হালদায় তৃতীয় দফায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | ১৮ জুন, ২০২২ ১৬:১১
দেশে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন কেন্দ্র জোয়ার ভাটার নদী বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মা মাছ তৃতীয় দফা ডিম ছেড়েছে।
শুক্রবার ভোর রাত পর্যন্ত মাছ ডিম ছাড়ে। আবার শুক্রবার দুইটার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাছের ডিম ছাড়া অব্যাহত ছিল।
পূর্ণিমার এই জোতে বজ্রসহ প্রবল বর্ষণ থাকায় নদীতে পাহাড়ি ঢলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বজ্রসহ বৃষ্টিপাত মাছের ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে নদীতে জোয়ার চলাকালে মা মাছ ডিম ছাড়তে শুরু করে।
ইতিপূর্বে কয়েক জো চলে গেলে ও মাছ ডিম না ছাড়ায় ডিম অপহরণকারীরা হতাশ হয়ে পড়েছিল। অনেকে ডিম সংগ্রহের জন্য ভাড়া করা নৌকা ও সরঞ্জাম ছেড়ে দিয়েছে।
তবে ডিম আহরণকারীদের প্রত্যাশা ছিল জুন মাসের তিথিতে মাছ পুনরায় ডিম ছাড়বে। এজন্য ডিম আহরণকারীরা বৃষ্টি ও বজ্রপাত, পাহাড়ি ঢলের আলামত দেখে গত বৃহস্পতিবার রাতে নদী পাহারায় ছিল।
জোয়ারের সঙ্গে সঙ্গে মাছ ডিম ছাড়তে শুরু করে। রাতে গড়দুয়ারা নয়াহাট, ছিপাইরঘাট, কাগতিয়ার টেক, মাছুয়াঘোনা, আজিমার ঘাট, নাপিতের ঘাট প্রভৃতি স্থানে মাছ ডিম ছাড়ে। ভোর পর্যন্ত ডিম ছাড়া অব্যাহত ছিল।
ডিম আহরণকারীরা সংগৃহীত ডিম মাছুয়াঘোনা, শাহ মাদারী মদুনাঘাট ও গড়দুয়ারা নয়া এলাকায় স্থাপিত হ্যাচারি ডিম থেকে রেণু ফোটানোর জন্য কাজ শুরু করে।
তবে এবার নদীর উপরী অংশে মাছ ডিম ছেড়েছে।
ডিম আহরণকারী তথ্য মতে প্রায় দুইশ নৌকায় পাঁচশ ডিম আহরণকারী ডিম সংগ্রহ করে। গত শুক্রবার দুপুর থেকে আবারও মাছ ডিম ছাড়তে থাকে রাত আটটা পর্যন্ত ডিম আহরণকারী কার্যক্রম চলে বলে জানান সংগ্রহকারীরা।
মাছুয়াঘোনার ডিম সংগ্রহকারী মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, তিনি এবং এই এলাকার ডিম আহরণকারী রাতে প্রায় আটটা পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করছে।
এই হ্যাচারিতে ১২০ বালতি ডিম থেকে রেণু ফোটানোর কাজ চলছে। তবে অন্যান্য হ্যাচারিতে তেমন কার্যক্রম নেই।
মদুনাঘাট এলাকার ডিম সংগ্রহকারী আশু বড়ুয়া জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মাছ নদীতে ডিম ছেড়েছে। ঢল বজ্রসহ বৃষ্টিপাত দেখে তিনি ও ডিম আহরণের জন্য নদীতে নামেন।
তিনি দুই/আড়াই বালতির মতো ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন।
হালদা গবেষক অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া গণমাধ্যমকে নদীতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ডিম ছাড়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ডিমের পরিমাণ কম ছিল।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিদুল আলম হালদা নদীতে মাছ ডিম ছেড়েছে বলে জানিয়েছেন। কবে ডিম ছাড়ার শেষ মৌসুম হওয়ায় ডিমের পরিমাণ কম ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | ১৮ জুন, ২০২২ ১৬:১১

