ভোটযুদ্ধে সাদেক ও সালাম
মদিনা জাহান রিমি | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
ঢাকা-১৩ আসনের বড় দুই দলের প্রার্থী এবং কর্মীরা, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেমেছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৩ আসন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান অনেক আগে থেকেই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন। ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক এই কাউন্সিলরের এলাকায় রয়েছে বেশ পরিচিতি।
সাদেক খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা সব দলকে স্বাগত জানিয়েছি। আমরা চাই সবাই ভোটকেন্দ্রমুখী হোক।’ বিএনপির প্রার্থী সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি তো এলাকায় বসবাস করেন না, তাই তাদের দলেরই ক্ষোভ আছে তাকে নিয়ে। তিনি থাকেন ফকিরাপুলে। সে জন্য তাদের সিনিয়র নেতারাই প্রচারণায় আসেন না। তিনি নিজেই পজেটিভ ইমেজ তৈরি করতে অসফল। আমরা তো সুসম্পর্ক বজায় রাখছি।’
অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আব্দুস সালাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রচারণা যেমন তেমন করে হলেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই, জনগণ যেন ভোট দিতে পারে এটাই কাম্য’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা পেছনে থেকে প্রচার কাজে রয়েছে, সামনে এলেই গ্রেপ্তার হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন করতেই হবে বলে সিনিয়র নেতাদের ছাড়াই যতটুকু প্রচারণা করা যায় করছি’।
তিনি জানান, তারা এখন পর্যন্ত জাকির হোসেন রোড, আড়ং, লালমাটিয়াসহ শ্যামলী মার্কেটের আশপাশের এলাকায় প্রচার করেছেন। দলীয়ভাবে সরাসরি আওয়ামী লীগের বাধার সম্মুখীন না হলেও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, মাইকিংয়ের সময় মাইক ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এই আসনে বিএনপি প্রার্থীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বেশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে মনে করছেন এলাকার ভোটাররা। মোহাম্মদপুর এলাকার হুমায়ুন রোডে কথা হয় ওই এলাকার ভোটার ইসমাইল হোসাইনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হাতের কাছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই এলাকায় নৌকার প্রতিযোগিতা হবে ধানের শীষের সঙ্গে। তবে এটা ঠিক, তরুণরা যেদিকে যাবে সেই দলের জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তবে তরুণরা নৌকার প্রার্থীর প্রতিই বেশি আগ্রহী।’ এ এলাকায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৬৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯২ হাজার ৬১২ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৬৫৭ জন।
শেয়ার করুন
মদিনা জাহান রিমি | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

ঢাকা-১৩ আসনের বড় দুই দলের প্রার্থী এবং কর্মীরা, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেমেছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৩ আসন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান অনেক আগে থেকেই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন। ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক এই কাউন্সিলরের এলাকায় রয়েছে বেশ পরিচিতি।
সাদেক খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা সব দলকে স্বাগত জানিয়েছি। আমরা চাই সবাই ভোটকেন্দ্রমুখী হোক।’ বিএনপির প্রার্থী সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি তো এলাকায় বসবাস করেন না, তাই তাদের দলেরই ক্ষোভ আছে তাকে নিয়ে। তিনি থাকেন ফকিরাপুলে। সে জন্য তাদের সিনিয়র নেতারাই প্রচারণায় আসেন না। তিনি নিজেই পজেটিভ ইমেজ তৈরি করতে অসফল। আমরা তো সুসম্পর্ক বজায় রাখছি।’
অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আব্দুস সালাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রচারণা যেমন তেমন করে হলেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই, জনগণ যেন ভোট দিতে পারে এটাই কাম্য’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা পেছনে থেকে প্রচার কাজে রয়েছে, সামনে এলেই গ্রেপ্তার হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন করতেই হবে বলে সিনিয়র নেতাদের ছাড়াই যতটুকু প্রচারণা করা যায় করছি’।
তিনি জানান, তারা এখন পর্যন্ত জাকির হোসেন রোড, আড়ং, লালমাটিয়াসহ শ্যামলী মার্কেটের আশপাশের এলাকায় প্রচার করেছেন। দলীয়ভাবে সরাসরি আওয়ামী লীগের বাধার সম্মুখীন না হলেও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, মাইকিংয়ের সময় মাইক ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এই আসনে বিএনপি প্রার্থীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বেশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে মনে করছেন এলাকার ভোটাররা। মোহাম্মদপুর এলাকার হুমায়ুন রোডে কথা হয় ওই এলাকার ভোটার ইসমাইল হোসাইনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হাতের কাছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই এলাকায় নৌকার প্রতিযোগিতা হবে ধানের শীষের সঙ্গে। তবে এটা ঠিক, তরুণরা যেদিকে যাবে সেই দলের জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তবে তরুণরা নৌকার প্রার্থীর প্রতিই বেশি আগ্রহী।’ এ এলাকায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৬৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯২ হাজার ৬১২ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৬৫৭ জন।