মুখোমুখি লাঙ্গল ধানের শীষ
ফিরোজ মিয়াজী | ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
পুরান ঢাকার ওয়ারী, গেণ্ডারিয়া, সূত্রাপুর এবং কোতোয়ালি ও বংশাল এলাকার কিছু অংশ নিয়ে ঢাকা-৬ আসন। এটি ঢাকার একমাত্র আসন যেখানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সরাসরি কোনো প্রার্থী নেই। বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার দুর্গ হিসেবে পরিচিত এই আসনে তার অনুপস্থিতিতে ছেলের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও শেষপর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের গণফোরামকে আসনটি ছেড়ে দেয় বিএনপি। অন্যদিকে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীর ধানের শীষ প্রতীকের বিপরীতে লাঙ্গল প্রতীকে লড়বেন জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।
বিভিন্ন দলের মোট আটজন প্রার্থী রয়েছেন আসনটিতে। কাজী ফিরোজ রশীদ প্রচারে নেমেছেন সেই শুরু থেকেই। পোস্টারে, গণসংযোগে এবং মাইকিংয়ে সর্বত্রই লাঙ্গলের উপস্থিতি। ধোলাইখাল, জনসন রোড, বাংলাবাজার, ওয়ারী, নবাবপুর রোড এলাকা ঘুরে শুধু লাঙ্গলের পোস্টারই চোখে পড়েছে। গেণ্ডারিয়া রোডে সিপিবির কাস্তে ও ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার কিছু পোস্টার চোখে পড়লেও ধানের শীষের পোস্টার কোথাও চোখে পড়েনি।
পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা এবং পুলিশের সহযোগিতায় তার ওপর একের পর এক হামলার অভিযোগ করেছেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘হামলার সময় পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখেছে। আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বরং হামলার শিকারদেরই নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা করেছে। সহযোগিতা চাইলে তারা তামাশা করেছে।’ ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সহযোগিতাও পাচ্ছেন না তিনি। অন্যদিকে ফিরোজ রশীদের পক্ষে প্রচারে সরব রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাইকিং করে গানে গানে লাঙ্গলের প্রচার চলছে। বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রার্থী ববি হাজ্জাজকে দেখা গেছে তার হারিকেন প্রতীকের পক্ষে বংশাল এলাকায় মোটরসাইকেল, ট্রাক ও রিকশাযোগে বড় শোডাউন করতে। ধানের শীষের কোনো প্রচার চোখে না পড়লেও বিকেলে নয়াবাজার এলাকায় প্রচার চালানোর কথা দেশ রূপান্তরকে জানান সুব্রত চৌধুরী। স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, লাঙ্গল ছাড়া অন্য মার্কার পোস্টার বা প্রচার তারা দেখেননি। ধোলাইখাল এলাকার চা-বিক্রেতা মাহফুজুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘লাঙ্গল ছাড়া অন্য কোনো মার্কায় কেউ দাঁড়াইছে কি না জানি না।’ ওয়ারী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা প্রণব কুমার সাহা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কোনো কনটেস্ট তো দেখি না। এদিকে লাঙ্গল আর ওদিকে শুধু নৌকা। অন্য কাউকে তো দেখি না। কিসের ভোট? কোনো কনটেস্ট নাই।’
শেয়ার করুন
ফিরোজ মিয়াজী | ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

পুরান ঢাকার ওয়ারী, গেণ্ডারিয়া, সূত্রাপুর এবং কোতোয়ালি ও বংশাল এলাকার কিছু অংশ নিয়ে ঢাকা-৬ আসন। এটি ঢাকার একমাত্র আসন যেখানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সরাসরি কোনো প্রার্থী নেই। বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার দুর্গ হিসেবে পরিচিত এই আসনে তার অনুপস্থিতিতে ছেলের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও শেষপর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের গণফোরামকে আসনটি ছেড়ে দেয় বিএনপি। অন্যদিকে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীর ধানের শীষ প্রতীকের বিপরীতে লাঙ্গল প্রতীকে লড়বেন জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।
বিভিন্ন দলের মোট আটজন প্রার্থী রয়েছেন আসনটিতে। কাজী ফিরোজ রশীদ প্রচারে নেমেছেন সেই শুরু থেকেই। পোস্টারে, গণসংযোগে এবং মাইকিংয়ে সর্বত্রই লাঙ্গলের উপস্থিতি। ধোলাইখাল, জনসন রোড, বাংলাবাজার, ওয়ারী, নবাবপুর রোড এলাকা ঘুরে শুধু লাঙ্গলের পোস্টারই চোখে পড়েছে। গেণ্ডারিয়া রোডে সিপিবির কাস্তে ও ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার কিছু পোস্টার চোখে পড়লেও ধানের শীষের পোস্টার কোথাও চোখে পড়েনি।
পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা এবং পুলিশের সহযোগিতায় তার ওপর একের পর এক হামলার অভিযোগ করেছেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘হামলার সময় পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখেছে। আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বরং হামলার শিকারদেরই নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা করেছে। সহযোগিতা চাইলে তারা তামাশা করেছে।’ ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সহযোগিতাও পাচ্ছেন না তিনি। অন্যদিকে ফিরোজ রশীদের পক্ষে প্রচারে সরব রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাইকিং করে গানে গানে লাঙ্গলের প্রচার চলছে। বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রার্থী ববি হাজ্জাজকে দেখা গেছে তার হারিকেন প্রতীকের পক্ষে বংশাল এলাকায় মোটরসাইকেল, ট্রাক ও রিকশাযোগে বড় শোডাউন করতে। ধানের শীষের কোনো প্রচার চোখে না পড়লেও বিকেলে নয়াবাজার এলাকায় প্রচার চালানোর কথা দেশ রূপান্তরকে জানান সুব্রত চৌধুরী। স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, লাঙ্গল ছাড়া অন্য মার্কার পোস্টার বা প্রচার তারা দেখেননি। ধোলাইখাল এলাকার চা-বিক্রেতা মাহফুজুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘লাঙ্গল ছাড়া অন্য কোনো মার্কায় কেউ দাঁড়াইছে কি না জানি না।’ ওয়ারী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা প্রণব কুমার সাহা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কোনো কনটেস্ট তো দেখি না। এদিকে লাঙ্গল আর ওদিকে শুধু নৌকা। অন্য কাউকে তো দেখি না। কিসের ভোট? কোনো কনটেস্ট নাই।’