সালথায় সংঘর্ষে আহত ৩০ ২০টি বাড়ি ভাঙচুর
ফরিদপুর প্রতিনিধি | ৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
ফরিদপুরের সালথায় গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই পক্ষের অন্তত ২০টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩০ জন।
গত মঙ্গলবার রাতে ও গতকাল বুধবার দফায় দফায় উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে সাতজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফুকরা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হায়দার সিকদারের সঙ্গে একই গ্রামের কাউছার মাতুব্বরের বিরোধ চলে আসছিল। তারা দুজনই আওয়ামী লীগ সমর্থক। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ফুকরা বাজারে হায়দার সিকদারের সমর্থক লাল মিয়ার সঙ্গে কাউছার মাতুব্বরের সমর্থক রুহুল মোল্লার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে লাল মিয়া আহত হন। এ ঘটনার পর রাতেই উভয় দলের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, সড়কি, ভেলা এবং ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল সকাল ৭টার দিকে দুই পক্ষের সমর্থকরা পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দিনভর দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষের সময় অন্তত ২০টি বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাকছুদুল ইসলাম, ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সালথা-নগরকান্দা) সার্কেল এফএম মহিউদ্দীন, সালথা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খানসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করে পুলিশ। সালথা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ইটের আঘাতে পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে দুই দফায় কাঁদানে গ্যাসের ২৪টি শেল ও শটগানের ৩২টি গুলি ছুড়তে হয়েছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত কোনো পক্ষই এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেয়নি।
শেয়ার করুন
ফরিদপুর প্রতিনিধি | ৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

ফরিদপুরের সালথায় গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই পক্ষের অন্তত ২০টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩০ জন।
গত মঙ্গলবার রাতে ও গতকাল বুধবার দফায় দফায় উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে সাতজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফুকরা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হায়দার সিকদারের সঙ্গে একই গ্রামের কাউছার মাতুব্বরের বিরোধ চলে আসছিল। তারা দুজনই আওয়ামী লীগ সমর্থক। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ফুকরা বাজারে হায়দার সিকদারের সমর্থক লাল মিয়ার সঙ্গে কাউছার মাতুব্বরের সমর্থক রুহুল মোল্লার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে লাল মিয়া আহত হন। এ ঘটনার পর রাতেই উভয় দলের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, সড়কি, ভেলা এবং ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল সকাল ৭টার দিকে দুই পক্ষের সমর্থকরা পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দিনভর দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষের সময় অন্তত ২০টি বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাকছুদুল ইসলাম, ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সালথা-নগরকান্দা) সার্কেল এফএম মহিউদ্দীন, সালথা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খানসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করে পুলিশ। সালথা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ইটের আঘাতে পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে দুই দফায় কাঁদানে গ্যাসের ২৪টি শেল ও শটগানের ৩২টি গুলি ছুড়তে হয়েছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত কোনো পক্ষই এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেয়নি।