঘোষ অভিযোগ করেন, কর্নফুলি সেচ প্রকল্পের প্রধান পাম্পিং প্ল্যান্টের নিকটে ৮ একর জমি স্থানীয় কৃষকের মালিকানার। গুমাই বিলের অর্ধশতাধিক কৃষক ওই জমিতে বীজতলা এবং ধান চাষাবাদ করে জীবিকার ফসল উৎপাদন করে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অন্যায়ভাবে তাদের জমিতে বালি ভরাট প্রক্রিয়ায় কৃষকেরা নিঃস্ব হয়ে পড়বে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | ২৩ মে, ২০২২ ১৪:৪৫

কৃষকের বাধার মুখে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কদমতলী এলাকায় কর্ণফুলী নদী খনন প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
নদী খননকৃত বালি কৃষি জমিতে ফেলার প্রক্রিয়ায় আপত্তি করায় আজ দুপুর ১টার দিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
কৃষকের অভিযোগ, বালি ফেলা হলে তাদের ধানি জমি নষ্ট হয়ে যাবে। আবাদে অনুপযোগী হয়ে যাবে। এ নিয়ে এলাকায় কৃষকের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সম্প্রতি কর্ণফুলী নদী খনন পরিকল্পনায় এখানে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের ২‘শ মিটার নদী খননের প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাঠ কর্মকর্তা প্রকৌশলী শোভন আলী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমোদনে কৃষি জমিতে নদী খননের বালি ফেলার প্রক্রিয়া চলছিল।
উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শামশুল আরেফিন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ১৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ কিলোমিটার কর্ণফুলী নদী খননের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার কদমতলীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জমিতেই কর্ণফুলী নদী খননের পলি ও বালি ফেলার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক মাস্টার মধুসূদন ঘোষ অভিযোগ করেন, কর্নফুলি সেচ প্রকল্পের প্রধান পাম্পিং প্ল্যান্টের নিকটে ৮ একর জমি স্থানীয় কৃষকের মালিকানার। গুমাই বিলের অর্ধশতাধিক কৃষক ওই জমিতে বীজতলা এবং ধান চাষাবাদ করে জীবিকার ফসল উৎপাদন করে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অন্যায়ভাবে তাদের জমিতে বালি ভরাট প্রক্রিয়ায় কৃষকেরা নিঃস্ব হয়ে পড়বে।