সরোয়ার বললেন
সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে
বরিশাল প্রতিনিধি | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
প্রচারে বাধা, বাড়িতে বাড়িতে পুলিশি অভিযান ও নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বরিশাল-৫ সদর আসনে বিএনপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। গতকাল রোববার বরিশাল প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি নির্বাচন নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেন।
সরোয়ার বলেন, ‘আশা করেছিলাম সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু ভোটের মাঠের বাস্তব অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রার্থী হয়েও আমি প্রচার চালাতে পারছি না। নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, বাড়িতে বাড়িতে পুলিশি অভিযান চলছে, ৩০ তারিখ পর্যন্ত বাড়িতে না থাকতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য ছিল, ‘ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না’। বাস্তবে ওই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এতে অন্যরা প্রচারে নামতে ভয় পাচ্ছেন।’
বিএনপির এ যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘আজ আমার বাড়ি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। সংবাদ সম্মেলন করতে প্রেস ক্লাবে আসব সেখানে পুলিশ ঘিরে রেখেছে। সব দিক মিলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ এ রকম থাকলে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে সাহস পাবে না। প্রশাসন যদি পক্ষপাতমূলক আচরণ করে তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন অভিযোগ করেন, বরিশাল বিভাগের ২১ আসনের সবকটিতেই একই চিত্র। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে ভোলায়। হামলা, মামলা নিয়ে সেখানকার নেতাকর্মীরা অনেকটা অসহায়। ভোলাতে ৫০ জন, পিরোজপুরে ৬৫, পটুয়াখালী ২০, ঝালকাঠি ২০, বরগুনা ১৫ এবং বরিশালে ৭১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ঝালকাঠিতে নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর, গাড়িতে হামলা হয়েছে।
শেয়ার করুন
বরিশাল প্রতিনিধি | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

প্রচারে বাধা, বাড়িতে বাড়িতে পুলিশি অভিযান ও নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বরিশাল-৫ সদর আসনে বিএনপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। গতকাল রোববার বরিশাল প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি নির্বাচন নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেন।
সরোয়ার বলেন, ‘আশা করেছিলাম সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু ভোটের মাঠের বাস্তব অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রার্থী হয়েও আমি প্রচার চালাতে পারছি না। নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, বাড়িতে বাড়িতে পুলিশি অভিযান চলছে, ৩০ তারিখ পর্যন্ত বাড়িতে না থাকতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য ছিল, ‘ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না’। বাস্তবে ওই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এতে অন্যরা প্রচারে নামতে ভয় পাচ্ছেন।’
বিএনপির এ যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘আজ আমার বাড়ি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। সংবাদ সম্মেলন করতে প্রেস ক্লাবে আসব সেখানে পুলিশ ঘিরে রেখেছে। সব দিক মিলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ এ রকম থাকলে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে সাহস পাবে না। প্রশাসন যদি পক্ষপাতমূলক আচরণ করে তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন অভিযোগ করেন, বরিশাল বিভাগের ২১ আসনের সবকটিতেই একই চিত্র। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে ভোলায়। হামলা, মামলা নিয়ে সেখানকার নেতাকর্মীরা অনেকটা অসহায়। ভোলাতে ৫০ জন, পিরোজপুরে ৬৫, পটুয়াখালী ২০, ঝালকাঠি ২০, বরগুনা ১৫ এবং বরিশালে ৭১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ঝালকাঠিতে নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর, গাড়িতে হামলা হয়েছে।