রোহিঙ্গাদের এনআইডি
ইসির আরেক কর্মচারী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ১৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেওয়ার মামলায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আরেক কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক নাজিম উদ্দিনকে কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এ নিয়ে এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায় ইসির চার কর্মীসহ ১১ জন গ্রেপ্তার হলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়–য়া দেশ রূপান্তরকে বলেন, এনআইডি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলায় এর আগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নাজিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল (আজ) তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। নাজিমকে গ্রেপ্তারে ইসি সচিবালয়ের অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে রমজান বিবি নামে স্মার্টকার্ড নিতে এসে এক রোহিঙ্গা নারী ধরা পড়েন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে লাকী আক্তার নামে ওই নারী জানান নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে ভোটার হয়েছিলেন। এ ঘটনায় ইসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এরপর নগরীর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিন, বিজয় দাশ ও সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়া নামে তিনজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। এ সময় জয়নালের হেফাজতে থাকা ইসির একটি ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়। পরে ১৬ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা।
শেয়ার করুন
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ১৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেওয়ার মামলায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আরেক কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক নাজিম উদ্দিনকে কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এ নিয়ে এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায় ইসির চার কর্মীসহ ১১ জন গ্রেপ্তার হলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়–য়া দেশ রূপান্তরকে বলেন, এনআইডি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলায় এর আগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নাজিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল (আজ) তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। নাজিমকে গ্রেপ্তারে ইসি সচিবালয়ের অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে রমজান বিবি নামে স্মার্টকার্ড নিতে এসে এক রোহিঙ্গা নারী ধরা পড়েন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে লাকী আক্তার নামে ওই নারী জানান নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে ভোটার হয়েছিলেন। এ ঘটনায় ইসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এরপর নগরীর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিন, বিজয় দাশ ও সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়া নামে তিনজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। এ সময় জয়নালের হেফাজতে থাকা ইসির একটি ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়। পরে ১৬ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা।