জমে উঠেছে ভোট উৎসব
তামজিদ হাসান | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
ফাইল ছবি
উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে চলছে ঢাকা-১২ আসনে প্রার্থীদের প্রচার। এই আসনে প্রতিদিনিই দাপুটে প্রচার চালাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী আসাদুজ্জামান খান কামালের কর্মী-সমর্থকরা। এ ছাড়া এই আসনে নৌকা প্রতীকে আসাদুজ্জামান খান, ধানের শীষ প্রতীকে সাইফুল আলম নীরব, কোদাল প্রতীকে জোনায়েদ আবদুর রহিম সাকি ও লাঙল প্রতীকে নাসির উদ্দিন সরকার, হাতপাখা প্রতীকে শওকত আলী হাওলাদার লড়াই করছেন।
সরজমিনে দেখা যায়, উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে নির্বাচনী প্রচার। এলাকার মোড়ে মোড়ে রয়েছে প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন। প্রচারে বিএনপি অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও গতকাল সোমবার নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। তবে এই আসনে কোথাও ধানের শীষের পোস্টার দেখা যায়নি। তবে কয়েকটি স্থানে হাতপাখা ও কোদাল মার্কার পোস্টার দেখা গেছে।
জানতে চাইলে মহাখালীর তরুণ ভোটার রাকিবুল হাসান বলেন, ‘বিগত ১০ বছরে আমাদের এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি এলাকায় মসজিদের জন্য জায়গা করে দিয়েছেন। তিনি এলাকার মানুষের জন্য দলমত দেখেননি। তিনি ছিলেন সবার মন্ত্রী। তিনি কাউকে হতাশ করেননি। আমি চাই তিনি আবার ক্ষমতায় এসে এলাকার মানুষের সব সমস্যার সমাধান করুক।’
আরেক তরুণ ভোটার নাঈম বলেন, ‘ঢাকা ১২ আসন মানেই কামাল ভাই। তিনি আমাদের এলাকার অনেক সমম্যার সমাধান করেছেন গত ১০ বছরে। সেগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান, রাস্তাঘাট মেরামত অন্যতম। নাঈম আরো জানান, আমাদের এখন একটাই দাবি, এলাকায় আমাদের যেন একটি খেলার মাঠ দেওয়া হয়।’
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক ভোটার বলেন, ‘আমাদের এলাকায় এখন তরুণদের মাঝে নেশার আসক্তি বাড়ছে। আগে বাইরে চলত এখন ঘরে নেশা চলে। তবে একটি খেলার মাঠ পারে তরুণদের নেশা থেকে বাঁচাতে।’
নির্বাচনী প্রচার সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের তেজগাঁও থানার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৮ নম্বর ইউনিট সভাপতি মীর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা খুব ভালোভাবে কাজ করতে পারছি, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না আবার বাধার সম্মুখীনও হচ্ছি না।’
এ ব্যাপারে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিয়াউদ্দিন মামুন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা পোস্টার লাগালে সে পোস্টার তারা ছিঁড়ে ফেলছে। আমরা প্রতিদিন রাতে পোস্টার লাগাচ্ছি কিন্তু দিনে সে পোস্টারগুলো আর দেখা যাচ্ছে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে মামুন বলেন, ‘কীভাবে আমরা মাইকে প্রচারকাজ চালাব। প্রচার করতে গেলে আমাদের মাইক কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি আমাদের প্রচারের কাজে ব্যবহার করা রিকশাও তারা পুড়িয়ে দিয়েছে।’
শেয়ার করুন
তামজিদ হাসান | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে চলছে ঢাকা-১২ আসনে প্রার্থীদের প্রচার। এই আসনে প্রতিদিনিই দাপুটে প্রচার চালাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী আসাদুজ্জামান খান কামালের কর্মী-সমর্থকরা। এ ছাড়া এই আসনে নৌকা প্রতীকে আসাদুজ্জামান খান, ধানের শীষ প্রতীকে সাইফুল আলম নীরব, কোদাল প্রতীকে জোনায়েদ আবদুর রহিম সাকি ও লাঙল প্রতীকে নাসির উদ্দিন সরকার, হাতপাখা প্রতীকে শওকত আলী হাওলাদার লড়াই করছেন।
সরজমিনে দেখা যায়, উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে নির্বাচনী প্রচার। এলাকার মোড়ে মোড়ে রয়েছে প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন। প্রচারে বিএনপি অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও গতকাল সোমবার নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। তবে এই আসনে কোথাও ধানের শীষের পোস্টার দেখা যায়নি। তবে কয়েকটি স্থানে হাতপাখা ও কোদাল মার্কার পোস্টার দেখা গেছে।
জানতে চাইলে মহাখালীর তরুণ ভোটার রাকিবুল হাসান বলেন, ‘বিগত ১০ বছরে আমাদের এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি এলাকায় মসজিদের জন্য জায়গা করে দিয়েছেন। তিনি এলাকার মানুষের জন্য দলমত দেখেননি। তিনি ছিলেন সবার মন্ত্রী। তিনি কাউকে হতাশ করেননি। আমি চাই তিনি আবার ক্ষমতায় এসে এলাকার মানুষের সব সমস্যার সমাধান করুক।’
আরেক তরুণ ভোটার নাঈম বলেন, ‘ঢাকা ১২ আসন মানেই কামাল ভাই। তিনি আমাদের এলাকার অনেক সমম্যার সমাধান করেছেন গত ১০ বছরে। সেগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান, রাস্তাঘাট মেরামত অন্যতম। নাঈম আরো জানান, আমাদের এখন একটাই দাবি, এলাকায় আমাদের যেন একটি খেলার মাঠ দেওয়া হয়।’
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক ভোটার বলেন, ‘আমাদের এলাকায় এখন তরুণদের মাঝে নেশার আসক্তি বাড়ছে। আগে বাইরে চলত এখন ঘরে নেশা চলে। তবে একটি খেলার মাঠ পারে তরুণদের নেশা থেকে বাঁচাতে।’
নির্বাচনী প্রচার সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের তেজগাঁও থানার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৮ নম্বর ইউনিট সভাপতি মীর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা খুব ভালোভাবে কাজ করতে পারছি, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না আবার বাধার সম্মুখীনও হচ্ছি না।’
এ ব্যাপারে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিয়াউদ্দিন মামুন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা পোস্টার লাগালে সে পোস্টার তারা ছিঁড়ে ফেলছে। আমরা প্রতিদিন রাতে পোস্টার লাগাচ্ছি কিন্তু দিনে সে পোস্টারগুলো আর দেখা যাচ্ছে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে মামুন বলেন, ‘কীভাবে আমরা মাইকে প্রচারকাজ চালাব। প্রচার করতে গেলে আমাদের মাইক কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি আমাদের প্রচারের কাজে ব্যবহার করা রিকশাও তারা পুড়িয়ে দিয়েছে।’