কী খাবেন কী খাবেন না
সৈয়দা শারমিন আক্তার, প্রধান পুষ্টিবিদ, ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার | ৮ মে, ২০১৯ ০০:০০
রমজান মাস শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার সবচেয়ে নিয়মতান্ত্রিক এবং সবচেয়ে সুন্দর সময়। খাদ্য ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে খাবারের ধরন, খাবারের সময় সবই একটি নির্দিষ্ট ছকে বাঁধা। যেটা সারা বছরের অন্য কোনো সময়ে হয় না। এই নির্দিষ্ট ছককে কাজে লাগিয়ে সুস্থতা, ওজন বাড়ানো-কমানো, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সবকিছুই করা যায়। যেমন : নির্দিষ্ট সময়ে ইফতার করা, তারাবি পড়া, সাহরি করা। শুধু তাই নয়, রোজার মাসে সবচেয়ে বেশি দেহ থেকে টক্সিক উপাদান বের হয় এবং আমরা সুস্থ থাকি। সাধারণত রোজায় বাসাবাড়িতে ভাজাপোড়া খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। যার কারণে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিযোগে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়। রমজানে সুস্থ থাকতে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলুন।
মসলা ও চর্বিযুক্ত খাবার বর্জন করা
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার কম গ্রহণ করা
সাহরিতে অধিক খাদ্যগ্রহণ থেকে বিরত থাকা
ধূমপান থেকে বিরত থাকা
জটিল শর্করাজাত খাবার সাহরিতে গ্রহণ করা, যেমন কাঁচা আটার রুটি, ছাতু, ওটস
হালিমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে কিন্তু হজম হতে সময় লাগে, তাই হালিম খাওয়া যেতে পারে।
যেমন : আধা বাটি হালিম সমান এক টুকরা পুডিং (কম চিনিযুক্ত) এবং ২টা মাঝারি সাইজের পেঁয়াজু। অথবা ১টা চপ, ২ মুঠ মুড়ি ও ১টা জিলাপি।
খুরমা বা খেজুরে রয়েছে খাদ্যআঁশ, জটিল শর্করা, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। তাই ইফতারের শুরুতে খেজুর খাওয়া ভালো।
কাজুবাদাম বা বাদামে প্রোটিন ও খাদ্যআঁশ বেশি। ফ্যাট থাকে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড হিসেবে। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
কলাতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে বিধায় কলা খাওয়া উচিত।
ইফতারের পরপরই ব্যায়াম করবেন না। কেননা এ সময় রক্তপ্রবাহ সরাসরি হজম প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকে।
ইফতারের পর রাতে ঘুমানো পর্যন্ত আড়াই থেকে তিন লিটার পানি বা পানীয় খেলে নানা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
খাবারের মাঝখানে, খাবার শেষ করা মাত্রই পানি বা পানীয় পান থেকে বিরত থাকুন।
এক বাটি = মেলামাইনের স্যুপের বাটির ১ বাটি = মেজারিং কাপের খুব কাছাকাছি ১ কাপ। ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করুন। নিজেকে সুস্থ রাখুন।
শেয়ার করুন
সৈয়দা শারমিন আক্তার, প্রধান পুষ্টিবিদ, ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার | ৮ মে, ২০১৯ ০০:০০

রমজান মাস শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার সবচেয়ে নিয়মতান্ত্রিক এবং সবচেয়ে সুন্দর সময়। খাদ্য ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে খাবারের ধরন, খাবারের সময় সবই একটি নির্দিষ্ট ছকে বাঁধা। যেটা সারা বছরের অন্য কোনো সময়ে হয় না। এই নির্দিষ্ট ছককে কাজে লাগিয়ে সুস্থতা, ওজন বাড়ানো-কমানো, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সবকিছুই করা যায়। যেমন : নির্দিষ্ট সময়ে ইফতার করা, তারাবি পড়া, সাহরি করা। শুধু তাই নয়, রোজার মাসে সবচেয়ে বেশি দেহ থেকে টক্সিক উপাদান বের হয় এবং আমরা সুস্থ থাকি। সাধারণত রোজায় বাসাবাড়িতে ভাজাপোড়া খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। যার কারণে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিযোগে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়। রমজানে সুস্থ থাকতে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলুন।
মসলা ও চর্বিযুক্ত খাবার বর্জন করা
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার কম গ্রহণ করা
সাহরিতে অধিক খাদ্যগ্রহণ থেকে বিরত থাকা
ধূমপান থেকে বিরত থাকা
জটিল শর্করাজাত খাবার সাহরিতে গ্রহণ করা, যেমন কাঁচা আটার রুটি, ছাতু, ওটস
হালিমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে কিন্তু হজম হতে সময় লাগে, তাই হালিম খাওয়া যেতে পারে।
যেমন : আধা বাটি হালিম সমান এক টুকরা পুডিং (কম চিনিযুক্ত) এবং ২টা মাঝারি সাইজের পেঁয়াজু। অথবা ১টা চপ, ২ মুঠ মুড়ি ও ১টা জিলাপি।
খুরমা বা খেজুরে রয়েছে খাদ্যআঁশ, জটিল শর্করা, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। তাই ইফতারের শুরুতে খেজুর খাওয়া ভালো।
কাজুবাদাম বা বাদামে প্রোটিন ও খাদ্যআঁশ বেশি। ফ্যাট থাকে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড হিসেবে। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
কলাতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে বিধায় কলা খাওয়া উচিত।
ইফতারের পরপরই ব্যায়াম করবেন না। কেননা এ সময় রক্তপ্রবাহ সরাসরি হজম প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকে।
ইফতারের পর রাতে ঘুমানো পর্যন্ত আড়াই থেকে তিন লিটার পানি বা পানীয় খেলে নানা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
খাবারের মাঝখানে, খাবার শেষ করা মাত্রই পানি বা পানীয় পান থেকে বিরত থাকুন।
এক বাটি = মেলামাইনের স্যুপের বাটির ১ বাটি = মেজারিং কাপের খুব কাছাকাছি ১ কাপ। ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করুন। নিজেকে সুস্থ রাখুন।