রোগীর স্বজনকে মারধর: চমেকের চিকিৎসক, লিফটম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ৫ জুলাই, ২০২২ ২৩:৪১
লিফটে ওঠা নিয়ে এক রোগীর স্বজনকে মারধরের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের এক চিকিৎসক ও লিফটম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান ও লিফটম্যান রাজু।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার জাহানের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী রেজাউল ইসলামের স্ত্রী বিবি আয়েশা। আদালত ঘটনার তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়, গত ৩ জুলাই স্বামী-সন্তান ও স্বজনদের নিয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ননদকে দেখতে যান মামলার বাদী। প্রথমতলা থেকে হেঁটে উঠলেও হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় সিঁড়িতে কাজ চলার কারণে সেখান থেকে লিফটে ওঠার চেষ্টা করেন। এ সময় লিফটম্যান দরজা খুলে বলেন, ‘এটা শুধু চিকিৎসকদের লিফট, এতে ওঠা যাবে না’। অথচ ওই সময় লিফটে অনেক সাধারণ মানুষ ছিলেন।
এতে বলা হয়, বিষয়টি লিফটম্যানকে বলার পর লিফটম্যান বাদীর স্বামী রেজাউল ইসলামকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে ভুক্তভোগী রেজাউল ইসলাম গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই চিকিৎসক মিজানুর রহমানসহ অপর একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ভুক্তভোগীকে নেটে হিঁচড়ে লিফটের ভেতরে নিয়ে যান। এ সময় লিফটম্যান রাজু এবং চিকিৎসক মিজানুর রহমান মিলে তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে ভুক্তভোগী প্রতিবাদ করলে চিকিৎসকের নির্দেশে লিফটম্যান ও অজ্ঞাত ১০/১২ জন মিলে জোরপূর্বক বাদীসহ ভুক্তভোগী ও তার স্বজনদের টেনে হিঁচড়ে চমেক হাসপাতালের ৫ম তলায় ৩২নম্বর কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে ভুক্তভোগী, বাদীসহ তাদের স্বজনদের নির্যাতন করা হয়। পরে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করেন।
এ প্রসঙ্গে মামলার বাদীর আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, চমেক হাসপাতালে রোগীর স্বজনের ওপর হামলার ঘটনায় চিকিৎসকসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত ঘটনাস্থল এবং আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্তপূর্বক ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোকে নির্দেশ দিয়েছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ৫ জুলাই, ২০২২ ২৩:৪১

লিফটে ওঠা নিয়ে এক রোগীর স্বজনকে মারধরের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের এক চিকিৎসক ও লিফটম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান ও লিফটম্যান রাজু।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার জাহানের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী রেজাউল ইসলামের স্ত্রী বিবি আয়েশা। আদালত ঘটনার তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়, গত ৩ জুলাই স্বামী-সন্তান ও স্বজনদের নিয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ননদকে দেখতে যান মামলার বাদী। প্রথমতলা থেকে হেঁটে উঠলেও হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় সিঁড়িতে কাজ চলার কারণে সেখান থেকে লিফটে ওঠার চেষ্টা করেন। এ সময় লিফটম্যান দরজা খুলে বলেন, ‘এটা শুধু চিকিৎসকদের লিফট, এতে ওঠা যাবে না’। অথচ ওই সময় লিফটে অনেক সাধারণ মানুষ ছিলেন।
এতে বলা হয়, বিষয়টি লিফটম্যানকে বলার পর লিফটম্যান বাদীর স্বামী রেজাউল ইসলামকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে ভুক্তভোগী রেজাউল ইসলাম গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই চিকিৎসক মিজানুর রহমানসহ অপর একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ভুক্তভোগীকে নেটে হিঁচড়ে লিফটের ভেতরে নিয়ে যান। এ সময় লিফটম্যান রাজু এবং চিকিৎসক মিজানুর রহমান মিলে তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে ভুক্তভোগী প্রতিবাদ করলে চিকিৎসকের নির্দেশে লিফটম্যান ও অজ্ঞাত ১০/১২ জন মিলে জোরপূর্বক বাদীসহ ভুক্তভোগী ও তার স্বজনদের টেনে হিঁচড়ে চমেক হাসপাতালের ৫ম তলায় ৩২নম্বর কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে ভুক্তভোগী, বাদীসহ তাদের স্বজনদের নির্যাতন করা হয়। পরে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করেন।
এ প্রসঙ্গে মামলার বাদীর আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, চমেক হাসপাতালে রোগীর স্বজনের ওপর হামলার ঘটনায় চিকিৎসকসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত ঘটনাস্থল এবং আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্তপূর্বক ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোকে নির্দেশ দিয়েছেন।