দেশে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন কেন্দ্র জোয়ার ভাটার নদী বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মা মাছ তৃতীয় দফা ডিম ছেড়েছে।
শুক্রবার ভোর রাত পর্যন্ত মাছ ডিম ছাড়ে। আবার শুক্রবার দুইটার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাছের ডিম ছাড়া অব্যাহত ছিল।
পূর্ণিমার এই জোতে বজ্রসহ প্রবল বর্ষণ থাকায় নদীতে পাহাড়ি ঢলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বজ্রসহ বৃষ্টিপাত মাছের ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে নদীতে জোয়ার চলাকালে মা মাছ ডিম ছাড়তে শুরু করে।
ইতিপূর্বে কয়েক জো চলে গেলে ও মাছ ডিম না ছাড়ায় ডিম অপহরণকারীরা হতাশ হয়ে পড়েছিল। অনেকে ডিম সংগ্রহের জন্য ভাড়া করা নৌকা ও সরঞ্জাম ছেড়ে দিয়েছে।
তবে ডিম আহরণকারীদের প্রত্যাশা ছিল জুন মাসের তিথিতে মাছ পুনরায় ডিম ছাড়বে। এজন্য ডিম আহরণকারীরা বৃষ্টি ও বজ্রপাত, পাহাড়ি ঢলের আলামত দেখে গত বৃহস্পতিবার রাতে নদী পাহারায় ছিল।
জোয়ারের সঙ্গে সঙ্গে মাছ ডিম ছাড়তে শুরু করে। রাতে গড়দুয়ারা নয়াহাট, ছিপাইরঘাট, কাগতিয়ার টেক, মাছুয়াঘোনা, আজিমার ঘাট, নাপিতের ঘাট প্রভৃতি স্থানে মাছ ডিম ছাড়ে। ভোর পর্যন্ত ডিম ছাড়া অব্যাহত ছিল।
ডিম আহরণকারীরা সংগৃহীত ডিম মাছুয়াঘোনা, শাহ মাদারী মদুনাঘাট ও গড়দুয়ারা নয়া এলাকায় স্থাপিত হ্যাচারি ডিম থেকে রেণু ফোটানোর জন্য কাজ শুরু করে।
তবে এবার নদীর উপরী অংশে মাছ ডিম ছেড়েছে।
ডিম আহরণকারী তথ্য মতে প্রায় দুইশ নৌকায় পাঁচশ ডিম আহরণকারী ডিম সংগ্রহ করে। গত শুক্রবার দুপুর থেকে আবারও মাছ ডিম ছাড়তে থাকে রাত আটটা পর্যন্ত ডিম আহরণকারী কার্যক্রম চলে বলে জানান সংগ্রহকারীরা।
মাছুয়াঘোনার ডিম সংগ্রহকারী মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, তিনি এবং এই এলাকার ডিম আহরণকারী রাতে প্রায় আটটা পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করছে।
এই হ্যাচারিতে ১২০ বালতি ডিম থেকে রেণু ফোটানোর কাজ চলছে। তবে অন্যান্য হ্যাচারিতে তেমন কার্যক্রম নেই।
মদুনাঘাট এলাকার ডিম সংগ্রহকারী আশু বড়ুয়া জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মাছ নদীতে ডিম ছেড়েছে। ঢল বজ্রসহ বৃষ্টিপাত দেখে তিনি ও ডিম আহরণের জন্য নদীতে নামেন।
তিনি দুই/আড়াই বালতির মতো ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন।
হালদা গবেষক অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া গণমাধ্যমকে নদীতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ডিম ছাড়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ডিমের পরিমাণ কম ছিল।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিদুল আলম হালদা নদীতে মাছ ডিম ছেড়েছে বলে জানিয়েছেন। কবে ডিম ছাড়ার শেষ মৌসুম হওয়ায় ডিমের পরিমাণ কম ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।