বকুলতলায় শরৎ বন্দনা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০
প্রকৃতির বৈরিতায় শুভ্র শরতেও পাওয়া যাচ্ছে বর্ষা ঋতুর আমেজ। আবার হালকা ঠাণ্ডা বাতাস দোলা দিয়ে জানিয়ে যাচ্ছে শীতের আগমনি বার্তা। ভাদ্র-আশি^ন মাসজুড়ে শরতের ঢেউ খেলানো ঋতুকে উদযাপন করতে ছায়ানট আয়োজন করেছিল শরৎ বন্দনা।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় সুরের মূর্ছনায় শরত উদযাপন করেন ছায়ানটের শিল্পীরা। ‘ওগো শেফালি বনের মনের কামনা’ গানটির সম্মিলিত পরিবেশনায় শুরু হয় শরৎ বন্দনা। সম্মেলক পরিবেশনার পরে শিল্পী অভয়া দত্ত শোনান রবীন্দ্রসংগীত ‘আমার রাত পোহাল’। এর পরের পরিবেশনায় শিল্পী শ্রাবণী মজুমদার শোনান ‘অমল ধবল পালে লেগেছে’ গানটি। সুতপা সাহা শোনান রবীন্দ্রনাথের ‘ওগো কে যায় বাঁশরি’, মোস্তাফিজুর রহমান ত‚র্য পরিবেশন করেন ‘আমি চঞ্চল হে’, তানিয়া মান্নান শোনান ‘এসো শরতের অমল মহিমা’। এরপর শ্রেয়া ঘোষের কণ্ঠে ‘সকরুণ বেণু বাজায়ে কে যায়’, আইরিন পারভীন অন্না ‘এই তো আমার প্রেম’, শুক্লা পাল সেতু শোনান ‘যে ছায়ারে ধরব বলে’, অসীম দত্ত পরিবেশন করেন ‘তোমার সোনার থালায়’, নাঈমা ইসলাম নাজ গেয়ে শোনান ‘হৃদয়ে ছিলে জেগে’, পার্থ প্রতিম রায় ‘আমি চিনি গো চিনি’ এবং সেঁজুতি বড়ুয়া নিবেদন করেন ‘কেন যে মন ভোলে’।
এ ছাড়া ‘আলোর অমল কমলখানি’, ‘শরতে আজ কোন অতিথি’, ‘আমার নয়ন ভুলানো এলে’, ‘শরত তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি’, ‘আজ ধানের ক্ষেতে’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন ছায়ানটের শিল্পীরা। ‘তোমরা যা বল তাই বল’ গানটির সঙ্গে একক নৃত্য পরিবেশন করেন সুদেষ্ণা স্বয়ংপ্রভা তাথৈ। শরৎ বন্দনার এই আয়োজনে গান-নৃত্য উপভোগের পাশাপাশি মুড়ি-মুড়কি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুন উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০

প্রকৃতির বৈরিতায় শুভ্র শরতেও পাওয়া যাচ্ছে বর্ষা ঋতুর আমেজ। আবার হালকা ঠাণ্ডা বাতাস দোলা দিয়ে জানিয়ে যাচ্ছে শীতের আগমনি বার্তা। ভাদ্র-আশি^ন মাসজুড়ে শরতের ঢেউ খেলানো ঋতুকে উদযাপন করতে ছায়ানট আয়োজন করেছিল শরৎ বন্দনা।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় সুরের মূর্ছনায় শরত উদযাপন করেন ছায়ানটের শিল্পীরা। ‘ওগো শেফালি বনের মনের কামনা’ গানটির সম্মিলিত পরিবেশনায় শুরু হয় শরৎ বন্দনা। সম্মেলক পরিবেশনার পরে শিল্পী অভয়া দত্ত শোনান রবীন্দ্রসংগীত ‘আমার রাত পোহাল’। এর পরের পরিবেশনায় শিল্পী শ্রাবণী মজুমদার শোনান ‘অমল ধবল পালে লেগেছে’ গানটি। সুতপা সাহা শোনান রবীন্দ্রনাথের ‘ওগো কে যায় বাঁশরি’, মোস্তাফিজুর রহমান ত‚র্য পরিবেশন করেন ‘আমি চঞ্চল হে’, তানিয়া মান্নান শোনান ‘এসো শরতের অমল মহিমা’। এরপর শ্রেয়া ঘোষের কণ্ঠে ‘সকরুণ বেণু বাজায়ে কে যায়’, আইরিন পারভীন অন্না ‘এই তো আমার প্রেম’, শুক্লা পাল সেতু শোনান ‘যে ছায়ারে ধরব বলে’, অসীম দত্ত পরিবেশন করেন ‘তোমার সোনার থালায়’, নাঈমা ইসলাম নাজ গেয়ে শোনান ‘হৃদয়ে ছিলে জেগে’, পার্থ প্রতিম রায় ‘আমি চিনি গো চিনি’ এবং সেঁজুতি বড়ুয়া নিবেদন করেন ‘কেন যে মন ভোলে’।
এ ছাড়া ‘আলোর অমল কমলখানি’, ‘শরতে আজ কোন অতিথি’, ‘আমার নয়ন ভুলানো এলে’, ‘শরত তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি’, ‘আজ ধানের ক্ষেতে’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন ছায়ানটের শিল্পীরা। ‘তোমরা যা বল তাই বল’ গানটির সঙ্গে একক নৃত্য পরিবেশন করেন সুদেষ্ণা স্বয়ংপ্রভা তাথৈ। শরৎ বন্দনার এই আয়োজনে গান-নৃত্য উপভোগের পাশাপাশি মুড়ি-মুড়কি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুন উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।